Skip to main content

100 Words (Part:16- Ward)




ওয়ার্ড শব্দটা আমাদের মাঝে একটু হলেও পরিচিত, সবাই কখনো না কখনো একবার হলেও ওয়ার্ডে গিয়েছে।  কেউ কখনো অসুস্থতার কারণে ভর্তি হয়েছিলেন অথবা অসুস্থ আত্নীয়-স্বজনকে দেখতে গিয়েছেন।ওয়ার্ডের পরিবেশটা কেনো জানি আমার কাছে অন্য সকল জায়গা থেকে ভিন্ন মনে হয়! কেউ এখন বলতে পারেন যে হাসপাতাল আর ওয়ার্ডের মাঝে পার্থক্য কোথায়?!  দুটা তোহ একই। হয়তো এক হতে পারে কিন্তু আমার কাছে একটু হলেও ব্যতিক্রম। 

আমি আজ তৃতীয় বর্ষের মেডিকেল স্টুডেন্ট হয়ে ওয়ার্ডে প্রবেশ করলাম, আমার অনুভূতি ছিলো অন্যরকম।  সাধারণ চোখে পড়বে কয়েকটা বেড কিছু রোগী আর তাদের সেবা কিংবা বাঁচানোর জন্য কিছু ডাক্তার ও নার্স! আর আমার চোখে আমি দেখেছিলাম কিছু মানুষ যারা বাঁচার জন্য লড়াই করছে, তারা আরো এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে চায়, তাদের পাশে বসে থাকা তাদের পরিবার কিংবা প্রিয়জন,যাদের মনে একটায় প্রার্থনা যাতে তাদের মানুষ অতি দ্রুত সুস্থ হয়ে যায়! কিছু ডাক্তার, যারা তাদের সেরা দেওয়ার চেষ্টা করছে যাতে রোগী দ্রুত সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরে যেতে পারে আর কিছু নার্স যারা রোগীদের সেবা করেই যাচ্ছে,যাতে তাদের কোনো প্রকার সমস্যার সম্মুখীন না হতে হয়। বেডের মাথার কাছে কিছু যন্ত্র, পায়ের কাছের টেবিলে হাজারো ঔষুধ, হাজারো ফ্লুইড!  এতো টেনশন থাকা সত্তেও মানুষ হাসছে,বাঁচতে চাচ্ছে, কথা বলছে একে অপরের সাথে!  আমরা বাঙ্গালীরা অতি দ্রুত মানুষের সাথে মিশতে পারি, তার একটা সুন্দর উদাহরণ হিসেবে আমারা ওয়ার্ডকে ধরতে পারে!  পাশের বেডের মানুষের সাথে অল্প সময়ের মধ্যেই মানুষ মিশে যায়, কথা বলে, একে অপরের খবর নেয়!  খুবই ভালো লাগে এই দৃশ্যগুলো! 

এছাড়া আমরা যখন কোনো স্টুডেন্ট কোনো রোগীর সাথে কথা বলি, তখনও কেনো জানি তারা আমাদের সাথে মিশে যায়। হিস্ট্রি নেওয়ার সময় তাদের সহযোগী মনোভাব দেখলে খুবই ভালো লাগে!
এই পরিবেশে যখনই কোনো মানুষের আর্তনাদ  কিংবা ব্যাথায় চিৎকার করতে শুনি তখনই ইচ্ছা করে ইসস যদি আমার সুপার পাওয়ার থাকতো,তাহলে এই মানুষগুলোর সব রোগ, ব্যাথা দূর করে দিতাম।সত্যি বলতে মাঝে মাঝে নিজেকে মনে হয় সুপারহিরোর ট্রেইনিং চলেছে!  একটা সময় সব মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারবো,তাদের সুস্থ করে তুলবো!  আর তারা আমার দিকে তাকিয়ে খুশি মনে একটু হেসে উঠবে,এবং বলবে - ধন্যবাদ! 
আমি বলবো -- they all love me ❤️

প্রথমদিন ওয়ার্ডে তেমন কিছু হয়নি, জাস্ট পরিচিতি হয়েছে, ক্লাস শেষ করে দেখি সে দাঁড়িয়ে আছে আমার জন্য! আমাকে দেখে সে বলে উঠলো---

"hello my superhero!"

:(আমি তো আতকে উঠলাম! ) তুমি কিভাবে জানলে?
:হাহাহা!  আমি জানি তোমার মাথায় কি চলে! 
: দিন দিন বেশি ভালোবাসা হয়ে যাচ্ছে,মনে হচ্ছে আমার! 
:হয়তো!  এখন কি খাওয়াবে আমাকে বলো?! 
: যা আপনি বলেন হেহেহে ..... 


