Skip to main content

অপেক্ষার প্রহর

অণিমা আয়নার সামনে বসে নিজেকে দেখছে!
কপালে লাল টিপ, পরনে লাল শাড়ি,কপালে টিকলি,হাতে চুড়ি!
ফোনের বাতিটা একটুপর পর জ্বলে আর নিভে যায়!
চোখের সামনে ফোন থাকা সত্তেও ফোন ধরলো না!
[১২১ মেসেজেস! ৫৬ মিস কলস! ]
.
.
.
বাইরে থেকে শব্দ পাওয়া গেলো যে বর চলে এসেছে!
অণিমার চোখ দিয়ে পানি পরতে লাগলে, কেউ দেখার আগেই অণিমা হাত দিয়ে চোখ পরিস্কার করে ফেলে!
অণিমাকে নিচে নিয়ে গেলো!
কিছুক্ষণ এর মধ্যে বিয়ের কার্যক্রম সম্পন্ন হলো!
বিদায়ের সময়ে যখন অণিমা গাড়িতে উঠবে ঠিক তখন রাস্তার ওপারে একজন ছেলেকে দেখতে পেল!
ছেলেটি হাতে একটা ফাইল, পরনে টাই-শার্ট। মুখে হাসি ছিল কিন্তু তা ছিল ক্ষণিকের!
অণিমাকে সকলে মিলে গাড়িতে উঠিয়ে দিল। জানালের ধারে বসে অণিমা শেষবারের মতো তার ভালবাসার রায়হানকে দেখলো!
এবং পলকের মধ্যেই সব হারিয়ে গেল!!
গাড়িতে অণিমা তার ফোন বের করলো!
ফোনের মেসেজে যাওয়ার পর সে তার চোখের পানি সামলাতে পারলো না!
[ অণিমা, আমার ইন্টারভিউ ভালো হয়েছে! চাকরিটা হয়তো এবার হয়েই যাবে! তুমি কোনো চিন্তা করো না]
[অণিমা জানো আমার চাকরি হয়ে গেসে! আমি আসছি এখনি!]
[ অণিমা তুমি কোথায়? ফোন ধরছো না যে! খুশিতে পাগল হয়ে গেলে নাকি!! ]
[ফোন কি আজকে সত্যি ধরবে না! নাকি আমাকে সারপ্রাইজ দেবে তুমি]
[অণিমা একবার হলেও ফোন ধরো! আমি আসছি! ]
...........
গল্প হলেও এটাই বাস্তবতা!
এইরকম হাজারো ভালবাসার গল্প নিমিষেই শেষ হয়ে যায়! রায়হানের মতো হাজারো ছেলে এই চাকরি নামক প্রতিবন্ধকতাকে পেরেয়ি উঠতে পারে না, হয়তো পারে।কিন্তু তাতে দেরি হয়ে যায়!
অণিমার মতো এইরকম অনেক মেয়েই তার ভালবাসার অপেক্ষার প্রহর আশার সাথে পার করে!! কিন্তু আশা একসময় নিরাশায় পরিণত হয়!
বেলা বোস/এটা কি ২৪৪১১৩৯ --- গানটা শুনলেই বোঝা যায় এইরকম গল্পের প্রতিক্ষার কথা!
এবং এরকমই হাজারো বেলা বোস ওই একটা ফোন কলের আশায় দিন কাটায়! কখন সেই মুহুর্ত আসবে!!

Comments

  1. opekkha kora ta asholey onek kothin....opekkhar shes muhortote kokhono anondo moy ...kokhonoba dukkhar...opekkahy thakbo...notun kono golpo shunte..

    ReplyDelete

Post a Comment

Popular posts from this blog

একটি মধ্যবিত্ত ভালবাসার গল্প

কিছু গল্প সবসময় এক হয় না!  পার্থক্য, ভেদা-ভেদ সবকিছুতেই থাকে।ঠিক তেমনি ভালবাসার গল্পগুলোতেও কিছু মিল-অমিল পাওয়া যায়!আর আজকে ঠিক তেমনি অতি সাধারণ একটা গল্প তুলে ধরতে যাচ্ছি! 'মধ্যবিত্ত' শব্দটা হয়তো সকলেরই অনেক পরিচিত। মধ্যবিত্ত মানুষগুলো ধনী-গরীব হতে সম্পূর্ণ ভিন্ন।তাদের চিন্তা-ভাবনা,চলাফেরা এমনকি জীবনযাপনও ভিন্ন। আর মধ্যবিত্ত ভালবাসা এর মানে বুঝাই যাচ্ছে এর মধ্যেও কিছুটা ভিন্নতা আছে! ♥ কলেজ পড়ুয়া মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলের সাথে প্রেম করা বর্তমান যুগের মেয়ের জন্য তুলনামুলক প্যারাময়! কেননা এইসকল ছেলের থাকে না টাকা-পয়সা,মোটরসাইকেল আর কত কি!  কিন্তু মেয়েরা ভুলে যায়, অন্যদের মতো ঐ ছেলেদেরও সুন্দর একটা মন আছে, তারাও ভালবাসতে জানে!  টাকা-পয়সা বাইক এইসব শো অফ করাই কি ভালবাসা?? প্রেমিকার জন্মদিনে বড় অনুষ্ঠান করা, এ্যানিভার্সারি পালন করা আর আজাইরা টাকা খরচও কি ভালবাসা?? :/ ভালবাসা এমন হতে পারে না........ ১০০ টাকায় রিক্সা ভাড়া করে কিছুদূর ঘুরা! পাশাপাশি বসে একসাথে ফুচকা খাওয়া!♥ জন্মদিনে/অথবা অন্যকিছুতে টিফিনের এবং যাতায়াতের টাকা বাঁচিয়ে প্রিয় মানুষের জন্য ছোট্ট কিছু করা ...

