Skip to main content

Exam before Night OR Night Before Exam (পরীক্ষার আগের রাত নাকি রাতের আগে পরীক্ষা)

বিংশ শতাব্দীর পূর্বসময়........
সারা পাড়া জুড়ে কেবলমাত্র আজ পড়ার ধ্বনি শুনা যাচ্ছে! প্রতি পাড়ায়  পরীক্ষার্থীদের পড়ার আওয়াজ ধ্বনিত হচ্ছে!আগামীকাল পরীক্ষা! হারিকেনের বাতির আলোয় গ্রামে থাকা ছাত্র-ছাত্রীরা পড়াশুনায় মগ্ন ! পরীক্ষার আগের রাত বলে তাদের কাছে কোনো রাত নেই! সব দিন-রাত সবার তাদের কাছে! উচ্চস্বরে পড়া তাদের নিতান্তই স্বভাব মাত্র! রাতের খাবার খেয়ে তারা নিজেদের খুশি মনে স্বল্প আলোতে তারা আওয়াজ করে পড়তে এবং বাবা-মায়ের মন গর্বে ভরে উঠতো!  এমনো হতো যে পড়ার আওয়াজে অনেক পরিবারের ঘুম নষ্ট হতো!  কিন্তু তারা নালিশ নিয়ে আসতো না।বরং তারা তা সহ্য করতো এবং তাদের জন্য মন থেকে দোয়া করতো! উচ্চস্বরে মনোযোগ সহকারে পড়াশুনা ছিল তখনকার ছাত্রদের সহজাত স্বভাব।তখনকার সময়ে খাতা -কলমের প্রচলন তেমন ছিল না এবং অভাব তো থাকবেই! তাই তারা তাদের একই খাতাকে ৩-৪ বার কাজে লাগানোর চেষ্টা করতো! কিভাবে? আচ্ছা বলি!
প্রথমে তারা তাদের খাতায় পেন্সিল দিয়ে লিখতো, পরবর্তীতে ঐ লেখা পেন্সিল দিয়ে মুছে আবার লিখতো! এভাবে ৩-৪
বার খাতা ব্যবহার করতো।
কআর পরীক্ষার আগের রাত তাদের নিকট পরীক্ষার ফলাফলের আগের রাতের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ। তারা ঐ রাতের প্রতিটি সেকেন্ড কাজে লাগানোর চেষ্টা করতো!  এবং পরীক্ষায় ভালো করার জন্য মনকে তৈরি করতো।
বিংশ শতাব্দীর পর..........
বৈদ্যুতিক আলো পেয়ে শিক্ষার্থীরা আরাম-আয়েসের যুগে প্রবেশ করলো! খাতা -কলমের সুবিধার পাশাপাশি তারা স্কুল-কলেজের কঠোর সিলেবাস এবং নিয়ম-কানুনের সাথে যুক্ত হয়! উচ্চস্বরে পড়ার দিন নেমে গেলো এবং শিক্ষার্থীরা নিজেদের পড়া নিজেই গুছিয়ে পড়তো। স্কুল-কলেজের নিয়মিত পড়াশুনার কারণে পড়া এগিয়ে থাকতো এবং শিক্ষাব্যবস্থা উন্নত ছিল!
পরীক্ষার আগের রাতের পড়া তাদের নিকট ছিল রিভিশনের দিন। মাথা ঠাণ্ডা রেখে তারা পরীক্ষার বিষয়ের পড়া রিভিশন দিয়ে শান্তির ঘুম দিতো!
পরীক্ষার আগের রাত তাদের নিকট ছিল টেনশনমুক্ত রাত!!
২০১৭ অর্থ্যাৎ আধুনিক যুগের পথচলা......
বর্তমান সময় মানে আমার সময়ের পরীক্ষার আগের রাত হলো দৌড়াদৌড়ি এর রাত।  সারা মাস-বছর পড়াশুনা না করে পরীক্ষার আগের রাতে সকল পড়াশুনা করার চেষ্টা জারি থাকে। তাছাড়া সাজেশন নামক এক ভূত কিন্তু সবার মাথা ভালভাবে এটে আছে। কেউ কেজ আছে সাজেশন পড়েই সব কমন পায় আবার এমন অনেকই আছে যারা সারা বই পড়েও প্রশ্ন কমন পায় না পরে মাথা বারি দেয়! পরীক্ষার আগের রাতে তারা এমন পড়াশুনা করে মনে হয় তারা আগামীকাল কোনো ম্যারাথন হবে। প্রতি সময় কাজেও লাগায় আবার সোশ্যাল মিডিয়া তো আছে!  বই-খাতা ছবি আপলোড না দিলে যে প্রস্তুত ভালো হয় না!
যত যাই করো না কেন সারা বছর এর পড়া একদিনে পড়া কখনোই সম্ভব নয়! যতই তুমি আইনস্টাইন হও না কেন!
....
...............
.....
তিন ধরণের এই তিন সময় তিন রকম বর্ণনা প্রদান করে থাকে! কালের ধাপে পরিবর্তনীয় হচ্ছে শিক্ষার্থীদের মন-মানসিকতা। সাথে পরিবর্তন হচ্ছে পরীক্ষার আগের রাত!
কিন্তু একদিকে কিন্তু মিল পাওয়াই যায়।সেটা হলো সিরিয়াসনেস! এমনভাবে থাকে তারা মনে হয় যেন তারা মহাযুদ্ধের যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছে! তবে পরীক্ষা কিন্তু কোনোপ্রকার মহাযুদ্ধের চেয়ে কম না!
এই যে আমি নিজেই পরীক্ষার আগের রাতের মূল্যবান সময়কে নষ্ট করছি! আজ এই পর্যন্ত থাক। আগামীতে নতুন কোনো প্যারা নিয়ে আসবে এই পরীক্ষার আগের রাত!
সকল পরীক্ষার্থীদেরকে জানাই তাদের আগামী দিনের পরীক্ষার জন্য শুভকামনা!  ♥

