Skip to main content

100 Words (Part-03:Nerve Plexus)



:ধন্যবাদ তোমাকে!
:ওমা কিসের জন্য?! আমি আবার কি করলাম?!
:এই যে আমাকে এতো প্যারাদায়ক সপ্তাহ শেষে কাশফুল দেখতে নিয়ে আসার জন্য। 
:উম! তাহলে তোহ আমারও তোমাকে ধন্যবাদ দেওয়া উচিত! 
:কেনো?
:কারণ আপনি এই প্যারাদায়ক সপ্তাহে মানসিকভাবে আমাকে অনেক সাহায্য -সহযোগিতা করেছেন! তাছাড়াও আজকে বৃহস্পতিবার আমাদের চিলিং ডে,  এমনিও প্ল্যান ছিলো অনেক কিছু! শরীরের ক্লান্ততার কারণে এই হালকা-পাতলা প্ল্যান। 
:সেটা জানি!  আমি জানি তোমার আজ মন খারাপ। 
:কে বললো? মোটেও না।হিস্টোলজির ভাইভা ভালো হয়েছে, ছবি-লেখা সব শেষ করেছি,আর তার আগের দিনের ভাইভাও অনেক ভালো হয়েছে! মন একদম ঠিকঠাক! 
:আমার কাছে থেকে লুকিয়ে লাভ কি বলো তোহ? আজ ০৭ অক্টোবর!  আর এইদিনে যে তুমি নিজেকে যে লো ফিল সেটা আমার থেকে কেউ ভালো জানবে না। 
:আরেহ ওমন কিছু না!  এই তারিখ তো প্রতিবছর আসবেই! আর একবার হলেও নিজের ব্যর্থতা মনে করা উচিত!  তাতে মনের মনোবল শক্ত হয়।
:এইসব ভেবে কেনো নিজেকে এমন রাখো! তোমার যেটা ইচ্ছে ছিলো সেটা তুমি পড়ছো! এতে কেনো তুমি নিজেকে....
:প্লিজ আমরা এই টপিকে কথা না বলি?!
:নাহ! আজ আমি শুনতে চাই! প্রতিবার এভাবে এড়িয়ে গেলে কি সমস্যা সমাধান হবে?!
: সমস্যা নয় এটা যে সমাধান হবে।
কেনো মানুষ ৩-৪ মাস খাটে? কেনো ফার্মগেটের সেই বড় বড় কোচিং-এ ক্লাস/ পরীক্ষা দিতে যায়? কেনো সেই ১ ঘন্টার পরীক্ষায় মানুষ নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টায় থাকে?
অবশ্যই কারণ আছে!নাহলে তো সবাই টাকা দিয়েই পড়ে ফেলতো! কারণ আছে! সেই কারণটাই দরকার ছিলো যা আনতে পারিনি আমি,এমনকি দুইবার চেষ্টা করেও।
:যা চলে গিয়েছে তা নিয়ে ভেবে কি লাভ? তুমি সফল চিন্তা করে? তুমি জয়ী? নিজেকে ব্যর্থ ব্যর্থ করে নিজেকে নামাচ্ছো তুমি! তাছাড়াও তুমি এখনো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছো!  সামনে ভালো কিছু থাকতে পারে। you never know!
:তুমিও এখন আম্মুর মতো কথা বলতেসো?! সামনে ভালো সামনে ভালো শুনতে শুনতে শেষ আমি!  এই ভালোর দেখা কি কখনো পাবো!?

...
...
...

:sorry! এজন্যই আমি এই টপিকে কথা বলতে চাইনি। leave this! আমার মনে হয় না আমি কখনো এটা থেকে বের হতে পারবো, কেননা... 


এরপর ছিলো শুধু নিঃশব্দতা!