তুমি, আমি আর সংসার (খুনসুটে অতীত)

  ২৩ শে জুন : শুভ জন্মদিন,ফায়াজ! :উম্ম, আপনার তাহলে মনে আছে?! ধন্যবাদ! : হ্যাঁ মনে কেনো থাকবে না!  স্বামীর জন্মদিন মনে রাখা একজন স্ত্রীর দায়িত্ব! শুনো টেবিলে ব্রেক-ফাস্ট রেডি করা আছে আর মা নানুর সাথে দেখা করতে গিয়েছে! বাসা তালা দিয়ে যেয়ো, আমাকে জলদি অফিসে যেতে হবে! : আচ্ছা একটু অপেক্ষা করেন, আমি নামিয়ে দিয়ে আসি! : নাহ নাহ! আপনি খেয়ে বের হয়েন এইটুকুই! এবং শুভ জন্মদিন!  বেশি প্রেসার নিয়েন না জন্মদিনে হাহাহাহা!  ( ফারিন অফিসের জন্য বের হলো) [বিয়ের ৩-৪ মাসের মধ্যে মেয়েটা আমাকে ভালোই চিনে ফেলেছে, যাক ভালো! তিনি ঠিক থাকলেই হলো! আর আজকের এই দিনে আর কি বা চেতে পারি! বছরের ঠিক মাঝে জন্মদিন, ব্যাপারটা ভালোই কিন্তু আজও কেউ কখনো..  উম্ম থাক! এই বুড়া বয়সে এসে এইসব ভাবা ঠিক না! ] বাথরুমে গিয়ে দেখি আয়নায় একটা স্টিকি নোট (শুভ জন্মদিন ডাক্তার সাহেব, হাসি মুখে ব্রাশ করে নাস্তার টেবিলে বসে যেয়েন, ভুলে যেয়েন না কিন্তু) [আমার বারবার নাস্তা করতে ভুলে যাওয়া এই ব্যাপারটা একবারে মাথায় নিয়ে নিয়েছে! খুবই অল্প সময়ের মধ্যেই একটা মজবুত বন্ধন কাজ করছে দুজনের মাঝে ব্যাপারটা মোটেও খা...

বন্ধুত্ব

বন্ধু শব্দটা মূলত অনেক কমন!  শৈশব থেকেই এই শব্দের যাত্রা শুরু হলেও কৈশোরকাল থেকে বন্ধু শব্দটা উপলব্ধি করা যায়! আর সত্যি বলতে এয়ারটেলের বিজ্ঞাপনের মাধ্যমেই আসল বন্ধুত্ব এর মর্ম বুঝা যায়! :p কমবেশি বন্ধু কিন্তু সবারই থাকে।  তবে সব বন্ধু এক রকম না কিংবা একজাতের না. .. খুব অল্প কিছু বন্ধু থাকে, যারা একদমই অন্যরকম !! সবার থেকে ভিন্ন! অন্য বন্ধুরা যখন বৃষ্টি হইলে তোমার জন্য ছাতা নিয়ে দৌড়ায়ে আসবে ... "এই নে " কিংবা এক ছাতার নিচে থেকে একসাথে যাবে! অন্যরকম বন্ধুগুলা তখন উল্টা তোমার মাথার ছাতাটা কেড়ে নিয়ে বন্ধ করে দিয়ে বলবেঃ "ছাতা কি কামে লাগে ?? চল ভিজি !!" বন্ধুর পাল্লায় পড়ে বৃষ্টিতে ভিজে তোমার জ্বর হবে ...পরিণতি ভালো হবে না! তুমি যখন কাতর গলায় বলবা, তোমার জ্বর আসছে, শুধুমাত্র তোর কারণে!.. তখন ঐ অসাধারণ বন্ধু তোমারে বলবেঃ(হাসতে হাসতে) "তো ?? আজকে জ্বর হইছে, কালকে নিউমোনিয়া হবে !!" "কি বলতেছিস এগুলা ??তুই আমারে বোদোয়া দিতেসিস!!" "হুম ... আমি দোয়া করি তোর নিউমোনিয়া হোক !!" "কেন ? তাতে তোর কি লাভ?" "তোর নিউমোনিয়া হইলে...