Skip to main content

It's my LOVE (Now or Never)



সহজ মিশন! 
হাতে ৫০০ টাকা, সাথে ৫০ টাকার ভাংতি! কানে হেডফোন, হাতে ঘড়ি (স্মার্টওয়াচ যাতে নিজেকে একটু স্মার্ট লাগে) এবং এলোমেলো প্ল্যান!
উম্ম! সাথে কাধে ব্যাগ থাকা দরকার! আ্যাডভেঞ্চার ফিল হওয়া দরকার হালকা! Let's Goooo!! 💥💥

:প্রত্যয়, ভাত খেয়ে বের হউ!  আর গাড়ির ড্রাইভার আসতেসে!  তাই গাড়িতে যাও! 

আম্মাজান সুখবর আর দুখের খবর একসাথেই দিলো! এই যাত্রায় বাস ভাড়া ৪০ টাকা বেচে যাবে 😅😅😅

তাড়াতাড়ি খাওয়া শেষ করে ভো দৌড় দিলাম নিচে, আর ড্রাইভার আংকেলকে বললাম, চলেন!🔥🔥
কানে হেডফোন নিয়ে চালু করলাম আজকের থিম সং -- "It's my life-- Bon Jovi"

১০ মিনিট পর, আসাদগেটের কাছে এসে It's my life গান স্লো মোশনে চলা শুরু করলো আমার মাথায়!  কারণ, জ্যামমমমমম! 
ঢাকা শহর জ্যাম ছাড়া কল্পনা করাও মুশকিল! আমার সুন্দর ১০ মিনিটের যাত্রা পরিণত ৩০ মিনিটে! 
ধানমন্ডি ৩২ আসার সাথে আমি অজয় দেবগান স্টাইলে গাড়ি থেকে নামলাম ,কিন্তু কিন্তু কিন্তু
গিফট শপ বন্ধ! 

আরেহ লকডাউন তো পরশু থেকে!!  আজকেই অফ করছে কেন!  হ্যাডা! বেশি সচেতন মানুষ! (আর এইদিকে আমি এক ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া পাবলিক)
নেমেছিলাম হিরু স্টাইলে, গাড়িতে উঠলাম সাধারণ স্যাড মানুষের মতো! 
শুরুতে গলদ!  কি করবো কি করবো! 
আংকেলকে বললাম রাইফেলসের সামনে নামায় দেন!  আবার সেই চিরচেনা **** ট্রাফিক জ্যাম!! ৩৫ মিনিট পর রাইফেলসে নেমে মানুষের ভীড় দেখে মনে হলো করোনা মানুষকে দেখে ভেগে গেছে এই দেশ ছেড়ে! 

হাটা ধরলাম চিলোক্সের দিকে!মাঝে চোখে পড়লো রাস্তার পাশের মামার- পুড়ির দোকান! লোভ সামলাতে না পেরে পুড়ি খেতে দাঁড়িয়ে পড়লাম! উফ! কি মজা!  সময় পেলে তোমাকেও নিয়ে আসবো! গান কিন্তু রিপিটে দেওয়া! পুড়ি খাওয়ায় মেতে উঠা আমি নিজেকে থামিয়ে বিল দিয়ে দৌড়ে উঠলাম চিলোক্সে! 

ভাইরে ভাই! ভাগ্যিস করোনা চিলোক্সের ভিতরে যায় নায় রে, তাইলে করোনাও ডিপ্রেশনে চইলে যাইতো! মানুষের মনে-মুখে কোথাও ভয় না!  বার্গার,ফ্রাইস আর ড্রিংক্সস খেতে ব্যস্ত সবাই! আর কাউন্টারের লাইন দেখে মনে হলো আজ মনে হয় বার্গারও পাওয়া সম্ভব নয়! 😓

