Skip to main content

অদ্রি


জানি না দূর থেকে তার চুলগুলো দেখে দৌড়ে গিয়ে তার পিছু নিলাম কিন্তু ব্যর্থ :(
অজানা সেই উড়ো চুলগুলো আর পাওয়া যাবে না হয়তো! কিন্তু সে শাড়ি পরেছিল না! দূরের নজর যে এ ভালো হবে তা নিয়েও নিশ্চিত ছিলাম না! ;)
উড়ো উড়ো মন নিয়েই সকলের সাথে কথা বলছিলাম, ছবি তুলছিলাম এমনকি পুরোনো কারো দেখাও পেয়েছি কিন্তু মন যায়নি সেদিকে!
শুধু খুজে বেড়াচ্ছিলাম তাকে!!  এত মানুষের মাঝে কিভাবে যে খুঁজে বের করবো বলা মুশকিল!!
যেহেতু দূরত্ব বেশি তবুও দেখেছি তাকে আমি তখনই বুঝতে পারলাম যে ভালোই লম্বা ছিল সে! প্রথমেই বাধা!! লম্বা কেনো :'(
হুরর!!  আগে দুখ পেয়ে লাভ আছে নাকি! আগে খুঁজে বের করি তারপর দেখা যাবে নে!!
সকালের সূর্যের তাপে অতিষ্ট আমি ঠিক সেই মূহুর্তে....
-- হ্যালো, কেমন আছো??
-- আমি ভালো আছি, তুমি??
-- এইতো ভাল!!
আমার এই বন্ধুটা কেমন জানি ভালো করে কথাই বলে না!! কিন্তু আমি যখন পিছনে ফিরে চলে যাব ঠিক তখনই যা চোখে পরলো তা আমি কল্পনাও করতে পারিনি!!
হয়তো মনে হচ্ছিল লাল শাড়ি -সাদা পাঞ্জাবীর প্রথা আজ ভেঙে লাল জামা- সাদা পাঞ্জাবীর প্রথা চালু করি!
আর ইচ্ছা করছিল লম্বা মেয়ের সাথে যে খাটো ছেলেরাও চলতে পারে তা মানুষকে জানিয়ে দিতে!!
এগুলো কল্পনাতেই সম্ভব কেননা বাস্তবে তখন লালশাড়ি আর সাদা পাঞ্জাবীর আমেজের ভালবাসার সেলফিতে মাতিয়ে উঠেছে পহেলা বৈশাখ!!
আর আমি এই রঙিন বৈশাখের এক সাদা-কালো বালক যার নিকট কেবল ওই লাল জামা পরা বালিকাটাই রঙিন ♥♥
.........


......

এরপর হয়তো ঠিক সেভাবে কথা হতো না ! কেমন জানি হালকা ভয় ভয় লাগতো ! আর সত্যি বলতে কেনো জানি আগে থেকেই আমি তাকে ফলো করতাম ! সে অনেক আগে থেকেই ছোট্ট ছোট্ট ভুল করছিল! এবং তার বারবার ভুল মানুষ পছন্দ করাটা আমার একদমই ভালো লাগতো না !

কখনো খুলে বলতে পারি নি ! কথা বলতে গেলেই ভয় লাগতো ! আমার মনে আছে একদিন সে আমার জন্মদিন সেলিব্রেট করেছিল সেদিন তাকে অনেক সুন্দর লাগছিল তাকে ! এবং তার জন্মদিনেও গিয়েছিলাম আমি ... বরাবরের মতোই তাকে ঐদিনও অপূর্ব  লাগছিল !

