Skip to main content

তুমি,আমি আর কবিতা (TALE-2: Leicester City)



তুমি,আমি আর কবিতা
গল্প-২ লেস্টার সিটি

১৬ অক্টোবর,২০১৯
-- আমার সাথে কথা না বললে সব ঠিক হয়ে যাবে তোমার?
-- না, ঠিক তেমনটা নয়! 
-- প্রত্যয়, তুমি নিজের সর্বোচ্চ দিয়েছো, এখন বাকিটা তো আল্লাহর হাতে তাই না?
--হ্যাঁ, তবে সবসময় আমিই কেনো? :'(  
-- আরেহ বোকা ছেলে রে! সবারই মনে হয় তার সাথেই এমন হয়!  এখন তাই বলে কি সবাই থেমে আছে! 
-- আচ্ছা পরে কথা বলি আমরা! 
-- না পরে কথা না! আজকে দেখা করতে পারবে? অনেকদিন ফুচকা খাওয়া হয় না! 
-- আচ্ছা আমি জানাবো নে!  
-- খেয়াল রেখো এবং মাথায় প্লিজ উল্টা-পাল্টা কিছু নিয়ো না!  আর যদি আসেও তাহলে আন্টি আর আমার কথা মাথায় রেখো বুঝলে! 
-- আচ্ছা ম্যাডাম! 

১৮ অক্টোবর,২০১৯
-- বুঝলাম ফোন ধরবে না, বাট থাকো কিভাবে কথা না বলে! 
-- ইচ্ছা করছিল না! তুমি এখানে এলে কিভাবে? আমি এখানে কে বললো তোমাকে?
-- আমাদের প্রেম হয়তো বেশিদিনের নয়, প্রত্যয়! তবে তোমাকে আমার বুঝতে ৫ সেকেন্ডের বেশি সময় লাগে না!  বুঝলে?
-- বুঝলাম, বাট আজকে ভালো লাগছে না বিভর! কেমন জানি সব এলোমেলো হয়ে গেলো?!
--আমি জানি এজন্য তোমার প্রবলেম সলভ করতেই আমার আসা! এখন তুমি আমাকে বলো নিজেকে দোষারোপ দিয়ে তুমি কি মেডিকেলে চান্স পেয়ে যাবে?
-- নাহ! 
-- তাহলে কেনো নিজেকে বার বার দোষারোপ করছো?
-- বিভোর,প্রায় ২ বছরের মতো কষ্ট, ত্যাগ,বাবা-মা এর ইচ্ছা, আমার ইচ্ছা....  কিছুই হলো না কেনো? কোনো কমতি তো রাখিনি আমি! কেনো এমন হলো!
-- আরেহ বাবা!  শুধু কি তোমার একার? তোমার মতো আরো হাজারো ভালো ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে তাদের কথা ভাবো! তুমি চেষ্টা করেছো সেটা সবাই জানে!  আন্টি-আংকেল সবাই জানে!  এমনকি আমিও ভালো করে জানি! 
তাই বলে তো তুম থেমে থাকবে না! ভাগ্যকে তো আর এখন পরিবর্তন করা যাবে না!  
-- এখন কি করবো?  আমাকে প্লিজ একটু বলো! মনে হচ্ছে আমি একটা সাগরে মধ্যে ভেসে আছি! আমার নৌকা-প্রয়োজনীয় জিনিস সব ভেসে গেসে! কি করবো আমি?আরেকটু পর হয়তো আমি নিজেই ডুবে যাবো!  :(
--- আরেহ বকা ছেলে রে! কিছুই হবে না!  সব ঠিক হয়ে যাবে! তুমি আমার ভার্সিটির জন্য ট্রাই করো অথবা ব্র্যাক-এনএসইউ ট্রাই করো! জানি তোমার মাথা থেকে ডাক্তারি এর ভূত নামবে না এবং আমিও চায়নি নামুক! তবে পরিস্থিতি এখন এমন!  অথবা বাসায় একবার কথা বলে দেখো! 
-- তুমি প্রাইভেট মেডিকেলের কথা বলছো?
-- হ্যাঁ, আমি জানি তুমি আমাকে কি বলেছিলে কিন্তু প্রত্যয় এটা তোমার স্বপ্ন, এটা তোমার ইচ্ছা!  একবার চেষ্টা করে দেখো!  আমি জানি তুমি পারবে!  আমি এটাও জানি আংকেল-আন্টিও রাজি হবে! কথা বলে দেখো!      

