(উক্ত গল্পের সকল চরিত্র কাল্পনিক! গল্পের কাহিনী কারো জীবনের সাথে মিলে গেলে তার জন্য লেখক কখনোই দায়ী নয়!)
বর্তমানের মানুষরা আসলেও ভার্চ্যুয়াল প্রেমকাহিনীতে বিশবাসী নয় অথবা তাদের কাছে এরকম গল্প কেবলমাত্র সিনেমা অথবা নাটকেই সম্ভব বলে মনে হয়!
কিন্তু আমার ক্ষেত্রে এমনটা নয়!
বলা যেতে পারে আমি নিজেও এসব ফেইসবুক কেন্দ্রিক ভালবাসা পছন্দ করতাম এমনকি মনেও করতাম না যে এধরণের ভালবাসা আসলেও টিকে থাকে কিনা!
কিন্তু কে জানতে এই ফেইসবুক আমাকে আমার জীবনের সবচেয়ে প্রিয় মানুষটার সাথে দেখা করাবে!
কিন্তু আমার ক্ষেত্রে এমনটা নয়!
বলা যেতে পারে আমি নিজেও এসব ফেইসবুক কেন্দ্রিক ভালবাসা পছন্দ করতাম এমনকি মনেও করতাম না যে এধরণের ভালবাসা আসলেও টিকে থাকে কিনা!
কিন্তু কে জানতে এই ফেইসবুক আমাকে আমার জীবনের সবচেয়ে প্রিয় মানুষটার সাথে দেখা করাবে!
মার্ক জুকারবার্গ ফেইসবুক আবিষ্কার করেছিল মানুষের কমিউনিকেশন এর জন্য কিন্তু কে জানতো মানুষ এই ফেইসবুক দিয়ে প্রেম-ভালবাসা এমনকি সংসার পর্যন্ত গড়ে তুলবে!
আমার গল্প বরাবরের মতো সবার মতো হলেই এর মধ্যে ছিল কিছু ভালবাসার রং,সংস্কৃতির ছোয়া এমনকি ছিল দুটি ভিন্ন শহরের গল্প!
কে জানতো এপার-ওপার আজ এক বিন্দুতে যুক্ত হবে ♥
কে জানতো এপার-ওপার আজ এক বিন্দুতে যুক্ত হবে ♥
আমি রায়হান! নিজের ভালবাসার গল্প বলতে অনেক আগ্রহী কেননা ঘটনা কিংবা গল্প দুটই এতো সুন্দর যে নিজের মনের স্মৃতি এখনো গেথে আছে! আমার মনে হয় তন্বীও ভুলে নি!!
এখন জিজ্ঞাসা করতে পারেন তন্বী কে?
তন্বী হলো আমার জীবনের সবচেয়ে বড় টার্নিং পয়েন্ট এবং আমার স্বপ্নের প্রিয় মানুষটা!
তন্বী আমাকে যেভাবে জলাইছে সেই কথা আপনারা সামনেই শুনতে পারবেন! এবার শুরু করি আমাদের পরিচয়ের পালা!
আমাদের পরিচয় মূলত ফেইসবুকের মাধ্যমে! ফেইসবুক জেনারেশনের মানুষ হয়ে আমি তন্বীকে পেয়েছি! খুবই মজার এক ঘটনা!
একদিন ক্লাস শেষে সব বন্ধুরা মিলে আড্ডা দিচ্ছিলাম কিন্তু কথায় আছে না বন্ধুদের কাছে নিজের ফোন যাওয়া এবং সমাজের নিজের সম্মান লোপ পাওয়া একই কথা!
ঠিক এমনিই আমার ফোন কিভাবে জানি আমার বন্ধুদের কাছে গেলো এমন তখন দুর্ঘটনাটা ঘটলো! তবে এই দূর্ঘটনা এর জন্য আমি আজ ভালোই আছি! ধন্যবাদ তোদের!
আসলের তারা পিপল ইউ মে know এ যত মেয়ে পেয়েছে সকলকেই
রিকুয়েস্ট পাঠিয়েছে! এবং সংখ্যাটা মনে হয় ১৫০-২০০ এর মতো হবে!
এখন জিজ্ঞাসা করতে পারেন তন্বী কে?
তন্বী হলো আমার জীবনের সবচেয়ে বড় টার্নিং পয়েন্ট এবং আমার স্বপ্নের প্রিয় মানুষটা!
তন্বী আমাকে যেভাবে জলাইছে সেই কথা আপনারা সামনেই শুনতে পারবেন! এবার শুরু করি আমাদের পরিচয়ের পালা!
আমাদের পরিচয় মূলত ফেইসবুকের মাধ্যমে! ফেইসবুক জেনারেশনের মানুষ হয়ে আমি তন্বীকে পেয়েছি! খুবই মজার এক ঘটনা!
একদিন ক্লাস শেষে সব বন্ধুরা মিলে আড্ডা দিচ্ছিলাম কিন্তু কথায় আছে না বন্ধুদের কাছে নিজের ফোন যাওয়া এবং সমাজের নিজের সম্মান লোপ পাওয়া একই কথা!
ঠিক এমনিই আমার ফোন কিভাবে জানি আমার বন্ধুদের কাছে গেলো এমন তখন দুর্ঘটনাটা ঘটলো! তবে এই দূর্ঘটনা এর জন্য আমি আজ ভালোই আছি! ধন্যবাদ তোদের!