[
(দুইদিন আগে)

:This is brachioradialis,then it is extenson carpi radialis longus and then the brevis one.
:উফ! এতো কিছু কেমনে যে মনে রাখবো। 
:তুমি পারবে!  শুধু ঠিকমতো রিভাইস দিয়ে যাও তাহলেই হবে।আর হোস্টেলে গিয়ে ফ্রেন্ডের সাথে আলোচনা করে পড়া দিয়ো। তাহলেই কমপ্লিট হয়ে যাবে।
:আচ্ছা আমাকে একটু কষ্ট করে surfacemarking দেখিয়ে দাও !
 ঠিক আছে ! 
]

......

কাশফুল দেখার আনন্দ হয়তো আসার পথে ছিলো,কেননা আমাদের সেই কথোপকথনের পর সে কোনো কথাই বলেনি।হোস্টেলের কাছাকাছি নেমে সে একাই চলে গেলো আমাকে কিছু না বলে।এটা তার রাগ নয়,বরং এটা তার অভিমান ।যদিও করাটা যৌক্তিক একদিকে আবার অন্যদিকে না করাও যৌক্তিক।সপ্তাহ শেষে ক্লান্ত এই শরীর বিছানায় শুয়ে পড়ার সাথে সাথেই ঘুম।তাই রাত তার সাথে আর কথাও হয়নি ।

...

[
সে যখন বোনস এর ভাইভা দিচ্ছিলো ঠিক তখন আমি হিস্টো পরীক্ষা শেষ করে বের হয়েছি, এসে দেখি তার ভাইভা চলছে ! আমি দূর থেকে তার ভাইভা দেওয়া দেখছিলাম,যতই ভয় পাক না কেনো ,SHE IS CONFIDENT ABOUT HERSELF ALWAYS ! আমি কেবলমাত্র তারই চোখের দিকে চেয়ে ছিলাম। শেষ করে সে radiology,surface marking এর ভাইভা বোর্ডে গেলো । তার উত্তর দেওয়া দেখে মনে হলো ঠিকমতো শিখিয়েছি তাহলে আমি !হেহেহে!
সে যখন আমাকে দেখতে পেলো,কাছে এসে ব্জিজ্ঞাসা করলো- " তোমার পরীক্ষা কেমন হয়েছে?"
আমি উত্তরে বলি যে -আপনার মতো ভালো হয়নি হয়তো ! হেহেহে ! আচ্ছা শুনেন আজ বিকাল ৪.৩০ মিনিটে রেডি থাকবেন!! হালকা সারপ্রাইজ আছে ।
]

...
............


১১ টার দিকে ঘুম ভাঙ্গলো। ঘুম থেকে উঠে দেখি তার মেসেজ।
আমি ফ্রেশ হয়ে তাকে কল করলাম।
; এই শুনো , আমি আজ তোমার জন্য সেমাই রান্না করেছি। বিকালের দিকে বের হয়ো।
;আচ্ছা ঠিক আছে ! আর...
; পাঞ্জাবী পড়ে এসো প্লিজ ! 
; আচ্ছা ,কিন্তু শুনো...
; জানি তুমি কি বলবে ! কিছুই বলতে হবে না তোমাকে !! আমি জানি তোমাকে ,হয়তো আমিই বেশি জিদ করেছিলাম! তাছাড়াও অনেকগুলো নার্ভ মিলেই কিন্তু একটা প্লেক্সসাস তৈরি হয়,ঠিক তেমনি অতীত -বর্তমান মিলেই আমাদের ভবিষ্যত তৈরি হয়। তবে এক এক নার্ভের কিন্তু এক এক মাসেলে সাপ্লাই দেয়,ঠিক তেমনি তোমাকে তোমার অতীতের যেকোনো কিছু বর্তমানে এনে তা নষ্ট করার মানে হয় না। নিজেকে মেনে নিতে শিখো আর নিজেকে ব্যর্থ মনে করা বাদ দেয় ! আমি জানি ,তুমি নিজেকে ভালো মতোই চিনো,তাই আগের ঐসব কথা মনে না করে সামনের কথা ভাবো।জানি মনে পড়বেই তোমার ,কিন্তু সেটা যাতে তোমার বর্তমানে কিংবা ভবিষ্যতে প্রভাব না ফেলে।
(আমি জানি ও আমাকে মানাতে পারে ,বুঝাতে পারে,তবে আমি আজ তার কথা শুনে হতবাক হয়ে ছিলাম কিছুক্ষণের জন্য,আমি কিছু বলার আগেই...)
;ধন্যবাদ দিতে হবে না আমাকে! একবারে সেমাই খেয়ে জানিয়ো কেমন হয়েছে?! তার জন্য এক সেট চুড়ি কিনে দিতে পারো চাইলে ! হেহেহে! বিকালে কিন্তু সময়মতো চলে এসে !
;আচ্ছা ঠিক আছে।