তথাকথিত মি.বিনের বুদ্ধি অবলম্বন করে বড় লাইনের মাথায় হালকা করে আস্তে করে ঢুকে অর্ডার করে ফেললাম!  ভাগ্যের উপর ছেড়ে দিয়েছিলাম যে বার্গার কখন পাবো! পাশে একটা খালি সিটে বসে চিঠির খামে প্রেরক-প্রাপক লিখতে বসে পড়লাম!  ওমা প্রেরক লেখার সাথে সাথেই চিল্লাইতেসে ৮৪ নং বার্গার রেডি! 
হারামজাদা লেখাটাও শান্তি মতো লিখতে দিলো না!  গেলাম বার্গার আনতে, গিয়ে দেখি হ্যান্ডব্যাগে পার্সেল করে নাই! আমি বললাম-ভাইয়া, কাইন্ডলি হ্যান্ডব্যাগ দেওয়া যাবে!  বেটা বলে যে-- ভাইয়া সিংগেল বার্গার এইভাবেই দেওয়া হয়! মনটা চাইতছিলো টেবিলের উপর উঠে ওর কলার ধইরে উড়ায় দেই! কিন্তু শুভ কাজে যাচ্ছি বলে নিজেকে হালকা কাবু রাখলাম! Control Prattoy Control!!!
হাসি মুখে বার্গার নিয়ে টেবিলে বসে তাড়াহুড়া করে লেখা শেষ করে বের হলাম গন্তব্যস্থলের উদ্দেশ্যে।
রিক্সা মামার সাথেও আজকে ভাড়া নিয়ে তর্ক না করে উঠে পড়লাম কিন্তু ঐযে কুফা লেগেই আছে কপালে! ২ মিনিটের মাথায় আবার সেই জ্যাম আমাকে আকড়ে ধরলো! খুবই ঠান্ডা মাথায় ১০ মিনিট অপেক্ষা করার পর মনে হইলো -- নাহ! IT's my LOVE!  Now or Never!  হেটেই যাবো!!

মামা ২০ টাকা দাবী করলো, অসহায় সেই চেহারাটা দেখে দিয়েই দিলাম আল্লাহর নামে! 
শুরু হইলো পথযাত্রা! আজব এই শহরে ফুটপাতে আজব আজব মানুষ হাটে!  নাকি আজকেই সব আমার কপালে জুটছে জানি না! 
দুজনে হাত ধরে মনের সুখে প্রেমের তেপান্তরে হাটতেসে মনে হলো, আমি আর সহ্য করতে না পেরে বললাম, প্লিজ একটু সাইড দিন! এরপর এলো সবচেয়ে কমন,কানে ফোন নিয়ে হাটেতেসে নিজের সুখে!  উফ!!  এদের কিছু বলাও যায় না, ওভারটেকিং-এও প্যারা!! কোনো মতে পার করলাম!! হঠাত চোখে পড়লো সাদা গোলাপ! 
:মামাহ!! সাদা গোলাপের দাম কতো?
: ১১০ টাকা! 
ভাই! ওর চেহারাতে একটা ভিলেন মার্কা হাসি ছিলো! আমি বললাম ঠিক আছে মামা ভালো থাকেন! Control Prattoy Control!!!😓😓😓

আবার হাটা শুরু! মাঝে মাঝে কিছু পোলাপাইন আই মিন গ্রুপ পোলাপাইন ফুটপাতটারে নিজের জমি বানায় ফেলে, কিছু বলাও যায় না, আবার ওভারটেকও করা যায় না! হঠাত গানের "You're gonna hear my voice when I shout it out loud"  বাজার পর আমি রাস্তায় সাইডে এসে ঐ গ্রুপকে অভারটেক মারলাম আর মনে মনে বললাম-- ফাক ইউ! 

এরপর আবারো চোখে পড়লো হলুদ গোলাপ! দেখে একটাও ভালো লাগতেছিলো না, তাও ভাবলাম জিজ্ঞাসা করে দেখি কত চায়!!
: ও ভাই! দাম কত?
:একদাম ৫০! 

একদাম বইলো হারামজাদা যে কি বুঝাইলো ও নিজেও জানে না! আমি আবারো ঠান্ডা করে নিজেকে বুঝিয়ে বললাম -- "যেই না চেহারা নাম রাখছে পেয়ারা"

অবশেষে রকংশ প্লাজার সামনে এসে ব্যাগ থেকে পানি বের করে খেয়ে নিলাম! তারপর পাশের দোকান থেকে ড্রিংক্সস,চকোলেট কিনে তা প্যাকেট করলাম ঠিকমতো! অল সেট now!