Comments

Popular posts from this blog

একটি মধ্যবিত্ত ভালবাসার গল্প

কিছু গল্প সবসময় এক হয় না!  পার্থক্য, ভেদা-ভেদ সবকিছুতেই থাকে।ঠিক তেমনি ভালবাসার গল্পগুলোতেও কিছু মিল-অমিল পাওয়া যায়!আর আজকে ঠিক তেমনি অতি সাধারণ একটা গল্প তুলে ধরতে যাচ্ছি! 'মধ্যবিত্ত' শব্দটা হয়তো সকলেরই অনেক পরিচিত। মধ্যবিত্ত মানুষগুলো ধনী-গরীব হতে সম্পূর্ণ ভিন্ন।তাদের চিন্তা-ভাবনা,চলাফেরা এমনকি জীবনযাপনও ভিন্ন। আর মধ্যবিত্ত ভালবাসা এর মানে বুঝাই যাচ্ছে এর মধ্যেও কিছুটা ভিন্নতা আছে! ♥ কলেজ পড়ুয়া মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলের সাথে প্রেম করা বর্তমান যুগের মেয়ের জন্য তুলনামুলক প্যারাময়! কেননা এইসকল ছেলের থাকে না টাকা-পয়সা,মোটরসাইকেল আর কত কি!  কিন্তু মেয়েরা ভুলে যায়, অন্যদের মতো ঐ ছেলেদেরও সুন্দর একটা মন আছে, তারাও ভালবাসতে জানে!  টাকা-পয়সা বাইক এইসব শো অফ করাই কি ভালবাসা?? প্রেমিকার জন্মদিনে বড় অনুষ্ঠান করা, এ্যানিভার্সারি পালন করা আর আজাইরা টাকা খরচও কি ভালবাসা?? :/ ভালবাসা এমন হতে পারে না........ ১০০ টাকায় রিক্সা ভাড়া করে কিছুদূর ঘুরা! পাশাপাশি বসে একসাথে ফুচকা খাওয়া!♥ জন্মদিনে/অথবা অন্যকিছুতে টিফিনের এবং যাতায়াতের টাকা বাঁচিয়ে প্রিয় মানুষের জন্য ছোট্ট কিছু করা ...