সম্পর্কের মাঝে যে উচু-নিচু থাকে ,তা কিন্তু কেউ না করতে পারবে না ! তবে সম্পর্কের এই জালে আবদ্ধ থাকা দুটি মানুষের মধ্যকার ভালোবাসা কিংবা বিশ্বাস যদি মজবুত থাকে,তবে সেই সম্পর্কের জালে কখনো LESION হবে না । আমাদের মধ্যকার প্লেক্সাসস কিন্তু অনেক মজবুত ছিলো,সেখানে যে কখনো lesion হবে সেটা আমি কখনোই ভাবিনি। Brachialis Muscle এর নার্ভ সাপ্লাই যেমন দুইটা নার্ভ দেয় ,ঠিক তেমনি আমাদের দুইজনের ভালোবাসা দুজনের দিক থেকেই সমান এবং মজবুত।LESION হওয়া বড়ই মুশকিল !!

তবে আজ এই অভিমানে ছলে তার হাতের সেমাই খাওয়া হবে এবং তার সাথে BRACHIAL PLEXUS আবার একটু রিভাইস হয়ে গেলো !
ধন্যবাদ তোমাকে <3

TO BE CONTINUED.......



Comments

Popular posts from this blog

একটি মধ্যবিত্ত ভালবাসার গল্প

কিছু গল্প সবসময় এক হয় না!  পার্থক্য, ভেদা-ভেদ সবকিছুতেই থাকে।ঠিক তেমনি ভালবাসার গল্পগুলোতেও কিছু মিল-অমিল পাওয়া যায়!আর আজকে ঠিক তেমনি অতি সাধারণ একটা গল্প তুলে ধরতে যাচ্ছি! 'মধ্যবিত্ত' শব্দটা হয়তো সকলেরই অনেক পরিচিত। মধ্যবিত্ত মানুষগুলো ধনী-গরীব হতে সম্পূর্ণ ভিন্ন।তাদের চিন্তা-ভাবনা,চলাফেরা এমনকি জীবনযাপনও ভিন্ন। আর মধ্যবিত্ত ভালবাসা এর মানে বুঝাই যাচ্ছে এর মধ্যেও কিছুটা ভিন্নতা আছে! ♥ কলেজ পড়ুয়া মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলের সাথে প্রেম করা বর্তমান যুগের মেয়ের জন্য তুলনামুলক প্যারাময়! কেননা এইসকল ছেলের থাকে না টাকা-পয়সা,মোটরসাইকেল আর কত কি!  কিন্তু মেয়েরা ভুলে যায়, অন্যদের মতো ঐ ছেলেদেরও সুন্দর একটা মন আছে, তারাও ভালবাসতে জানে!  টাকা-পয়সা বাইক এইসব শো অফ করাই কি ভালবাসা?? প্রেমিকার জন্মদিনে বড় অনুষ্ঠান করা, এ্যানিভার্সারি পালন করা আর আজাইরা টাকা খরচও কি ভালবাসা?? :/ ভালবাসা এমন হতে পারে না........ ১০০ টাকায় রিক্সা ভাড়া করে কিছুদূর ঘুরা! পাশাপাশি বসে একসাথে ফুচকা খাওয়া!♥ জন্মদিনে/অথবা অন্যকিছুতে টিফিনের এবং যাতায়াতের টাকা বাঁচিয়ে প্রিয় মানুষের জন্য ছোট্ট কিছু করা ...