২০ অক্টোবর ২০১৯
-- কথা হয়েছে বাসায়?
-- বিভু,বুঝতেসি না কিছুই আমি!  বাসায় একটু আলাদা পরিস্থিতি! ঐদিকে সব সিনিয়রা বলতেসে যে মেডিকেলেই ভর্তি হতে! কোচিং এর সবাইও তাই করতেসে তবে বাসায়....
-- দেখো, রাফ!  তোমার স্বপ্ন যেটা তুমি সেটাই করবে! হ্যা,তুমি বড় ছেলে টাকার কথা ভাবতে পারো, কিন্তু নিজের মনের বিরুদ্ধে থেকে তুমি কোনো কিছুই করতে পারবে না! আর নিজেকে ছোট করে দেখারও কোনো মানে হয় না!  তুমি কেমন সেটা আশেপাশের সবাই জানে! 
-- আমার এখন মনে হচ্ছে আমার প্রাইভেটেও নাম আসবে না!
-- শুরুতেই নেগেটিভ চিন্তা ভাবনা!    
আচ্ছা আমার কথা ভালো করে শুনো! প্রিমিয়ার লিগ দেখো তো তাই না!  এখন ধরো, সবাই তো ঐ ট্রফিটাই চাই, কিন্তু সবাই তো সেটা পায় না!  যেকোনো এক দল পায়, তবে চেষ্টা কিন্তু সবাই করে! কেউ হয়তো আগে থাকে অথবা কেউ পরে! ব্যাপারটা এমন হতে পারে তুমি লিভারপুল হতে চাচ্ছিলা কিন্তু হতে পারো নি!  তাই বলে বাকি দল কি হার মেনে বসে আছে! ট্রফি পাও নি ঠিক আছে কিন্তু পরের পজিশনগুলা তো আছে!  সবাই যদি লিভারপুল হতো তাহলে তো কাজই হতো আর না হয় আমি আজকে আইবিএতে পড়তাম! মনে রেখো প্রিমিয়ার লীগ সবকিছু নয় ,তার উপরে কিন্তু চ্যাম্পিয়ানস লীগ আছে ! যেখানো বিভিন্ন লীগের সেরা দল খেলে ! আমাদের জীবনের কিন্তু এখনো চ্যাম্পিয়ান্স লীগ আসে নি !

(আমি এখনো ভাবিনি বিভোর এই কথাগুলো বলবে,আমি শুধুমাত্র ওর কথা গুলো মন দিয়ে শুনছিলাম!) 

প্রত্যয়, তুমি কি জানো? তুমি হলো লেস্টার সিটি! চেষ্টা বন্ধ করা যাবে না! তুমি ভালো করবে এই বিশ্বাস আছে আমার! 
লেস্টার সিটি কেনো তোমাকে বলেছি এই উত্তর তুমি আমাকে দিবে! ভাবতে থাকো! 

-- ধন্যবাদ বিভোর! 
-- ধন্যবাদ দিয়ে আমাকে ছোট করতে হবে না! আইসক্রিম খাবো!  খাওয়ার মি:রাফসান!
-- চলেন! 

