Skip to main content

DREAM 3


অতএব দেখতে দেখতে আরেকটা সিজন চলে গেলো !
এখন ভাবছেন কি আমি কোন সিজনের কথা বলছে ?!
চিন্তা নেই ! বলছি !
আমি আসলে বাংলাদেশের অ্যাডমিশন সিজনের কথা বলছিলাম !
যেই সিজনে উল্লাসের পাশাপাশি ছিলো ডিপ্রেশন আর মনের কষ্ট !
সাথে ছিলো হাজারো ভাঙ্গা স্বপ্ন ! তবে কিছু স্বপ্ন কিন্তু সত্যিই পূরণ হয়েছে !

এতো কিভাবে জানি সেটাই তো ভাবছেন !
আসলে আমি নিজেই এইবারের সিজনের বুড়া প্রতিযোগী ছিলাম !
আর সাথে র‍য়েছে পুরোনো বছরের অনুভূতি !

শুরু করি ফার্মগেটের পরিস্থিতি নিয়ে !
যেখানে আপনি দেখতে পাবেন হরেক রকম স্বপ্ন গড়ার কারিগরদের অফিস ! এবং সেই সকল অফিসের ব্যানারে দেখতে পাবেন সাফল্যের কাব্য ! <3 কিন্তু খুঁজে পাবেন না কোনো ব্যর্থতার কাব্য ! অথবা পাবেন না কোনো অফিস থেকে কতজন ব্যর্থ হয়েছে সেটার তথ্য !

তবে সাইন্স ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে আসা সবাই কেনো জানি অন্যদিকে দৌড়ায় ! কেননা চাকরির বাজার বলে কথা ! এদের মধ্যে অনেকে কিন্তু ক্লাস নাইনে কমার্স নিয়ে পড়তে চিয়েছিলো ! আমাদের তথাকথি্ত সমাজের প্রেসারের তারা সেটা করতে পারে নি !কেননা সে সময়ে তাদের বাবা-মা এর কাছে কমার্স বলে কিছুই ছিলো না ! ছেলে/মেয়েকে সাইন্সে না পড়াতে পারলে তো সমাজে তাদেরকে নিম্নমানের স্টুডেন্ট হিসেবে দেখবে,আর কোন বাবা-মা-ই চাবে তার সন্তানকে নিয়ে সমাজে নিন্দা হোক !

এটা আমার নিজের চিন্তা-ভাবনা ! অন্যরকম পরিস্থিতিও হতে পারে !

যেখানে ছিলাম ! ফার্মগেটের প্রথম সপ্তাহে দেখতে পাবেন হাজারো শিক্ষাথীর স্বপ্নের চোখ আর প্রচেষ্টার ইচ্ছা ! যেখানে মিলিত হয় সকল টাইপের শিক্ষার্থী। কেউ গ্রাম থেকে আসে ,কেউ আসে অন্যন্যা শহর থেকে ! কিন্তু সকলের লক্ষ্য একটাই !! যেকোনো একটা পাবলিক ভাসির্টি ! <3

হাতে থাকবে হরেক-রকমের বই এবং কাধে থাকবে বিভিন্ন অফিসের ব্যাগ ! সাথে দেখতে পাবেন লাইব্রেরিতে তুমুল এক ভীড় !
আসলে দৃশ্যগুলো দেখতে ভালো লাগেই ! কিন্তু যখনি মনে পরবে ২/৩ মাস পর কেউ হাসবে,কেউ কাদবে ঠিক তখনি আপনার মনটা ভারাক্রান্ত হয়ে পড়বে !

একটা মজার কথা বলি !
আমাদেরকে ছোট্টবেলা থেকে বলা হয় --- বাবা! তুমি ক্লাসে প্রথম হলে তোমাকে আমি সাইকেল কিনে দিবো !ঠিক এ কথা শুনার পর আমারও লেগে পড়তাম আমাদের সাইকেল অর্জনের যুদ্ধে !
কিন্তু
আমাদের কেনো বলা হতো না যে আমরা যদি প্রথম না হতে পারে তাহলে আমাদের কি দেওয়া হবে অথবা কি করা হবে ?!