তুমি, আমি আর সংসার (খুনসুটে অতীত)

  ২৩ শে জুন : শুভ জন্মদিন,ফায়াজ! :উম্ম, আপনার তাহলে মনে আছে?! ধন্যবাদ! : হ্যাঁ মনে কেনো থাকবে না!  স্বামীর জন্মদিন মনে রাখা একজন স্ত্রীর দায়িত্ব! শুনো টেবিলে ব্রেক-ফাস্ট রেডি করা আছে আর মা নানুর সাথে দেখা করতে গিয়েছে! বাসা তালা দিয়ে যেয়ো, আমাকে জলদি অফিসে যেতে হবে! : আচ্ছা একটু অপেক্ষা করেন, আমি নামিয়ে দিয়ে আসি! : নাহ নাহ! আপনি খেয়ে বের হয়েন এইটুকুই! এবং শুভ জন্মদিন!  বেশি প্রেসার নিয়েন না জন্মদিনে হাহাহাহা!  ( ফারিন অফিসের জন্য বের হলো) [বিয়ের ৩-৪ মাসের মধ্যে মেয়েটা আমাকে ভালোই চিনে ফেলেছে, যাক ভালো! তিনি ঠিক থাকলেই হলো! আর আজকের এই দিনে আর কি বা চেতে পারি! বছরের ঠিক মাঝে জন্মদিন, ব্যাপারটা ভালোই কিন্তু আজও কেউ কখনো..  উম্ম থাক! এই বুড়া বয়সে এসে এইসব ভাবা ঠিক না! ] বাথরুমে গিয়ে দেখি আয়নায় একটা স্টিকি নোট (শুভ জন্মদিন ডাক্তার সাহেব, হাসি মুখে ব্রাশ করে নাস্তার টেবিলে বসে যেয়েন, ভুলে যেয়েন না কিন্তু) [আমার বারবার নাস্তা করতে ভুলে যাওয়া এই ব্যাপারটা একবারে মাথায় নিয়ে নিয়েছে! খুবই অল্প সময়ের মধ্যেই একটা মজবুত বন্ধন কাজ করছে দুজনের মাঝে ব্যাপারটা মোটেও খা...

বন্ধুত্ব

বন্ধু শব্দটা মূলত অনেক কমন!  শৈশব থেকেই এই শব্দের যাত্রা শুরু হলেও কৈশোরকাল থেকে বন্ধু শব্দটা উপলব্ধি করা যায়! আর সত্যি বলতে এয়ারটেলের বিজ্ঞাপনের মাধ্যমেই আসল বন্ধুত্ব এর মর্ম বুঝা যায়! :p কমবেশি বন্ধু কিন্তু সবারই থাকে।  তবে সব বন্ধু এক রকম না কিংবা একজাতের না. .. খুব অল্প কিছু বন্ধু থাকে, যারা একদমই অন্যরকম !! সবার থেকে ভিন্ন! অন্য বন্ধুরা যখন বৃষ্টি হইলে তোমার জন্য ছাতা নিয়ে দৌড়ায়ে আসবে ... "এই নে " কিংবা এক ছাতার নিচে থেকে একসাথে যাবে! অন্যরকম বন্ধুগুলা তখন উল্টা তোমার মাথার ছাতাটা কেড়ে নিয়ে বন্ধ করে দিয়ে বলবেঃ "ছাতা কি কামে লাগে ?? চল ভিজি !!" বন্ধুর পাল্লায় পড়ে বৃষ্টিতে ভিজে তোমার জ্বর হবে ...পরিণতি ভালো হবে না! তুমি যখন কাতর গলায় বলবা, তোমার জ্বর আসছে, শুধুমাত্র তোর কারণে!.. তখন ঐ অসাধারণ বন্ধু তোমারে বলবেঃ(হাসতে হাসতে) "তো ?? আজকে জ্বর হইছে, কালকে নিউমোনিয়া হবে !!" "কি বলতেছিস এগুলা ??তুই আমারে বোদোয়া দিতেসিস!!" "হুম ... আমি দোয়া করি তোর নিউমোনিয়া হোক !!" "কেন ? তাতে তোর কি লাভ?" "তোর নিউমোনিয়া হইলে...