আসলের তারা পিপল ইউ মে know এ যত মেয়ে পেয়েছে সকলকেই
রিকুয়েস্ট পাঠিয়েছে! এবং সংখ্যাটা মনে হয় ১৫০-২০০ এর মতো হবে!
এরপর বাসায় গিয়ে সব রিকুয়েস্ট ডিলেট করছিলাম ঠিক তখনই একটা মেসেজ এলো-- আপনি আমাকে চেনেন কি?
আমি রিপ্লে দেওয়ায় আগে আইডি গেলাম দেখলাম রিকুয়েস্ট এক্সসেপ্ট করেছে এবং কেমন জানি আইডিটি দেখে আমার ফেইক মনে হলো! যে সমাজের মানুষ মুখোশধারী ভদ্রলোক সেখানে ফেইসবুক আইডি তো ভরসা যোগ্য নয়!
আমি বললাম -- চিনি না আপনাকে সরি!
এরপর...
-- তাহলে রিকুয়েস্ট দিয়েছেন কেন?
আমি সহজ-সরল মনে সব খুলে বললাম! কিন্তু মেয়ে তো বিশ্বাস না করে উলটো হাসির ইমো দেয়!
নিজেরই কেমন জানি লাগছিল! এরপর মেসেজ আসলো -- ভালো আছেন?
... আমি কোনো রিপ্লে না দিয়ে বাকি রিকুয়েস্টগুলো ক্লিয়ার করলাম!
এখন বুঝছিলাম না কি করবো! আমি আনফ্রেণ্ড করে দিলাম!
আইডির নামে angel princess না থাকলেও ফুলের ছবি এবং ডিপিতে চুলের ছবি দেখেই বুঝা যায় এইটা ফেইক!
আনফ্রেন্ড এর পরও শান্তি নেই মেয়েটে ননস্টপ মেসেজ দিয়ে যাচ্ছিল এবং কিছু না ভাবে আমি রিপ্লে দিলাম এবং খুলেই বললাম যে আমি ফেইক আইডির সাথে চ্যাট করি না!
মেয়ে সিন করে রাখলো এবং রাত ৩ টায় আমাকে কল দিলো!
আমি রীতিমতো অবাক! ফোন ধরবো কিনা বুঝছিলাম না! মাথায় হাজারো চিন্তা! ভ্য় লাগছিল, কে না কে হয়! আবার যদি টাকা চায় কি করবো!
এতো ভাবতে ভাবতে আমি ফোনটা ধরি কিন্তু ভুলে যায় কতক্ষণ পর আমি ফোনটা ধরি!
ধরার সাথে সাথেই ওপার থেকে ঝাড়ির উপর ঝাড়ি.....
কিন্তু আমি চুপ কেননা তার ভয়েস শোনার পর যেকোনো কেউ অবাক হয়ে যাবে এতো সুমধুর কন্ঠ আমি আগে কখনো শুনি নি! এবং ঝাড়ির প্রতিটি ভাষা শুদ্ধ এবং নির্ভুল!!
আমি বললাম-- আই এম সরি!
--- ইটস ওকে! এখন তো আপনার বিশবাস হয়েছে আমি ফেইক নই!
-- আসলে আমি কনফিউজড! উম..... আপনার আইডি এমন কেনো?
-- অনেক কাহিনী! বললে হয়তো ফেইক মনে হবে, অন্য কোনো দিন বলবো!
-- আচ্ছা, শুনেন?
-- জি বলেন!
...........
আমি রিপ্লে দেওয়ায় আগে আইডি গেলাম দেখলাম রিকুয়েস্ট এক্সসেপ্ট করেছে এবং কেমন জানি আইডিটি দেখে আমার ফেইক মনে হলো! যে সমাজের মানুষ মুখোশধারী ভদ্রলোক সেখানে ফেইসবুক আইডি তো ভরসা যোগ্য নয়!
আমি বললাম -- চিনি না আপনাকে সরি!
এরপর...
-- তাহলে রিকুয়েস্ট দিয়েছেন কেন?
আমি সহজ-সরল মনে সব খুলে বললাম! কিন্তু মেয়ে তো বিশ্বাস না করে উলটো হাসির ইমো দেয়!
নিজেরই কেমন জানি লাগছিল! এরপর মেসেজ আসলো -- ভালো আছেন?
... আমি কোনো রিপ্লে না দিয়ে বাকি রিকুয়েস্টগুলো ক্লিয়ার করলাম!
এখন বুঝছিলাম না কি করবো! আমি আনফ্রেণ্ড করে দিলাম!
আইডির নামে angel princess না থাকলেও ফুলের ছবি এবং ডিপিতে চুলের ছবি দেখেই বুঝা যায় এইটা ফেইক!
আনফ্রেন্ড এর পরও শান্তি নেই মেয়েটে ননস্টপ মেসেজ দিয়ে যাচ্ছিল এবং কিছু না ভাবে আমি রিপ্লে দিলাম এবং খুলেই বললাম যে আমি ফেইক আইডির সাথে চ্যাট করি না!
মেয়ে সিন করে রাখলো এবং রাত ৩ টায় আমাকে কল দিলো!
আমি রীতিমতো অবাক! ফোন ধরবো কিনা বুঝছিলাম না! মাথায় হাজারো চিন্তা! ভ্য় লাগছিল, কে না কে হয়! আবার যদি টাকা চায় কি করবো!
