ফ্রেশ হয়ে ভাবলাম আগে তাকে জানায়, উলটো দেখি তার মেসেজ ফোনে চলে এসেছে অনেক আগেই!
এই ছুটি হয়তো তার জন্য সবচেয়ে ভালো গিয়েছে,পরিবারের সাথে সময় কাটাচ্ছে,চা-বাগানে ঘুরতে গিয়েছে! একদিকে ভালো হয়েছে,মেয়েটা অনেক প্যারায় ছিলো! এই রিফ্রেশমেন্টটা দরকার ছিলো, এই দিকে আমি গরুর মতো খাই আর ঘুমাই!
এরপর তিনি আমাকে বুকলিস্ট রেডি করতে বললো, আমিও তার কথায় হা মিলিয়ে খবর নেওয়া শুরু করলাম!
সিনিয়র ভাইদের সাথে কথা শুরু করলাম, সবার একটাই কথা মেডিকেলের থার্ড ইয়ারকে বলে বলা হয় হানিমুন পিরিয়ড এবং এই এক বছর বলে অনেক প্যারা কম, কারণ মাত্র দুইটা সাবজেক্ট আর তাছাড়াও ওয়ার্ড প্লেসমেন্ট তো আছেই! সব মিলিয়ে অনেক প্যারাহীন এক বছর যাবে! আমার এই অবুঝ মন তাদের লজিকমার্কা কথা শুনে অনুপ্রাণিত হয়ে সেইম ডায়ালগ আমার প্রিয়তমাকে শুনালাম!
আমার প্রিয়তমার মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখে, আমি তাকে বললাম চা-বাগানের সৌন্দর্য উপভোগ করো এইদিকে আপনার মনোযোগ দিতে হবে না!
.
.
.
.
(১ সপ্তাহ ক্লাস করার পর)
:তুমি আমাকে কি বলেছিলে?
: (হতাশাগ্রস্ত) কিছুই বলিনি! আসো সমাজ পড়ি আমরা!
:কমিউনিটি মেডিসিনকে সমাজ বলে তুমি আমার প্রশ্ন চেইঞ্জ কেনো করতেসো?!
এই তোমার হানিমুন পিরিয়ড!!???
: আসলে যারা বলেছিলো তাদের তো আর পাইতেসি না! কি আর করবো!
: আমার আর ভালো লাগতেসি না! এর থেকে তো আগে ভালো ছিলো!!
: উম্ম! কোনটা আমাদের প্রেম? নাকি বিষয়?
:তোমার কি এখন খুব মজা করতে ইচ্ছা করতেসি?
:কালকে আইটেম আছে তো! তাই মনটা সচল রাখতেসি এই আর কি!
: ভাগো যাও! আর আমাকে BALANCED DIET এর ডেফিনেশনটা পাঠিও তোহ !
: আচ্ছা বস ! হেহেহে !!
.
.
.
.
.
যে এই থার্ড ইয়ারের নাম হানিমুন পিরিয়ড দিছে,তাকে হাতের কাছে পাইলে ভালো হইতো!
লাস্ট ৭ দিন ধইরে কি যে পড়ছি, তা নিজেও জানি না এবং বুঝি না! এখন মনে হচ্ছে এই একবছর কোনোভাবে পার হইলে হলো!
এরপরে কিন্তু ওয়ার্ড ........
(to be continued)
Comments
Post a Comment