তুমি, আমি আর সংসার (খুনসুটে অতীত)

  ২৩ শে জুন : শুভ জন্মদিন,ফায়াজ! :উম্ম, আপনার তাহলে মনে আছে?! ধন্যবাদ! : হ্যাঁ মনে কেনো থাকবে না!  স্বামীর জন্মদিন মনে রাখা একজন স্ত্রীর দায়িত্ব! শুনো টেবিলে ব্রেক-ফাস্ট রেডি করা আছে আর মা নানুর সাথে দেখা করতে গিয়েছে! বাসা তালা দিয়ে যেয়ো, আমাকে জলদি অফিসে যেতে হবে! : আচ্ছা একটু অপেক্ষা করেন, আমি নামিয়ে দিয়ে আসি! : নাহ নাহ! আপনি খেয়ে বের হয়েন এইটুকুই! এবং শুভ জন্মদিন!  বেশি প্রেসার নিয়েন না জন্মদিনে হাহাহাহা!  ( ফারিন অফিসের জন্য বের হলো) [বিয়ের ৩-৪ মাসের মধ্যে মেয়েটা আমাকে ভালোই চিনে ফেলেছে, যাক ভালো! তিনি ঠিক থাকলেই হলো! আর আজকের এই দিনে আর কি বা চেতে পারি! বছরের ঠিক মাঝে জন্মদিন, ব্যাপারটা ভালোই কিন্তু আজও কেউ কখনো..  উম্ম থাক! এই বুড়া বয়সে এসে এইসব ভাবা ঠিক না! ] বাথরুমে গিয়ে দেখি আয়নায় একটা স্টিকি নোট (শুভ জন্মদিন ডাক্তার সাহেব, হাসি মুখে ব্রাশ করে নাস্তার টেবিলে বসে যেয়েন, ভুলে যেয়েন না কিন্তু) [আমার বারবার নাস্তা করতে ভুলে যাওয়া এই ব্যাপারটা একবারে মাথায় নিয়ে নিয়েছে! খুবই অল্প সময়ের মধ্যেই একটা মজবুত বন্ধন কাজ করছে দুজনের মাঝে ব্যাপারটা মোটেও খা...

বন্ধুত্ব

বন্ধু শব্দটা মূলত অনেক কমন!  শৈশব থেকেই এই শব্দের যাত্রা শুরু হলেও কৈশোরকাল থেকে বন্ধু শব্দটা উপলব্ধি করা যায়! আর সত্যি বলতে এয়ারটেলের বিজ্ঞাপনের মাধ্যমেই আসল বন্ধুত্ব এর মর্ম বুঝা যায়! :p কমবেশি বন্ধু কিন্তু সবারই থাকে।  তবে সব বন্ধু এক রকম না কিংবা একজাতের না. .. খুব অল্প কিছু বন্ধু থাকে, যারা একদমই অন্যরকম !! সবার থেকে ভিন্ন! অন্য বন্ধুরা যখন বৃষ্টি হইলে তোমার জন্য ছাতা নিয়ে দৌড়ায়ে আসবে ... "এই নে " কিংবা এক ছাতার নিচে থেকে একসাথে যাবে! অন্যরকম বন্ধুগুলা তখন উল্টা তোমার মাথার ছাতাটা কেড়ে নিয়ে বন্ধ করে দিয়ে বলবেঃ "ছাতা কি কামে লাগে ?? চল ভিজি !!" বন্ধুর পাল্লায় পড়ে বৃষ্টিতে ভিজে তোমার জ্বর হবে ...পরিণতি ভালো হবে না! তুমি যখন কাতর গলায় বলবা, তোমার জ্বর আসছে, শুধুমাত্র তোর কারণে!.. তখন ঐ অসাধারণ বন্ধু তোমারে বলবেঃ(হাসতে হাসতে) "তো ?? আজকে জ্বর হইছে, কালকে নিউমোনিয়া হবে !!" "কি বলতেছিস এগুলা ??তুই আমারে বোদোয়া দিতেসিস!!" "হুম ... আমি দোয়া করি তোর নিউমোনিয়া হোক !!" "কেন ? তাতে তোর কি লাভ?" "তোর নিউমোনিয়া হইলে...