এবার পুরো জার্নির সবচেয়ে কঠিন কাজ -- ঠিকানা থেকে বাসা খুজে বের করা! আজব এই শহরে বাসার গেটে বাসা নাম্বার বাদে দুনিয়ার সব ইনফরমেশন আছে! লন্ড্রির নাম্বার,টাক আজকেই ঢেকে যাক,যৌন-চর্মের কবিরাজ বাবা,পাঠাও-সহজ-ইভ্যালি-বাংলালিংক,এয়ারটেল সব কিছুর বিজ্ঞাপন দেয়ালে,বাসার গেটে থাকে কিন্ত বাসা নম্বর নাই পাওয়া মুশকিল!

মেজাজ এখন চরম উর্ধে! পাশে একটা টেইলার্সের দোকান ছিলো, ভাবলাম একটু হেল্প পাই নাকি দেখি! 
: ভাইয়া,  xiv নং বাসাটা কোন দিকে?
: জানি না!  (কেচি চালাতে থাকলো)

নিজের এলাকাই চিনোস না ব্যাটা!  ধুরু! কিন্তু ওর টেইলার্সের বিপরীতেই কিন্তু XVI নং বাসা! 
কি প্যারায় পড়লাম ভাই!  XVI, XV, XIII নং পাই কিন্তু XIV এর খবর নাই! 

বাধ্য হয়ে তাকে ফোন দিলাম! 
: আচ্ছা! আপনার বাসা কোনটা? আমি না খুজে পাচ্ছি না!  আপনি একটু নিচে আসবেন! 
: আচ্ছা আসতেসি!! 

** লজ্জা-শরমless আমি** 
অবশেষে খুজে পেলাম তাকে!  দূর থেকে তাকে দেখে ভালো লাগছিলো! সন্ধ্যে ৭ টা ৩৫ মিনিট বাজে তখন আমার স্মার্টওয়াচে! চারপাশের ব্যস্ত পরিবেশও কেনো জানি আমার কাছে শান্ত হয়ে গেলো!This is the TIME❤️❤️❤️ আমি কাপতে কাপতে তার সামনে গেলাম! 
: তোকে না আমি মানা করছিলাম আসতে! আসার দরকারই ছিলো না একদম! 
:ইয়ে মানে!  এমনিই! it was a adventure trip for me! I guess! এটা আপনার জন্য! 
(তার চোখ দুটো ঝলঝল করছিলো, ইশ আশে পাশে থেকে কেউ ফ্যান ছেড়ে বাতাস দিলো আমার চুলগুলো উড়তে! তারটা উড়তো না কারণ তার মাথায় ওড়না ছিলো!) 
হাতে ব্যাগটা নেওয়ার পর,
: এই!  আরেকটা জিনিস আছে!  এই চিঠিটা আপনার জন্য!❤️
(তার চোখ দুইটা বড় বড় হয়ে গেলো, বিজ্ঞানীরা ভাবতেসে, এই পোলা আমাদের ই-মেইলের ১২টা বাজাবে!! আর আমি নিজেকে সেই পুরোনো দিনের কবুতর ভাবতেছিলাম!) ও ভাই কি কল্পনা আমার! 
 
আমি ফোন বের করে তার হাসি মুখের দুটো ছবি নিলাম! যদিও তার মুখে মাস্ক ছিলো, কিন্তু আমি জানি সে খুশি ছিলো! করোনার বাচ্চা আমার ভালোবাসার ১২টা বাজাইসে! সে আমার সাথে দুইটা সেলফি তুললো! তার হাত কাপতেছিলো, সে আমার সাথে বেশি কথাও বললো না আর! 
: শুভ জন্মদিন মৃন্ময়ী! ❤️
বাসায় গিয়ে খেয়ে নিয়েন!  Take care!  TATA! 