এতো ভাবতে ভাবতে আমি ফোনটা ধরি কিন্তু ভুলে যায় কতক্ষণ পর আমি ফোনটা ধরি!
ধরার সাথে সাথেই ওপার থেকে ঝাড়ির উপর ঝাড়ি.....
কিন্তু আমি চুপ কেননা তার ভয়েস শোনার পর যেকোনো কেউ অবাক হয়ে যাবে এতো সুমধুর কন্ঠ আমি আগে কখনো শুনি নি! এবং ঝাড়ির প্রতিটি ভাষা শুদ্ধ এবং নির্ভুল!!
আমি বললাম-- আই এম সরি!
--- ইটস ওকে! এখন তো আপনার বিশবাস হয়েছে আমি ফেইক নই!
-- আসলে আমি কনফিউজড! উম..... আপনার আইডি এমন কেনো?
-- অনেক কাহিনী! বললে হয়তো ফেইক মনে হবে, অন্য কোনো দিন বলবো!
-- আচ্ছা, শুনেন?
-- জি বলেন!
...........
এভাবে আমাদের প্রথম ফোনের কথা বলা হলো! প্রায় এক সপ্তাহ এমন গেলো এবং স্টিল আমার মনে এখনো সন্দেহ আছে যে আইডি ফেইক কিনা!
তাই যেদিন আমাদের দেখা করার কথা ফিক্সড হলো তার আগের রাতে আমি চিন্তায় ঘুমাতে পারি নি!
কিন্তু তার সুমধুর কন্ঠ আমাকে বারবার স্বপ্নে নিয়ে যাচ্ছিল ব্যপারটা রবীন্দ্রনাথের অনুপমের মতো! তার মুখ থেকে আসা রায়হান ডাক আমাকে অনেক বিচলিত করছিল!
যাই হোক দেখার করার দিন এসে গেলো......
তাই যেদিন আমাদের দেখা করার কথা ফিক্সড হলো তার আগের রাতে আমি চিন্তায় ঘুমাতে পারি নি!
কিন্তু তার সুমধুর কন্ঠ আমাকে বারবার স্বপ্নে নিয়ে যাচ্ছিল ব্যপারটা রবীন্দ্রনাথের অনুপমের মতো! তার মুখ থেকে আসা রায়হান ডাক আমাকে অনেক বিচলিত করছিল!
যাই হোক দেখার করার দিন এসে গেলো......
প্রথম তার মুখ যে এভাবে দেখবো তা আমি নিজে কখনো ভাবিনি এবং তার জন্য আমি কখনো প্রস্তুত ছিলাম না!
বোরখা? সিরিয়াসলি??
তার চোখ ব্যতীত আর কিছুই দেখা যাচ্ছিল না! কফি শপের মানুষগুলো তার দিকে তাকানো থেকে আমার দিয়ে চেয়ে ছিল! তবে এইটুকু সিউর ছিলাম যে এইটা ছেলে নয়, একদম সিউর যে এইটা মেয়ে!
এসেই তাড়াহুড়া করে আমাকে ৫ মিনিট অপেক্ষা করতে বললো এবং কাকে যেন ফোন দিয়ে বেরিয়ে গেলো! সবকিছু আমার মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছিল!
বোরখা? সিরিয়াসলি??
তার চোখ ব্যতীত আর কিছুই দেখা যাচ্ছিল না! কফি শপের মানুষগুলো তার দিকে তাকানো থেকে আমার দিয়ে চেয়ে ছিল! তবে এইটুকু সিউর ছিলাম যে এইটা ছেলে নয়, একদম সিউর যে এইটা মেয়ে!
এসেই তাড়াহুড়া করে আমাকে ৫ মিনিট অপেক্ষা করতে বললো এবং কাকে যেন ফোন দিয়ে বেরিয়ে গেলো! সবকিছু আমার মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছিল!
১০ মিনিট পর সে এক সাদা-কালো কামিজ পরে এলো এবং বসে আমাকে sorry বললো!
আমি তার রুপ দেখে কিছুক্ষণের জন্য হতবাক হয়ে ছিলাম!
কত্তো সুন্দর সে♥ এখন আর তার সৌন্দর্য নিয়ে কথা না বলি!তাহলে পুরো গল্প আর শেষ হবে না!
আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম-- এভাবে কেন এসেছিলেন?
তার চোখ থেকে পানি এসে গেলো! আমি একটু ঘাবড়ে গেলাম! আমি তাকে থামতে বললাম এবং বললাম আমাকে সব খুলে বলতে যদি সে চায়!
সে বলা শুরু করলো এবং যা বললো তার জন্যও আমি কখনোই প্রস্তুত ছিলাম না! সেদিন যে আমার উপর দিয়ে কি যাচ্ছিল! তামিল মুভিতেও এতো তাড়াতাড়ি এতো টুইস্ট আসে না!
তন্বী বলা শুরু করলো---.…..................
তন্বী যা বলেছে তা আপনাদের হুবাহু বললে কখনোই বুঝে উঠে পারবেন না!