(সংসদের পাশের রাস্তায়)
-- আচ্ছা প্রত্যয় শুনো! 
-- হুম বলেন ম্যাডাম! 
-- আসলে আমি চাচ্ছি তুমি বিইউপিতে পরীক্ষাটা দাও!  আই মিন ভালো করেই দাও! 
-- আমি দিবো কিন্তু ম্যাথস আমাকে দিয়ে হচ্ছে না!  চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু হচ্ছেই না! 
-- মেনটরস এর বইটা একবার দেখে যাও!  আর বাকিটা তুমি পারবে আমার মনে হয়! 
-- আচ্ছা ঠিক আছে! শুনো!  আমি একবার তোমাকে জড়িয়ে ধরতে পারি?
-- এইখানে? 
-- হ্যাঁ
-- আচ্ছা! 
--(জড়িয়ে) ধন্যবাদ বিভু!  আমার পাশে থাকার জন্য! 


০৩ নভেম্বর ২০১৯

-- সরি রাফ!  লাস্ট দুই/তিনদিন প্রেজেন্টেশনের প্যারায় ঠিকমতো কথা বলতে পারিনি!  কেমন আছো তুমি?
-- এইতো বেচে আছি!আর কি! তোমার প্রেজেন্টেশন কেমন গেলো?
-- এই তো আলহামদুলিল্লাহ ভালো!  
-- বিভু আমরা কি দেখা করতে পারি এই সপ্তাহে?
-- আসলে রাফ!  এই সপ্তাহে আমার একটা এক্সাম আছে!  পরের সপ্তাহের শুরতে মাস্ট!  আই প্রমিজ! 
-- ওকে ওকে প্রবলেম নেই!  বিভু আমার বিইউপিতে হয়নি! 
-- আরেহ!  তো কি হয়েছে!  আপনি মেডিকেলের মানুষ!  না হতে পারে!  এতে এতো দুঃখিত হওয়ার কিছু নেই! 
-- তুমি আমার উপর ফেড আপ হয়ে যাচ্ছো কি?
-- এই ছেলে মাথা ঠিক আছে? এই বিষয়ে এখন কোনো কথা হবে না! তুমি নিজের খেয়াল রাখো! 
আর শুনো, একটু বক্সের বাইরে চিন্তা করো পারলে, আশা করে বুঝেছো! 
-- হ্যাঁ, তুমিও নিজের খেয়াল রেখো!  বাই! 
-- বাই!  
  
০৮ নভেম্বর ২০১৯ 
-- বিভু, চারপাশের কথা শুনে তো ভালো থাকতে পারছি না!
-- কেনো কি হয়েছে?
-- বেশি টাকা দিয়ে সবাই সিট কিনে রাখছে! কেউ কেউ তো পাশ করে নাও তাও সিট কিনে ফেলছে! 
-- এই অবস্থা কি আসলেও! 
-- আমি তো এইসবই শুনতেছি! 
-- আচ্ছা, একটা কথা বলি, এমবিবিএস বাদ দাও! তুমি অন্য কিছুতে চেষ্টা করো! 
-- তুমি এই কথা বলতেছো?
-- হ্যা এছাড়া আমি আর উপায় দেখছি না! বায়োলজির আরো অনেক বিষয় আছে!  তুমি ফার্মেসি ট্রাই করো, বায়োটেকনোলজি অথবা মাইক্রোবায়োলজি ট্রাই করে দেখো!  এমবিবিএস তোমার ভাগ্যে নেই!  তাছাড়া অনেক বাধাও আসতেছে! 
-- তুমি বিরক্ত হয়ে গেছো?
-- না আমি বিরক্ত না!  আমি জাস্ট চিন্তিত তোমাকে নিয়ে! এছাড়া কিছুই না! 
আমি বাসায় যাবো দিয়ে আসবে আমাকে?
-- হ্যাঁ, চলো! 