আজো আমি আমার আর তার তোলা সেলফিগুলো মাঝে মাঝে বসে বসে দেখি ! ভালোই লাগে আমাদের কিন্তু তার পছন্দে তো আমি পরি না :[ 
আমি বুঝি না কেনো মেয়েরা সর্বদা ভুল মানুষ পছন্দ করে কেনো ? !! এই প্রশ্নটার উত্তর আমি আজো পাই নি তবে বলতে পারি একদিন না একদিন সে তার ভুল বুঝবে এবং আমি অপেক্ষায় থাকবো !
জানি না কখনো তাকে বলতে পারবো কিনা তবে অনেক ভালোবাসি আমি তাকে !
তার দুঃখ কষ্ট আমি সব অনুভব করেছি সেটা সে না বলুক আমাকে ! কিন্তু তার কাছে আসতে পারি নি :[

আর এইটা সত্য যে আমি তার সাথে কথা কম বলি ,দেখা কম করি ! কে চায় ছোট্ট এই ভালবাসার জন্য এই বন্ধুত্ব নষ্ট হোক ! 
আমার কাছে আমার সেই অনুভূতিটাই শ্রেয় যেটা আমি তাকে দেখে অনুভব করি !

ভালোবাসি তোমাকে ! <3
কিন্তু দূরে যেতে চাই না তোমার থেকে !
তাই অনুভূতি অব্যক্তই থাক !

আর যাই হোক এরপর কারো সাথে সম্পর্কে যাওয়ার আগে আমি দেখবো সেই মানুষকে !
তোমাকে আমি আর ভুল কোনো মানুষের কাছে যেতে দেবো না !


তবে অনেক ইচ্ছা করে এই কোলাহলের নববর্ষের দিনে তুমি সাদা-লাল শাড়ি আর আমি সাদা পাঞ্জাবী পরে দুজনে হাত ধরে ঘুরবো ! কিন্তু কখনো শুনেছো কি ইচ্ছা কারো পূরণ হয় ?? :/
ভালো থেকো ! <3

 
#ভালবাসাররঙ

Comments

Popular posts from this blog

একটি মধ্যবিত্ত ভালবাসার গল্প

কিছু গল্প সবসময় এক হয় না!  পার্থক্য, ভেদা-ভেদ সবকিছুতেই থাকে।ঠিক তেমনি ভালবাসার গল্পগুলোতেও কিছু মিল-অমিল পাওয়া যায়!আর আজকে ঠিক তেমনি অতি সাধারণ একটা গল্প তুলে ধরতে যাচ্ছি! 'মধ্যবিত্ত' শব্দটা হয়তো সকলেরই অনেক পরিচিত। মধ্যবিত্ত মানুষগুলো ধনী-গরীব হতে সম্পূর্ণ ভিন্ন।তাদের চিন্তা-ভাবনা,চলাফেরা এমনকি জীবনযাপনও ভিন্ন। আর মধ্যবিত্ত ভালবাসা এর মানে বুঝাই যাচ্ছে এর মধ্যেও কিছুটা ভিন্নতা আছে! ♥ কলেজ পড়ুয়া মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলের সাথে প্রেম করা বর্তমান যুগের মেয়ের জন্য তুলনামুলক প্যারাময়! কেননা এইসকল ছেলের থাকে না টাকা-পয়সা,মোটরসাইকেল আর কত কি!  কিন্তু মেয়েরা ভুলে যায়, অন্যদের মতো ঐ ছেলেদেরও সুন্দর একটা মন আছে, তারাও ভালবাসতে জানে!  টাকা-পয়সা বাইক এইসব শো অফ করাই কি ভালবাসা?? প্রেমিকার জন্মদিনে বড় অনুষ্ঠান করা, এ্যানিভার্সারি পালন করা আর আজাইরা টাকা খরচও কি ভালবাসা?? :/ ভালবাসা এমন হতে পারে না........ ১০০ টাকায় রিক্সা ভাড়া করে কিছুদূর ঘুরা! পাশাপাশি বসে একসাথে ফুচকা খাওয়া!♥ জন্মদিনে/অথবা অন্যকিছুতে টিফিনের এবং যাতায়াতের টাকা বাঁচিয়ে প্রিয় মানুষের জন্য ছোট্ট কিছু করা ...