তাই আমি নিজ ভাষায় বলছি-- তনবীর বাবা-মা অনেক কঠোর এবং বলতে গেলে তনবীকে বদ্ধ ঘরে রাখতো এবং স্বাধীনতা তার ছিল না বলতে গেলে! এবং তাকে সারাক্ষণ কঠোর শাসনের মধ্যে রাখতো! আর তার বাইরের জগৎ সম্পর্কে ই নেই!ধারণা একদম
তাই সে ঢাকায় বেরাতে এসে তার মামাতো বোনের মাধ্যমে এই ফেইসবুক খুলে এবং আমাকে খুজে পায়!
আমি তার রুপ দেখে কিছুক্ষণের জন্য হতবাক হয়ে ছিলাম!
কত্তো সুন্দর সে♥ এখন আর তার সৌন্দর্য নিয়ে কথা না বলি!তাহলে পুরো গল্প আর শেষ হবে না!
আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম-- এভাবে কেন এসেছিলেন?
তার চোখ থেকে পানি এসে গেলো! আমি একটু ঘাবড়ে গেলাম! আমি তাকে থামতে বললাম এবং বললাম আমাকে সব খুলে বলতে যদি সে চায়!
সে বলা শুরু করলো এবং যা বললো তার জন্যও আমি কখনোই প্রস্তুত ছিলাম না! সেদিন যে আমার উপর দিয়ে কি যাচ্ছিল! তামিল মুভিতেও এতো তাড়াতাড়ি এতো টুইস্ট আসে না!
তন্বী বলা শুরু করলো---.…..................
তন্বী যা বলেছে তা আপনাদের হুবাহু বললে কখনোই বুঝে উঠে পারবেন না!
তাই আমি নিজ ভাষায় বলছি-- তনবীর বাবা-মা অনেক কঠোর এবং বলতে গেলে তনবীকে বদ্ধ ঘরে রাখতো এবং স্বাধীনতা তার ছিল না বলতে গেলে! এবং তাকে সারাক্ষণ কঠোর শাসনের মধ্যে রাখতো! আর তার বাইরের জগৎ সম্পর্কে ই নেই!ধারণা একদম
তাই সে ঢাকায় বেরাতে এসে তার মামাতো বোনের মাধ্যমে এই ফেইসবুক খুলে এবং আমাকে খুজে পায়!
আমি নিজেই বুঝছিলাম আমি কি খুশি হবো? নাকি বিশাল প্যারায় পড়লাম! মাথা চড়কির মতো ঘুরতেছিল! আর তনবীকে দেখেও মায়া লাগছিল অনেক! অনেক মায়াবী তার চোখ দুটি!
সে আমাকে বললো সে আর ৩/৪ দিন ঢাকায় থাকবে! এরপর সে তার বাড়ি যাবে!
সে আমাকে বললো সে আর ৩/৪ দিন ঢাকায় থাকবে! এরপর সে তার বাড়ি যাবে!
আমি ভাবছিলাম আমি কি করবো?
ভালবাসবো নাকি পালিয়ে যাবো? :/
সেদিনে নিজের মনের কথা শুনেনি আমি উলটা আমি আমার সামনে বসে থাকা মেয়েটির চোখের দিকে তাকিয়ে ডিসিশন নিয়েছিলাম!
হ্যা আমি তাকে বাইরের জগৎ ঘুরিয়ে দেখাবো! তাকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখাবো!
এরইমধ্যে তার বোন আসলো এবং অকে নিয়ে গেলো!
কিন্তু পরেই তার বোন আমাকে এসে বললো যে -- তন্বী আমাকে অনেকবিশ্বাস করে তাই আমি যাতে কোনো খারাপ কিছু না করি!
ভালবাসবো নাকি পালিয়ে যাবো? :/
সেদিনে নিজের মনের কথা শুনেনি আমি উলটা আমি আমার সামনে বসে থাকা মেয়েটির চোখের দিকে তাকিয়ে ডিসিশন নিয়েছিলাম!
হ্যা আমি তাকে বাইরের জগৎ ঘুরিয়ে দেখাবো! তাকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখাবো!
এরইমধ্যে তার বোন আসলো এবং অকে নিয়ে গেলো!
কিন্তু পরেই তার বোন আমাকে এসে বললো যে -- তন্বী আমাকে অনেকবিশ্বাস করে তাই আমি যাতে কোনো খারাপ কিছু না করি!
এছিল তার সাথে আমার প্রথম দেখা এবং তার এই রহস্যময় জীবনকাহিনী!
......
......
..
তার সাথে কাটানো প্রতিটি মুহুর্ত কেনো জানি বিশেষ মনে হচ্ছিল...
তার মুখের সেই অজানা হাসি,তার সেই অচেনা চোখ এবং তার সেই মনোমুগ্ধকর রুপ! সব মিলেই কেন জানি সম্পূর্ণ প্রকৃতিই অপরুপ মনে হচ্ছিল!
টিএসসি, লালবাগ কেল্লা এবং সংসদ ভবন এরকম হাজারো স্থানে তার সাথে কাটানো সময়গুলো আসলেও কথায় ব্যক্ত করা যাবে না!
তবে সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো- সে পুরানো ঢাকায় গিয়ে পুরো ভ্যাবাচ্যাকা হয়ে গিয়েছিল!
পুরান ঢাকার সেই ঐতিহ্যগুলো একের পর এক সে অনুভব করছিল।
২০টাকার সেই শাহীপান,বিখ্যাত হাজীর বিরিয়ানী এবং সাথে বিউটির লাচ্ছি! ♥
তন্বী আজও আমাকে ঐদিনটার জন্য ধন্যবাদ জানায়! ♪♥
আর আমি........