(সেদিন রিক্সায় বিভোর একটা কথাও বলেনি! সারা রাস্তা কেমন জানি নিস্তব্ধ ছিলো! আর আমি ভাবছিলাম কেনো ও আমাকে  লেস্টার সিটি বলেছিল? কারণ আমি ব্যর্থ নাকি অন্যকিছু)

সারা রাত ঐদিন ভাবলাম এবং বাসায় আম্মু- আব্বুর সাথে কথা বলে ব্র্যাকের ফর্ম ফিল আপ করলাম! ওইদিকে ওর পরীক্ষা ছিলো বলে আমি ওকে ফোনও করি নি এবং কিছুই জানাই নি! 

০১ ডিসেম্বর ২০১৯ 
-- কেমন আছো বিভু? পরীক্ষা কেমন যাচ্ছে আপনার?
-- এতো দিনে!  তবে মেসেজ দিতে ভুলো নি তুমি 🤗! আমি ভালো আছি এবং পরীক্ষা ভালোই যাচ্ছে স্যার! তো আপনার অবস্থা বলেন?
-- আমি মাত্র ৩/৪ জায়গায় ফর্ম ফিল আপ করে বেংগল এ এসে বসলাম এবং আপনাকে ফোন দিলাম!  
-- হাতে কোন বই তোমার?
-- কিভাবে বুঝলে?
-- শুনেন স্যার, বেংগলে গেলে আপনার হাতে বই থাকবেন না এমনকি হতে পারে!  হাহাহা! 
-- উন্মাদ এর ঘটনা - আহসান হাবীব এর বই! 
-- পড়েন পড়েন আর বেশি চিন্তা কইরেন না! 
-- জি!  আর আপনিও আমাকে নিয়ে বেশি ভাবিয়েন না!  পরীক্ষা ভালো মতো দিয়েন! 
-- অবশ্যই স্যার!  হেহেহে! খেয়ে নিয়ো সময়মতো!  আল্লাহ হাফেজ! 
- আল্লাহ হাফেজ! 

( এরপর আরো ২/৩ জায়গায় বাবা ফর্ম কিনলো এবং আমিও একটু আশার আলো নিয়ে বসেছিলাম)
(ওপাশে ব্র্যাকে পরীক্ষা দিলাম, মোটামুটি ভালোই হলো! ব্র্যাকের পরিবেশও ভালো লাগলো!  বলতে গেলো বড়লোকদের স্থান টাইপ মনে হলো আর কি! ভাবছিলাম ভর্তি হয়ে যাবো যদি হয়ে যায় আর কি! ) 

বিভোরের পরীক্ষা শেষে ওকে সব বললাম!  খুশি হয়েছিল খুব ও!  রাগ করেনি কিন্তু বলছিলে যে ওকে জানানো উচিত ছিলো! আমারও সেটা মনে হয়েছে! তবে আমি ওকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম আমি কেন লেস্টার সিটি? সে আবারো একই কথা বলেছে,  ভেবে নাও! 

প্রাইভেট মেডিকেলের রেজাল্ট দিয়ে দিলো !  আসেনি নাম কোথাও আসেনি! মনে হলো পাহাড় ভেঙে মাথার উপর পড়লো!  নিজেকে নিয়ে সন্দেহ হলো  যে এই অবস্থা নিজের!  প্রাইভেট থেকেও ডাক আসলো না!  :( 
যদিও জানতাম আসবে না,তাও নিজেকে অনেক ছোট মনে হলো! বিভোরকে বলার সাহস পেলাম না, বাসা থেকে বেরিয়ে পড়লাম! 

হাটতে হাটতে ভাবলাম কি করা যায়, বাবা-মা কে মুখ দেখানোর সাহসও নেই! আমার কষ্টের কি কোনো দাম নেই! আত্নহত্যার কথা মাথায় আসলো!  আসলে মাথায় আসে নি! আমার নিজেকেই নিজের ভালো লাগছিল না!  আশেপাশের মানুষের কথা, নিজের অবস্থা,বাবা-মা এবং বিভোর সব কিছু এসে এলোমেলো হয়ে যাচ্ছিল! 
এরপর এক সিনিয়র ভাইয়ের কাছ থেকে ঘুমের ঔষধের নাম নিলাম এবং সেটা কিনতে গিয়েও কিনতে পারিনি! প্রেসক্রিপশন ছাড়া বলে ঘুমের ঔষুধ বিক্রি করে না!  খুব রাগ উঠলো অনেক নিজের উপর! বাসায় গেলাম এবং শুয়ে পড়লাম কারো সাথে কথা না বলে!  