মোটেও নাহ আমি তার পিছনে ফিরার জন্য বসেছিলাম,কিংবা SRK  এর মতো বলতেছিলাম -- Palat!  palat!
সে চলে গেলো! আর প্লে-লিস্টে নেক্সট গানে প্রেস করলাম বেজে উঠলো-- " তুমিও কি আমার মতো করে একটু ভালোবাসবে না?! "

আরেহ ধুরু!  পিরান খান আর তানভীর ইভান মিলে কি যে শুরু করছে!!  ব্যাক টু Its my life! 
ঠান্ডা একটা পেপসি কিনে, চললাম বাসার উদ্দেশ্যে!❤️

( সে নেই। শুধু তার নাম পড়ে আছে স্পর্শতিলে... -- স্পর্শতিল - মন্দাক্রান্তা সেন। )

নিজেকে অনেক খুশি লাগছিলো, আশা করি, সে খুশি হয়েছে! তার মনটা ভালো করতে পারলেই আমার এতো কিছু সার্থক!এই নতুন লকডাউন -শাটডাউন আমার প্ল্যানের বারোটা বাজাইসে ঠিকই কিন্তু আমি মনে করি সে খুশি হয়েছে ! ভালো থেকো <3

মেইন রাস্তায় আসতে না আসতেই বাসের সেই টানা হর্ণ!! 
আজব এই শহরে রোমান্টিকতা থাকবেই না! সব রোমান্টিজম শেষ!!!  

: এই মামা!  যাবেন?.... 

আর বাসায় আসতে কতক্ষণ আর কি কি জিনিসের সম্মুখীন হয়েছি তা না বলি! 😩😩


Tomorrow's getting harder, make no mistake
Luck ain't even lucky, got to make your own breaks...। 

IT'S MY LOVE! <3

Comments

Popular posts from this blog

একটি মধ্যবিত্ত ভালবাসার গল্প

কিছু গল্প সবসময় এক হয় না!  পার্থক্য, ভেদা-ভেদ সবকিছুতেই থাকে।ঠিক তেমনি ভালবাসার গল্পগুলোতেও কিছু মিল-অমিল পাওয়া যায়!আর আজকে ঠিক তেমনি অতি সাধারণ একটা গল্প তুলে ধরতে যাচ্ছি! 'মধ্যবিত্ত' শব্দটা হয়তো সকলেরই অনেক পরিচিত। মধ্যবিত্ত মানুষগুলো ধনী-গরীব হতে সম্পূর্ণ ভিন্ন।তাদের চিন্তা-ভাবনা,চলাফেরা এমনকি জীবনযাপনও ভিন্ন। আর মধ্যবিত্ত ভালবাসা এর মানে বুঝাই যাচ্ছে এর মধ্যেও কিছুটা ভিন্নতা আছে! ♥ কলেজ পড়ুয়া মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলের সাথে প্রেম করা বর্তমান যুগের মেয়ের জন্য তুলনামুলক প্যারাময়! কেননা এইসকল ছেলের থাকে না টাকা-পয়সা,মোটরসাইকেল আর কত কি!  কিন্তু মেয়েরা ভুলে যায়, অন্যদের মতো ঐ ছেলেদেরও সুন্দর একটা মন আছে, তারাও ভালবাসতে জানে!  টাকা-পয়সা বাইক এইসব শো অফ করাই কি ভালবাসা?? প্রেমিকার জন্মদিনে বড় অনুষ্ঠান করা, এ্যানিভার্সারি পালন করা আর আজাইরা টাকা খরচও কি ভালবাসা?? :/ ভালবাসা এমন হতে পারে না........ ১০০ টাকায় রিক্সা ভাড়া করে কিছুদূর ঘুরা! পাশাপাশি বসে একসাথে ফুচকা খাওয়া!♥ জন্মদিনে/অথবা অন্যকিছুতে টিফিনের এবং যাতায়াতের টাকা বাঁচিয়ে প্রিয় মানুষের জন্য ছোট্ট কিছু করা ...