ঠিক ১ সপ্তাহ এমন ঘুরাফেরা করার পর ৮ম দিনে সেই প্যরার সম্মুখীন হলাম তা আপনাদের জন্য এক মহা টুইস্ট xD!
তার মুখের সেই অজানা হাসি,তার সেই অচেনা চোখ এবং তার সেই মনোমুগ্ধকর রুপ! সব মিলেই কেন জানি সম্পূর্ণ প্রকৃতিই অপরুপ মনে হচ্ছিল!
টিএসসি, লালবাগ কেল্লা এবং সংসদ ভবন এরকম হাজারো স্থানে তার সাথে কাটানো সময়গুলো আসলেও কথায় ব্যক্ত করা যাবে না!
তবে সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো- সে পুরানো ঢাকায় গিয়ে পুরো ভ্যাবাচ্যাকা হয়ে গিয়েছিল!
পুরান ঢাকার সেই ঐতিহ্যগুলো একের পর এক সে অনুভব করছিল।
২০টাকার সেই শাহীপান,বিখ্যাত হাজীর বিরিয়ানী এবং সাথে বিউটির লাচ্ছি! ♥
তন্বী আজও আমাকে ঐদিনটার জন্য ধন্যবাদ জানায়! ♪♥
আর আমি........
ঠিক ১ সপ্তাহ এমন ঘুরাফেরা করার পর ৮ম দিনে সেই প্যরার সম্মুখীন হলাম তা আপনাদের জন্য এক মহা টুইস্ট xD!
২দিন তার কোনো খোজ-খবর নেই!
আমি এতো অস্থির হয়ে উঠলাম যে আমি বুঝলাম না কেন আমি এতো চিন্তিত হচ্ছি!
ফোন অফ তার, ফেইসবুক ডিএক্টিভেট,এমনকি তার বোনেরও ফোন অফ!! অনেক চিন্তায় পড়ে গেলাম!
এরপর ৩য় দিনে হঠাৎ একটা অজানা নম্বর থেকে ফোন এলো--
শোনো,রায়হান তন্বী এখন কলকাতায় নিজের বাড়িতে! তুমি যদি ওর সাথে দেখা করতে চাও তাহলে কলকাতায় এসে ৫ তারিখে ভিক্টরিয়া পার্কে এসে কল দিবে! নম্বর আমি তোমাকে ৫ তারিখ সকালে মেসেজ করবো!
এতো তাড়াতাড়ি কথাগুলো বললো যে আমি কিছুই বুঝি নাই! সব মাথার উপর দিয়ে গেলো!
কিন্তু তখনও আমি বুঝিনি যে আমি তন্বী কে এতো ভালবেসে ফেলেছি যে এই ঢাকা থেকে সেই কলকাতা যাওয়ার জন্য আমি পাগল হয়ে গেলাম!
প্রথমে সাহায্য চাইলাম নিজের এক হিন্দু ছাত্র এর কাছে! ওর কাছ থেকে ঐখানকার মানুষের সংস্কৃতি সম্পর্কে জানলাম এবং এরপর গেলাম বন্ধু নিলয়ের কাছে!
নিলয়কে সাথে নিয়ে পাড়ি দিলাম অচেনা শহর কলকাতায়!
আসলেও নিলয় না থাকলে আমি কখনো তনবীকে পেতাম না! সেই সময়ে নিলয়ে আমার জন্য যা করেছে, তার ঋণ আমি কখনো পরিশোধ করতে পারবো না!
এবং প্লান অনুযায়ী সকালে নম্বর পেলাম এবং বিকালে গেলাম ভিক্টোরিয়া পার্ক!
সেইদিন তন্বীকে দেখার পর নিজের মধ্যে আমি হারিয়ে গিয়েছিলাম!
অপূর্ব লাগছিল তাকে হলুদ শাড়িতে আমি আগে কখনো কাউকে এভাবে দেখিনি সেদিন আমি ওকে যেভাবে দেখেছিলাম!
হাতে লাল কাচের চুড়ি এবং কপালে টিপ সবমিলে আমি এক অপরুপাকে দেখছিলাম ♥
আমি এতো অস্থির হয়ে উঠলাম যে আমি বুঝলাম না কেন আমি এতো চিন্তিত হচ্ছি!
ফোন অফ তার, ফেইসবুক ডিএক্টিভেট,এমনকি তার বোনেরও ফোন অফ!! অনেক চিন্তায় পড়ে গেলাম!
এরপর ৩য় দিনে হঠাৎ একটা অজানা নম্বর থেকে ফোন এলো--
শোনো,রায়হান তন্বী এখন কলকাতায় নিজের বাড়িতে! তুমি যদি ওর সাথে দেখা করতে চাও তাহলে কলকাতায় এসে ৫ তারিখে ভিক্টরিয়া পার্কে এসে কল দিবে! নম্বর আমি তোমাকে ৫ তারিখ সকালে মেসেজ করবো!
এতো তাড়াতাড়ি কথাগুলো বললো যে আমি কিছুই বুঝি নাই! সব মাথার উপর দিয়ে গেলো!