২-৩ দিন এইভাবেই ঘুমিয়ে কাটলো! বাবার সামনে তো যেতেই পারলাম না!  বিভোরের সাথেও শুধু মেসেজে কথা হচ্ছিল আর কি পৃথিবীটা কেনো জানি উল্টো উল্টো লাগছিল!

কয়েকদিন পর... 
বাবা বুঝিয়ে এক জায়গায় ভর্তি করিয়ে দিলো!  একটু খুশি ছিলাম তবে সেই লেভেলের না!  কারণ জায়গা আমার পছন্দের না!  তবে শুধুমাত্র  পড়াশুনাটা নিজের পছন্দের বলে খুশি থাকলাম! 
বিভোরকে জানালাম আমি! বিভোর সেই লেভেলের খুশি হলো! এতো খুশি হবে তা বুঝি নি কখনোই!ওর খুশি দেখে আমি নিজেও খুশি হয়ে গেলাম!

১৩ ডিসেম্বর ২০১৯  
-- স্যার, খুশি আপনি?
-- আমার মনে হয় তুমি সেটা ভালো মতোই জানো! 
-- আরেহ বাবা!  ঠিক হয়ে যাবো এখন তো ঠিক হও! 
-- ঠিকই আছি! আচ্ছা আজকে বলবে কি আমি কেনো লেস্টার সিটি?
-- আচ্ছা বলো তো কয়দিন তুমি খেলা দেখো না?
-- অনেকদিন হয় না! স্কোর দেখা হয়! 
-- আচ্ছা তুমি জানো যে লিভারপুলকে এবার কেউ ধরতে পারবে না রাইট?
-- হ্যাঁ! ওদের পয়েন্ট অনেক! 
-- সেটাই কিন্তু লেস্টার সিটিকে দেখো, ফেভারেট দল নয় কিন্তু ভালো খেলছে ওরা, তাছাড়া পয়েন্ট টেবিলে ওরা দ্বিতীয় স্থানে!  
এখনো বুঝোনি?
-- মানে তুমি বলতে চাচ্ছো আমাকে থেমে না থাকতে!  একদিন একদিন আমি পারবোই তাই তো?
-- হ্যাঁ!  আর আমি জানি তুমি থেমে থাকবে না!  জেমি ভার্ডি হয়ে যাও! ফেভারট দলে না হয় খেললে না কিন্তু নিজের বেস্ট দেওয়াতে কেউ তোমাকে বাধা দিচ্ছে না! আশা কমানো যাবে না বুঝলে এবং আমাকেও ভুলা যাবে না! হেহে!
-- বুঝতে পারলাম!  ধন্যবাদ তোমাকে!  
-- আশা এই দিনে আমি আজকে কবিতা শুনাই কি বলো?
-- আচ্ছা শুনান তাহলে...


-- প্রহরশেষের আলোয় রাঙা সেদিন চৈত্রমাস–
তোমার চোখে দেখেছিলাম আমার সর্বনাশ।।
এ সংসারের নিত্য খেলায় প্রতিদিনের প্রাণের মেলায়
বাটে ঘাটে হাজার লোকের হাস্য-পরিহাস–
মাঝখানে তার তোমার চোখে আমার সর্বনাশ।।

আমের বনে দোলা লাগে, মুকুল প’ড়ে ঝ’রে–
চিরকালের চেনা গন্ধ হাওয়ায় ওঠে ভ’রে ।
মঞ্জরিত শাখায় শাখায়, মউমাছিদের পাখায় পাখায়,
ক্ষণে ক্ষণে বসন্তদিন ফেলেছে নিশ্বাস–
মাঝখানে তার তোমার চোখে আমার সর্বনাশ।।