তুমি, আমি আর সংসার (খুনসুটে অতীত)

  ২৩ শে জুন : শুভ জন্মদিন,ফায়াজ! :উম্ম, আপনার তাহলে মনে আছে?! ধন্যবাদ! : হ্যাঁ মনে কেনো থাকবে না!  স্বামীর জন্মদিন মনে রাখা একজন স্ত্রীর দায়িত্ব! শুনো টেবিলে ব্রেক-ফাস্ট রেডি করা আছে আর মা নানুর সাথে দেখা করতে গিয়েছে! বাসা তালা দিয়ে যেয়ো, আমাকে জলদি অফিসে যেতে হবে! : আচ্ছা একটু অপেক্ষা করেন, আমি নামিয়ে দিয়ে আসি! : নাহ নাহ! আপনি খেয়ে বের হয়েন এইটুকুই! এবং শুভ জন্মদিন!  বেশি প্রেসার নিয়েন না জন্মদিনে হাহাহাহা!  ( ফারিন অফিসের জন্য বের হলো) [বিয়ের ৩-৪ মাসের মধ্যে মেয়েটা আমাকে ভালোই চিনে ফেলেছে, যাক ভালো! তিনি ঠিক থাকলেই হলো! আর আজকের এই দিনে আর কি বা চেতে পারি! বছরের ঠিক মাঝে জন্মদিন, ব্যাপারটা ভালোই কিন্তু আজও কেউ কখনো..  উম্ম থাক! এই বুড়া বয়সে এসে এইসব ভাবা ঠিক না! ] বাথরুমে গিয়ে দেখি আয়নায় একটা স্টিকি নোট (শুভ জন্মদিন ডাক্তার সাহেব, হাসি মুখে ব্রাশ করে নাস্তার টেবিলে বসে যেয়েন, ভুলে যেয়েন না কিন্তু) [আমার বারবার নাস্তা করতে ভুলে যাওয়া এই ব্যাপারটা একবারে মাথায় নিয়ে নিয়েছে! খুবই অল্প সময়ের মধ্যেই একটা মজবুত বন্ধন কাজ করছে দুজনের মাঝে ব্যাপারটা মোটেও খা...

বন্ধুত্ব

বন্ধু শব্দটা মূলত অনেক কমন!  শৈশব থেকেই এই শব্দের যাত্রা শুরু হলেও কৈশোরকাল থেকে বন্ধু শব্দটা উপলব্ধি করা যায়! আর সত্যি বলতে এয়ারটেলের বিজ্ঞাপনের মাধ্যমেই আসল বন্ধুত্ব এর মর্ম বুঝা যায়! :p কমবেশি বন্ধু কিন্তু সবারই থাকে।  তবে সব বন্ধু এক রকম না কিংবা একজাতের না. .. খুব অল্প কিছু বন্ধু থাকে, যারা একদমই অন্যরকম !! সবার থেকে ভিন্ন! অন্য বন্ধুরা যখন বৃষ্টি হইলে তোমার জন্য ছাতা নিয়ে দৌড়ায়ে আসবে ... "এই নে " কিংবা এক ছাতার নিচে থেকে একসাথে যাবে! অন্যরকম বন্ধুগুলা তখন উল্টা তোমার মাথার ছাতাটা কেড়ে নিয়ে বন্ধ করে দিয়ে বলবেঃ "ছাতা কি কামে লাগে ?? চল ভিজি !!" বন্ধুর পাল্লায় পড়ে বৃষ্টিতে ভিজে তোমার জ্বর হবে ...পরিণতি ভালো হবে না! তুমি যখন কাতর গলায় বলবা, তোমার জ্বর আসছে, শুধুমাত্র তোর কারণে!.. তখন ঐ অসাধারণ বন্ধু তোমারে বলবেঃ(হাসতে হাসতে) "তো ?? আজকে জ্বর হইছে, কালকে নিউমোনিয়া হবে !!" "কি বলতেছিস এগুলা ??তুই আমারে বোদোয়া দিতেসিস!!" "হুম ... আমি দোয়া করি তোর নিউমোনিয়া হোক !!" "কেন ? তাতে তোর কি লাভ?" "তোর নিউমোনিয়া হইলে...