কিন্তু তখনও আমি বুঝিনি যে আমি তন্বী কে এতো ভালবেসে ফেলেছি যে এই ঢাকা থেকে সেই কলকাতা যাওয়ার জন্য আমি পাগল হয়ে গেলাম!
প্রথমে সাহায্য চাইলাম নিজের এক হিন্দু ছাত্র এর কাছে! ওর কাছ থেকে ঐখানকার মানুষের সংস্কৃতি সম্পর্কে জানলাম এবং এরপর গেলাম বন্ধু নিলয়ের কাছে!
নিলয়কে সাথে নিয়ে পাড়ি দিলাম অচেনা শহর কলকাতায়!
আসলেও নিলয় না থাকলে আমি কখনো তনবীকে পেতাম না! সেই সময়ে নিলয়ে আমার জন্য যা করেছে, তার ঋণ আমি কখনো পরিশোধ করতে পারবো না!
এবং প্লান অনুযায়ী সকালে নম্বর পেলাম এবং বিকালে গেলাম ভিক্টোরিয়া পার্ক!
সেইদিন তন্বীকে দেখার পর নিজের মধ্যে আমি হারিয়ে গিয়েছিলাম!
অপূর্ব লাগছিল তাকে হলুদ শাড়িতে আমি আগে কখনো কাউকে এভাবে দেখিনি সেদিন আমি ওকে যেভাবে দেখেছিলাম!
হাতে লাল কাচের চুড়ি এবং কপালে টিপ সবমিলে আমি এক অপরুপাকে দেখছিলাম ♥
-- চলো আমার সাথে রায়হান!
আমি নিলয়কে দাড়া করায় রেখে চললামতন্বীর সাথে। আমাকে সেইদিন এতো ক্ষ্যাত লাগতেছিল তা বলার মতো নয়! সেইদিনের তোলা ছবিটা দেখলে আমি লজ্জায় মাথা নিচু করে থাকি তন্বী সামনে।
আমি নিলয়কে দাড়া করায় রেখে চললামতন্বীর সাথে। আমাকে সেইদিন এতো ক্ষ্যাত লাগতেছিল তা বলার মতো নয়! সেইদিনের তোলা ছবিটা দেখলে আমি লজ্জায় মাথা নিচু করে থাকি তন্বী সামনে।
--- রায়হান, তুমি ঢাকা থেকে এতো দূর এসেছো শুধু আমি বলার কারণে! তাহলে তুমি তো মেহমান! কেনো আসলে?
আমি কি বলবো? আমি তো ওর চোখের মধ্যেই হারিয়ে ছিলাম!
-- হুম এসেছি! তুমি বললে আর তাছাড়া আমার কলকাতায় আসা হয়নি, ভাবলাম ঘুরে আসি!
--অও আচ্ছা! তাহলে তুমি কি একাই ঘুরবে? নাকি আমি সাহায্য করবো তোমাকে কলকাতা ঘুরাতে?
-- তোমার সময় থাকলে তুমি করতে পারো! আমার সমস্যা নেই!
--- আচ্ছা কালকে ১১টায় এখানে!
আমি কি বলবো? আমি তো ওর চোখের মধ্যেই হারিয়ে ছিলাম!
-- হুম এসেছি! তুমি বললে আর তাছাড়া আমার কলকাতায় আসা হয়নি, ভাবলাম ঘুরে আসি!
--অও আচ্ছা! তাহলে তুমি কি একাই ঘুরবে? নাকি আমি সাহায্য করবো তোমাকে কলকাতা ঘুরাতে?
-- তোমার সময় থাকলে তুমি করতে পারো! আমার সমস্যা নেই!
--- আচ্ছা কালকে ১১টায় এখানে!
আমি কিছু বলার আগেই সে চলে গেলো......
এরপর শুরু আমার কলকাতা অ্যাাডভেঞ্জার <3
দিনগুলো অনেক সুন্দর যাচ্ছিল !! আর তন্বীর এর জন্য আবেগ্ময় ভালবাসা আরো বেড়ে যাচ্ছিল !
হাওড়া ব্রিজের নিচে সেই রাইডটা আমি কখনো ভুলবো না !
তন্বীর এলোমেলো চুলের মতো তার কথাগুলো আমার কাছে এলোমেলো লাগছিল !! তাছাড়া যদি সাথে ভালোবাসি যারে গানটা থাকতো তাহলে <3
এরপর পুরান কলাকাতা,হাওরা স্টেশন সহ আরো অনেক জায়গা ছিল, তন্বী ভালো করে বলতে পারবে !!
এভাবে দেখতে দেখতে ১৫ দিন চলে গেলো ........................
আমি ভাবলাম এবার আমি তন্বীকে সব বলেই দিবো কিন্তু টুইস্ট নামক প্যারা থেকে বের হতে পারছিলাম না ! আবারো এলো নতুন এক প্যারা !!
পরিবার স্ট্রাইক্সস ম্যান !পরিচিত হলাম সেই ৩১ জনের সাথে !! আই মিন তন্বীর জয়েন্ট ফ্যামিলির সাথে !
ভাইরে ভাই !
মাফ চাই দোয়াও চাই !!
...
(হঠাৎ রুমে তন্বী আপু আসলো)
--- কি অবস্থা রাফসান ??
--জি আপু ! ভালোই আছি !!
--- তো তোমার রায়হান ভাইয়া কতদূর বললো??
--- জি আপু ।। ভা......