আসলে আমরা সবসময়ই সাফল্যের গান গাই !সাফল্যকে বরণ করে নেই !কিন্তু আমাদের কেনো ব্যর্থতার গান শিখানো হয় না ! কেনো ব্যর্থদের পাশে দাঁড়ানো হয় না ?? যারা ব্যর্থ  হয় তারা কি কষ্ট করে নি ? তারা কি পড়াশুনা করে নি ?

যাই হোক এটা আমাদের সমাজ ! আর এই সমাজ থেকে তো আমরা বের হয়ে যেতে পারবো না !
তবে অনুরোধ রইলো সকল পিতা-মাতাকে !
অনুগ্রহপূর্বক আপনার সন্তানকে ছোট থেকেই বাইরের শহরে অথবা বিভিন্ন প্রাচীন স্থানে ঘুরাতে নিয়ে যাবেন এবং সেখানের সম্পর্ক এ জানাবেন !
স্মৃতিসৌধের তথ্য মুখস্ত না করিয়ে তাদের সেখানে ঘুরতে নিয়ে যান এবং দেখিয়ে দেখিয়ে তাকে তথ্যগুলো বলুন !! দেখবেন এতে আপনার সন্তানের মাথায় সেই কথা আর ছবিগুলো থেকে যাবে !

আমার পক্ষ থেকে ছোট্ট একটা অনুরোধ এটা ! <3

যাই হোক এই বছর যারা স্বপ্ন পূরণে ব্যর্থ তারা ডিপ্রেশনে না ভুগে সামনের জন্য প্রস্তুত হও ! সামনে আরেক অগ্নিপরীক্ষা অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য !

বেস্ট অফ লাক সবাইকে !
<3
আবার আগামী বছর দেখা হবে নতুন এক সিজন শেষে ! <3


[[WE SHALL OVERCOME]]

Comments

Popular posts from this blog

একটি মধ্যবিত্ত ভালবাসার গল্প

কিছু গল্প সবসময় এক হয় না!  পার্থক্য, ভেদা-ভেদ সবকিছুতেই থাকে।ঠিক তেমনি ভালবাসার গল্পগুলোতেও কিছু মিল-অমিল পাওয়া যায়!আর আজকে ঠিক তেমনি অতি সাধারণ একটা গল্প তুলে ধরতে যাচ্ছি! 'মধ্যবিত্ত' শব্দটা হয়তো সকলেরই অনেক পরিচিত। মধ্যবিত্ত মানুষগুলো ধনী-গরীব হতে সম্পূর্ণ ভিন্ন।তাদের চিন্তা-ভাবনা,চলাফেরা এমনকি জীবনযাপনও ভিন্ন। আর মধ্যবিত্ত ভালবাসা এর মানে বুঝাই যাচ্ছে এর মধ্যেও কিছুটা ভিন্নতা আছে! ♥ কলেজ পড়ুয়া মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলের সাথে প্রেম করা বর্তমান যুগের মেয়ের জন্য তুলনামুলক প্যারাময়! কেননা এইসকল ছেলের থাকে না টাকা-পয়সা,মোটরসাইকেল আর কত কি!  কিন্তু মেয়েরা ভুলে যায়, অন্যদের মতো ঐ ছেলেদেরও সুন্দর একটা মন আছে, তারাও ভালবাসতে জানে!  টাকা-পয়সা বাইক এইসব শো অফ করাই কি ভালবাসা?? প্রেমিকার জন্মদিনে বড় অনুষ্ঠান করা, এ্যানিভার্সারি পালন করা আর আজাইরা টাকা খরচও কি ভালবাসা?? :/ ভালবাসা এমন হতে পারে না........ ১০০ টাকায় রিক্সা ভাড়া করে কিছুদূর ঘুরা! পাশাপাশি বসে একসাথে ফুচকা খাওয়া!♥ জন্মদিনে/অথবা অন্যকিছুতে টিফিনের এবং যাতায়াতের টাকা বাঁচিয়ে প্রিয় মানুষের জন্য ছোট্ট কিছু করা ...