-- বাহ!  ভালোই লাগলো!  তবে বলো তো কয়দিন ধরে প্রেক্টিস করেছো?
-- পরীক্ষার পর পর ই!  কিভাবে বুঝলে? যাই বলো রবীন্দ্রনাথের এই কবিতাটা কিন্তু বেশ ভালই! আবার সর্বনাশ দেখে অন্যকিছু ভেবো না! লাইনগুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো তাই কবিতাটা নিজে পড়ে তোমাকে শুনালাম! যে বাজে দিনগুলো গেলো :(

-- বুঝি সবই বুঝি! 
কিভাবে তোমাকে ধন্যবাদ দিবো বুঝছি না!  আমার পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ! এই ডায়েরিটা তোমার জন্য! আশা করি এইভাবেই পাশে থাকবে আজীবন! আমি খুবই এলোমেলো ছিলাম এই কয়েকমাস!  আল্লাহ ভরসা সামনের দিনগুলো ভালো যাবে! 
-- আমার সবসময় এভাবেই থাকবো এবং সেইদিনের আমার কথাগুলোর জন্য....
-- বলতে হবে না, বাদ ঐকথা!  আমি বুঝতে পেরেছি! ধন্যবাদ ♥ 

(প্রত্যয় বিভোরের হাত ধরে....)

to be continued...............

Comments

Popular posts from this blog

একটি মধ্যবিত্ত ভালবাসার গল্প

কিছু গল্প সবসময় এক হয় না!  পার্থক্য, ভেদা-ভেদ সবকিছুতেই থাকে।ঠিক তেমনি ভালবাসার গল্পগুলোতেও কিছু মিল-অমিল পাওয়া যায়!আর আজকে ঠিক তেমনি অতি সাধারণ একটা গল্প তুলে ধরতে যাচ্ছি! 'মধ্যবিত্ত' শব্দটা হয়তো সকলেরই অনেক পরিচিত। মধ্যবিত্ত মানুষগুলো ধনী-গরীব হতে সম্পূর্ণ ভিন্ন।তাদের চিন্তা-ভাবনা,চলাফেরা এমনকি জীবনযাপনও ভিন্ন। আর মধ্যবিত্ত ভালবাসা এর মানে বুঝাই যাচ্ছে এর মধ্যেও কিছুটা ভিন্নতা আছে! ♥ কলেজ পড়ুয়া মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলের সাথে প্রেম করা বর্তমান যুগের মেয়ের জন্য তুলনামুলক প্যারাময়! কেননা এইসকল ছেলের থাকে না টাকা-পয়সা,মোটরসাইকেল আর কত কি!  কিন্তু মেয়েরা ভুলে যায়, অন্যদের মতো ঐ ছেলেদেরও সুন্দর একটা মন আছে, তারাও ভালবাসতে জানে!  টাকা-পয়সা বাইক এইসব শো অফ করাই কি ভালবাসা?? প্রেমিকার জন্মদিনে বড় অনুষ্ঠান করা, এ্যানিভার্সারি পালন করা আর আজাইরা টাকা খরচও কি ভালবাসা?? :/ ভালবাসা এমন হতে পারে না........ ১০০ টাকায় রিক্সা ভাড়া করে কিছুদূর ঘুরা! পাশাপাশি বসে একসাথে ফুচকা খাওয়া!♥ জন্মদিনে/অথবা অন্যকিছুতে টিফিনের এবং যাতায়াতের টাকা বাঁচিয়ে প্রিয় মানুষের জন্য ছোট্ট কিছু করা ...