---আরেহ বেশি দূর না !! অইযে তোমার ফ্যামিলির এর সাথে পরিচয় এখানে আসলাম !! তাই না রাফসান ?
--- জি ভাইয়া !! আপু মাত্র এখানেই আসলাম !!
--- জানো রাফসান, তন্বীর পরিবার অনেক ভালো ,আমাকে অনেক আদর করতো ঐসময়।
--- দেখো রায়হান ! আমি জানি তুমি কি বলতে অর বলছো !!
--- আচ্ছা ভাইয়া আপু আমি অনেক এক্সসাইটেড !! প্লিজ একটু কন্টিনিউ করেন !!
--- রায়হান এর প্যাচাল অনেক শুনেছ এখন আমারটা শুনো !
(তন্বী আপু বলা স্টার্ট করলো !)
......
আমি রায়হানকে অনেক সময় দিচ্ছিলাম কারণ আমি নিজেই ওকে ভালোবাসতাম। কিন্তু আমি এভাবে কখনোই বলতে চাইনি !! কারণ ছোটবেলা থেকে অনেকটা দেয়ালের মধ্যে আবদ্ধ ছিলাম। আর ছেলে কি কেমন ?? তা জানতামই না !!
আমাদের প্রথম দেখা থেকে শুরে ফেইসবুক সব আমার প্ল্যান ছিল ! আমি যখন ঢাকায় আসি ঠিক তখন আমার এক বোনের সাথে আমি ঘুরতে বেরিয়ে ছিলাম , ঠিক তখনই আমি ওকে দেখি !
আসলে বাকিটা আমি জানি না কিভাবে আমার বোন ওকে খুজে বের করেছিল , তবে এইটুকু জানতাম যে এক স্ট্যাটাস থেকে খুজে ব্রে করেছিল !! আই মিন লোকেশন দিয়ে সার্চ দিলে যে ভিন্ন ভিন্ন পোস্ট আসে সেইখান থেকে !কিন্তু কাহিনী কি ছিলো তা তো শুনলেই আগেই রায়হানের কাছ থেকে !!
নিলয় যেমনটা আমাদের সাহায্য করে ঠিক তেমনি আমার বোনটা না থাকলে হয়তো আমি রায়হানকে পেতাম না !
এরপর কলকাতায় আসা ,কন্টেক্ট অফ রাখা সবই আমার প্ল্যান ছিল !! আমি শুধু দেখতে চাচ্ছিলাম রায়হান কি আমাকে ভালোবাসে ? নাকি বর্তমান যুগের ভাল্বাসার মতো এটা জাস্ট পছন্দ !! যদিও আমি নিজেকেও পরীক্ষা করছিলাম !!
( রায়হান ভাই এর হাসি দেখেই বুঝছিলাম যখন রায়হান ভাই সব জানতে পারছে তখন তিনি কেমনটা ভ্যাবাচেকা খেয়েছিলেন)
আমার পরিবারের সাথে পরিচয় করানোর পর আমি ওর চেহারা দেখে বুঝেছিলাম ও চলে যাবে !! পারবে না আর !
কিন্তু না ও যায় নি ! উলটো কিছু বলার জন্য আমার পিছু পিছু ঘুরছিল কিন্তু আমি ব্যস্ত থাকার অভিনয় করে ঘুরিয়েছি !! কিন্তু সে তাতেও কখনো মন খারাপ করেনি !উলটো বারবার বলার চেষ্টা করেছে !
আমি বুঝতে পেরেছিলাম ও কনফেস করার জন্য প্রস্তুত !
এরপর আমার এবং রায়হানের জীবনের সেই প্রিয়দিনটি এবং সেই প্রিয় জায়গাটি !
আমি আসলেও ভাবিনি কখনো ও আমাকে সেইজায়গায় নিয়ে যাবে ।
রায়হান আমাকে তাজমহলে নিয়ে গিয়েছিল !!
............
আপু কেদে দিলো ! আমি আসলে কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলাম না !
.........
কিছুক্ষণ পর রায়হান ভাইয়া বলা শুরু করলো ......
আমি নিজেও জানতাম তন্বী এতোটা পছন্দ করবে ! সত্যি বলতে নিজের তেমন প্ল্যান ছিল না ! জাস্ট নিজের মাথায় যা ছিল সেটাই বলেছিলাম !
আমি তন্বীকে নিয়ে আসলে তাজমহল যাচ্ছিলাম এবং ও নিজেও পরে ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছে !
তাজমহলে প্রায় দুজনে মিলে ১ থেকে দেড় ঘন্টা ঘুরলাম ... এরপর তন্বীকে নিয়ে এক জায়গায় বসলাম !!
-- আজকের আবহাওয়াটা সুন্দর না ?
-- তাজমহলে সবকিছুই সুন্দর ! শুধু আবহাওয়া কেনো ? পরিবেশ , আশেপাশের মানুষ এমনকি তুমিও সুন্দর !
-- ধন্যবাদ !
(৫ সেকেণ্ডের মতো নিরবতা ছিল )
-- শোনো ,
নিরবতা এই জায়গায় মানায়
যেমন্টা আমি নিরব ছিলাম তোমাকে প্রথম দেখে !
ফেইক আইডির মাধ্যমে যে আমি তোমাকে পাবো তা কল্পনাও ছিল না আমার!