তুমি, আমি আর সংসার (খুনসুটে অতীত)

  ২৩ শে জুন : শুভ জন্মদিন,ফায়াজ! :উম্ম, আপনার তাহলে মনে আছে?! ধন্যবাদ! : হ্যাঁ মনে কেনো থাকবে না!  স্বামীর জন্মদিন মনে রাখা একজন স্ত্রীর দায়িত্ব! শুনো টেবিলে ব্রেক-ফাস্ট রেডি করা আছে আর মা নানুর সাথে দেখা করতে গিয়েছে! বাসা তালা দিয়ে যেয়ো, আমাকে জলদি অফিসে যেতে হবে! : আচ্ছা একটু অপেক্ষা করেন, আমি নামিয়ে দিয়ে আসি! : নাহ নাহ! আপনি খেয়ে বের হয়েন এইটুকুই! এবং শুভ জন্মদিন!  বেশি প্রেসার নিয়েন না জন্মদিনে হাহাহাহা!  ( ফারিন অফিসের জন্য বের হলো) [বিয়ের ৩-৪ মাসের মধ্যে মেয়েটা আমাকে ভালোই চিনে ফেলেছে, যাক ভালো! তিনি ঠিক থাকলেই হলো! আর আজকের এই দিনে আর কি বা চেতে পারি! বছরের ঠিক মাঝে জন্মদিন, ব্যাপারটা ভালোই কিন্তু আজও কেউ কখনো..  উম্ম থাক! এই বুড়া বয়সে এসে এইসব ভাবা ঠিক না! ] বাথরুমে গিয়ে দেখি আয়নায় একটা স্টিকি নোট (শুভ জন্মদিন ডাক্তার সাহেব, হাসি মুখে ব্রাশ করে নাস্তার টেবিলে বসে যেয়েন, ভুলে যেয়েন না কিন্তু) [আমার বারবার নাস্তা করতে ভুলে যাওয়া এই ব্যাপারটা একবারে মাথায় নিয়ে নিয়েছে! খুবই অল্প সময়ের মধ্যেই একটা মজবুত বন্ধন কাজ করছে দুজনের মাঝে ব্যাপারটা মোটেও খা...

বন্ধুত্ব

বন্ধু শব্দটা মূলত অনেক কমন!  শৈশব থেকেই এই শব্দের যাত্রা শুরু হলেও কৈশোরকাল থেকে বন্ধু শব্দটা উপলব্ধি করা যায়! আর সত্যি বলতে এয়ারটেলের বিজ্ঞাপনের মাধ্যমেই আসল বন্ধুত্ব এর মর্ম বুঝা যায়! :p কমবেশি বন্ধু কিন্তু সবারই থাকে।  তবে সব বন্ধু এক রকম না কিংবা একজাতের না. .. খুব অল্প কিছু বন্ধু থাকে, যারা একদমই অন্যরকম !! সবার থেকে ভিন্ন! অন্য বন্ধুরা যখন বৃষ্টি হইলে তোমার জন্য ছাতা নিয়ে দৌড়ায়ে আসবে ... "এই নে " কিংবা এক ছাতার নিচে থেকে একসাথে যাবে! অন্যরকম বন্ধুগুলা তখন উল্টা তোমার মাথার ছাতাটা কেড়ে নিয়ে বন্ধ করে দিয়ে বলবেঃ "ছাতা কি কামে লাগে ?? চল ভিজি !!" বন্ধুর পাল্লায় পড়ে বৃষ্টিতে ভিজে তোমার জ্বর হবে ...পরিণতি ভালো হবে না! তুমি যখন কাতর গলায় বলবা, তোমার জ্বর আসছে, শুধুমাত্র তোর কারণে!.. তখন ঐ অসাধারণ বন্ধু তোমারে বলবেঃ(হাসতে হাসতে) "তো ?? আজকে জ্বর হইছে, কালকে নিউমোনিয়া হবে !!" "কি বলতেছিস এগুলা ??তুই আমারে বোদোয়া দিতেসিস!!" "হুম ... আমি দোয়া করি তোর নিউমোনিয়া হোক !!" "কেন ? তাতে তোর কি লাভ?" "তোর নিউমোনিয়া হইলে...