তুমি, আমি আর সংসার (খুনসুটে অতীত)

  ২৩ শে জুন : শুভ জন্মদিন,ফায়াজ! :উম্ম, আপনার তাহলে মনে আছে?! ধন্যবাদ! : হ্যাঁ মনে কেনো থাকবে না!  স্বামীর জন্মদিন মনে রাখা একজন স্ত্রীর দায়িত্ব! শুনো টেবিলে ব্রেক-ফাস্ট রেডি করা আছে আর মা নানুর সাথে দেখা করতে গিয়েছে! বাসা তালা দিয়ে যেয়ো, আমাকে জলদি অফিসে যেতে হবে! : আচ্ছা একটু অপেক্ষা করেন, আমি নামিয়ে দিয়ে আসি! : নাহ নাহ! আপনি খেয়ে বের হয়েন এইটুকুই! এবং শুভ জন্মদিন!  বেশি প্রেসার নিয়েন না জন্মদিনে হাহাহাহা!  ( ফারিন অফিসের জন্য বের হলো) [বিয়ের ৩-৪ মাসের মধ্যে মেয়েটা আমাকে ভালোই চিনে ফেলেছে, যাক ভালো! তিনি ঠিক থাকলেই হলো! আর আজকের এই দিনে আর কি বা চেতে পারি! বছরের ঠিক মাঝে জন্মদিন, ব্যাপারটা ভালোই কিন্তু আজও কেউ কখনো..  উম্ম থাক! এই বুড়া বয়সে এসে এইসব ভাবা ঠিক না! ] বাথরুমে গিয়ে দেখি আয়নায় একটা স্টিকি নোট (শুভ জন্মদিন ডাক্তার সাহেব, হাসি মুখে ব্রাশ করে নাস্তার টেবিলে বসে যেয়েন, ভুলে যেয়েন না কিন্তু) [আমার বারবার নাস্তা করতে ভুলে যাওয়া এই ব্যাপারটা একবারে মাথায় নিয়ে নিয়েছে! খুবই অল্প সময়ের মধ্যেই একটা মজবুত বন্ধন কাজ করছে দুজনের মাঝে ব্যাপারটা মোটেও খা...

বন্ধুত্ব

বন্ধু শব্দটা মূলত অনেক কমন!  শৈশব থেকেই এই শব্দের যাত্রা শুরু হলেও কৈশোরকাল থেকে বন্ধু শব্দটা উপলব্ধি করা যায়! আর সত্যি বলতে এয়ারটেলের বিজ্ঞাপনের মাধ্যমেই আসল বন্ধুত্ব এর মর্ম বুঝা যায়! :p কমবেশি বন্ধু কিন্তু সবারই থাকে।  তবে সব বন্ধু এক রকম না কিংবা একজাতের না. .. খুব অল্প কিছু বন্ধু থাকে, যারা একদমই অন্যরকম !! সবার থেকে ভিন্ন! অন্য বন্ধুরা যখন বৃষ্টি হইলে তোমার জন্য ছাতা নিয়ে দৌড়ায়ে আসবে ... "এই নে " কিংবা এক ছাতার নিচে থেকে একসাথে যাবে! অন্যরকম বন্ধুগুলা তখন উল্টা তোমার মাথার ছাতাটা কেড়ে নিয়ে বন্ধ করে দিয়ে বলবেঃ "ছাতা কি কামে লাগে ?? চল ভিজি !!" বন্ধুর পাল্লায় পড়ে বৃষ্টিতে ভিজে তোমার জ্বর হবে ...পরিণতি ভালো হবে না! তুমি যখন কাতর গলায় বলবা, তোমার জ্বর আসছে, শুধুমাত্র তোর কারণে!.. তখন ঐ অসাধারণ বন্ধু তোমারে বলবেঃ(হাসতে হাসতে) "তো ?? আজকে জ্বর হইছে, কালকে নিউমোনিয়া হবে !!" "কি বলতেছিস এগুলা ??তুই আমারে বোদোয়া দিতেসিস!!" "হুম ... আমি দোয়া করি তোর নিউমোনিয়া হোক !!" "কেন ? তাতে তোর কি লাভ?" "তোর নিউমোনিয়া হইলে...