তুমি, আমি আর সংসার (খুনসুটে অতীত)

  ২৩ শে জুন : শুভ জন্মদিন,ফায়াজ! :উম্ম, আপনার তাহলে মনে আছে?! ধন্যবাদ! : হ্যাঁ মনে কেনো থাকবে না!  স্বামীর জন্মদিন মনে রাখা একজন স্ত্রীর দায়িত্ব! শুনো টেবিলে ব্রেক-ফাস্ট রেডি করা আছে আর মা নানুর সাথে দেখা করতে গিয়েছে! বাসা তালা দিয়ে যেয়ো, আমাকে জলদি অফিসে যেতে হবে! : আচ্ছা একটু অপেক্ষা করেন, আমি নামিয়ে দিয়ে আসি! : নাহ নাহ! আপনি খেয়ে বের হয়েন এইটুকুই! এবং শুভ জন্মদিন!  বেশি প্রেসার নিয়েন না জন্মদিনে হাহাহাহা!  ( ফারিন অফিসের জন্য বের হলো) [বিয়ের ৩-৪ মাসের মধ্যে মেয়েটা আমাকে ভালোই চিনে ফেলেছে, যাক ভালো! তিনি ঠিক থাকলেই হলো! আর আজকের এই দিনে আর কি বা চেতে পারি! বছরের ঠিক মাঝে জন্মদিন, ব্যাপারটা ভালোই কিন্তু আজও কেউ কখনো..  উম্ম থাক! এই বুড়া বয়সে এসে এইসব ভাবা ঠিক না! ] বাথরুমে গিয়ে দেখি আয়নায় একটা স্টিকি নোট (শুভ জন্মদিন ডাক্তার সাহেব, হাসি মুখে ব্রাশ করে নাস্তার টেবিলে বসে যেয়েন, ভুলে যেয়েন না কিন্তু) [আমার বারবার নাস্তা করতে ভুলে যাওয়া এই ব্যাপারটা একবারে মাথায় নিয়ে নিয়েছে! খুবই অল্প সময়ের মধ্যেই একটা মজবুত বন্ধন কাজ করছে দুজনের মাঝে ব্যাপারটা মোটেও খা...

বন্ধুত্ব

বন্ধু শব্দটা মূলত অনেক কমন!  শৈশব থেকেই এই শব্দের যাত্রা শুরু হলেও কৈশোরকাল থেকে বন্ধু শব্দটা উপলব্ধি করা যায়! আর সত্যি বলতে এয়ারটেলের বিজ্ঞাপনের মাধ্যমেই আসল বন্ধুত্ব এর মর্ম বুঝা যায়! :p কমবেশি বন্ধু কিন্তু সবারই থাকে।  তবে সব বন্ধু এক রকম না কিংবা একজাতের না. .. খুব অল্প কিছু বন্ধু থাকে, যারা একদমই অন্যরকম !! সবার থেকে ভিন্ন! অন্য বন্ধুরা যখন বৃষ্টি হইলে তোমার জন্য ছাতা নিয়ে দৌড়ায়ে আসবে ... "এই নে " কিংবা এক ছাতার নিচে থেকে একসাথে যাবে! অন্যরকম বন্ধুগুলা তখন উল্টা তোমার মাথার ছাতাটা কেড়ে নিয়ে বন্ধ করে দিয়ে বলবেঃ "ছাতা কি কামে লাগে ?? চল ভিজি !!" বন্ধুর পাল্লায় পড়ে বৃষ্টিতে ভিজে তোমার জ্বর হবে ...পরিণতি ভালো হবে না! তুমি যখন কাতর গলায় বলবা, তোমার জ্বর আসছে, শুধুমাত্র তোর কারণে!.. তখন ঐ অসাধারণ বন্ধু তোমারে বলবেঃ(হাসতে হাসতে) "তো ?? আজকে জ্বর হইছে, কালকে নিউমোনিয়া হবে !!" "কি বলতেছিস এগুলা ??তুই আমারে বোদোয়া দিতেসিস!!" "হুম ... আমি দোয়া করি তোর নিউমোনিয়া হোক !!" "কেন ? তাতে তোর কি লাভ?" "তোর নিউমোনিয়া হইলে...