যেদিন তোমার সাথে টিএসসিতে কাটানো সময় থেকে তাজমহলে তোমার পাশে বসা
কেমন জানি আলাদা এক অনুভূতি তৈরি হয়েছিল যখন তুমি হারিয়ে গিয়েছিলে
সেদিন বুঝেছিলাম প্রিয় মানুষ হারিয়ে গেলে কেমন লাগে !!
তবে সেইদিনও বুঝিনি তোমার প্রতি আমার এই আবেগ এতোটাই মজবুত
বুঝেছিলাম বিমানে বসে
যখন টের পেলাম কার টানে আমি এক শহর হতে আরেক শহরে যাচ্ছি !!
আরেহ আমি তো দেশান্তরে !
ভিক্টোরিয়া পার্কে তোমাকে দেখার পর আমি যেই নিশ্বাস ফেলেছিলাম তা কখনোই বলার মতো নয় !
ইচ্ছা করছিল তোমাকে জড়িয়ে ধরে বলে দেই --- ভালোবাসি তোমায় !
তোমার সকল শর্ত মানতে রাজি আমি ,কিসের বাধা ,কিসের ভয় সবকিছুর সামনে থাকবে এই বালক !
কেননা আমি তোমাকে ভালবাসি !!! <3
শেষ করতে না করতেই তন্বী জড়িয়ে ধরে যেভাবে কেঁদে দিয়েছিল সেই মুহুর্তটা আসলেও কল্পনাতীত, কেননা তা যতক্ষ্ণ তুমি অনুভব করবে না ,ততক্ষণ তুমি তা বুঝবে না !
...............
তন্বী আপুর চোখ দিয়ে পানি পড়ছিল এবং আমি আসলেও হতবিম্ব হয়েছিলাম..................
অনেকটা স্বপ্নের মতো কিন্তু এইটাই বাস্তব <3
তন্বী আপু বলা শুরু করলো ......
এরপর আমি ওকে সব কিছু খুলে বললাম ......... যে আমি ওকে অনেক আগে থেকেই পছন্দ করি !
সব শোনার পরও ও রিএক্টই করেনি !! যেটা আমার সব থেকে ভালো লেগেছিল ...............
এরপর
রায়হান যে ৫১ জনের সম্মুখীন হয়েছে তাছিল দেখার মতো !!
ওকথা মনে পড়লে আমার আজও হাসি আসে ..............................
কিন্তু এতো বড় ইন্টারভিউতে সে সবার মন জয় করে ফেলে এবং আমিও ভাবিনি সবাই ওকে এতো তাড়াতাড়ি মেনে নিবে !! কঠোর এই ফ্যামিলির সামনে রায়হান অনেক সুন্দরভাবে নিজেকে তুলে ধরেছিল এবং বাকিটা ইতিহাস।
যদিও ভাগ্যের অবদানও অনেক !!
...........................
--অনেক অনেক সুন্দর ছিল আপু ! ধন্যবাদ আমার সাথে সব শেয়ার করার জন্য !
তো একটা প্রশ্ন করতে পারি আপু ??
--- জি জি বলো !
----ভাইয়ার মাথায় চুল নেই ! আর আমার মনে হচ্ছে আপনার মাথাও চুল নেই ! কারণটা কি আমি জানতে পারি ??
............
আপু মাথার হেজাব খুলে ফেললো !
আমি কি বলবো আর কি জিজ্ঞাসা করলাম সব এলোমেলো হয়ে গেলো !
---- আমাদের বিয়ের এক সপ্তাহ আগে...............
আমি এবং রায়হান দুইজনই জানতে পারলাম যে রায়হানের ব্লাড ক্যান্সার এবং সে আর বেশিদিন বাচতে পারবে না !
রায়হান বললো বিয়ে ভেঙ্গে দিতে কিন্তু আমি তাতে রাজি হই নি!!
আমি আসলে ওকে ছাড়া থাকতে পারবো না......... তাই আমি ওকে না করি কাউকে কিছু না বলতে! বিয়ের পরে আমার পরিবার জানতে পারে কিন্তু তারা কখনোই কিছু বলে নি ,উলটো তারা অকে যে ভালবাসা দিয়েছে তা আমি কখনো ভাবিনি ! নিজের পরিবার এমন হতে পারে সেদিন তাদের দেখে আমি বুঝেছিলাম কেনো আমি এমন <3
যে কয়দিন সে বাচুক তার সাথেই বাচতে চাই এমনকি তার মৃত্যুর পর তার ভালবাসার স্মৃতি নিয়ে যেন বাচতে পারি !!
মজার কথা হলো ওর আগেই আমি আমার চুল ফেলে দেই !! সেদিন রায়হান যে পরিমাণ আমার উপর রাগ করেছিল বলার মতো নয় !
(ভাইয়া চুপ করে তন্বী আপুর কথা শুনছিল )
-- রাফসান, আমার জন্য দোয়া কইরো ভাইয়া !
তবে আমি সত্যিই অনেক ভাগ্যবান যে ওর মতো একজন জীবনসঙ্গী পেয়েছি! সব কিছু জেনেও যে মেয়ে আমাকে বিয়ে করেছে এবং আমার সাথে এখনো আছে।
-- ধন্যবাদ ভাইয়া এবং আপু ! এভাবেই ভালবাসা বেচে থাকুক সবার মাঝে <৩
(সংক্ষেপিত)
Comments
Post a Comment