(to be continued)..... 

100 Words 
( Part-16: WARD )

Comments

Popular posts from this blog

একটি মধ্যবিত্ত ভালবাসার গল্প

কিছু গল্প সবসময় এক হয় না!  পার্থক্য, ভেদা-ভেদ সবকিছুতেই থাকে।ঠিক তেমনি ভালবাসার গল্পগুলোতেও কিছু মিল-অমিল পাওয়া যায়!আর আজকে ঠিক তেমনি অতি সাধারণ একটা গল্প তুলে ধরতে যাচ্ছি! 'মধ্যবিত্ত' শব্দটা হয়তো সকলেরই অনেক পরিচিত। মধ্যবিত্ত মানুষগুলো ধনী-গরীব হতে সম্পূর্ণ ভিন্ন।তাদের চিন্তা-ভাবনা,চলাফেরা এমনকি জীবনযাপনও ভিন্ন। আর মধ্যবিত্ত ভালবাসা এর মানে বুঝাই যাচ্ছে এর মধ্যেও কিছুটা ভিন্নতা আছে! ♥ কলেজ পড়ুয়া মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলের সাথে প্রেম করা বর্তমান যুগের মেয়ের জন্য তুলনামুলক প্যারাময়! কেননা এইসকল ছেলের থাকে না টাকা-পয়সা,মোটরসাইকেল আর কত কি!  কিন্তু মেয়েরা ভুলে যায়, অন্যদের মতো ঐ ছেলেদেরও সুন্দর একটা মন আছে, তারাও ভালবাসতে জানে!  টাকা-পয়সা বাইক এইসব শো অফ করাই কি ভালবাসা?? প্রেমিকার জন্মদিনে বড় অনুষ্ঠান করা, এ্যানিভার্সারি পালন করা আর আজাইরা টাকা খরচও কি ভালবাসা?? :/ ভালবাসা এমন হতে পারে না........ ১০০ টাকায় রিক্সা ভাড়া করে কিছুদূর ঘুরা! পাশাপাশি বসে একসাথে ফুচকা খাওয়া!♥ জন্মদিনে/অথবা অন্যকিছুতে টিফিনের এবং যাতায়াতের টাকা বাঁচিয়ে প্রিয় মানুষের জন্য ছোট্ট কিছু করা ...

তুমি, আমি আর সংসার (খুনসুটে অতীত)

  ২৩ শে জুন : শুভ জন্মদিন,ফায়াজ! :উম্ম, আপনার তাহলে মনে আছে?! ধন্যবাদ! : হ্যাঁ মনে কেনো থাকবে না!  স্বামীর জন্মদিন মনে রাখা একজন স্ত্রীর দায়িত্ব! শুনো টেবিলে ব্রেক-ফাস্ট রেডি করা আছে আর মা নানুর সাথে দেখা করতে গিয়েছে! বাসা তালা দিয়ে যেয়ো, আমাকে জলদি অফিসে যেতে হবে! : আচ্ছা একটু অপেক্ষা করেন, আমি নামিয়ে দিয়ে আসি! : নাহ নাহ! আপনি খেয়ে বের হয়েন এইটুকুই! এবং শুভ জন্মদিন!  বেশি প্রেসার নিয়েন না জন্মদিনে হাহাহাহা!  ( ফারিন অফিসের জন্য বের হলো) [বিয়ের ৩-৪ মাসের মধ্যে মেয়েটা আমাকে ভালোই চিনে ফেলেছে, যাক ভালো! তিনি ঠিক থাকলেই হলো! আর আজকের এই দিনে আর কি বা চেতে পারি! বছরের ঠিক মাঝে জন্মদিন, ব্যাপারটা ভালোই কিন্তু আজও কেউ কখনো..  উম্ম থাক! এই বুড়া বয়সে এসে এইসব ভাবা ঠিক না! ] বাথরুমে গিয়ে দেখি আয়নায় একটা স্টিকি নোট (শুভ জন্মদিন ডাক্তার সাহেব, হাসি মুখে ব্রাশ করে নাস্তার টেবিলে বসে যেয়েন, ভুলে যেয়েন না কিন্তু) [আমার বারবার নাস্তা করতে ভুলে যাওয়া এই ব্যাপারটা একবারে মাথায় নিয়ে নিয়েছে! খুবই অল্প সময়ের মধ্যেই একটা মজবুত বন্ধন কাজ করছে দুজনের মাঝে ব্যাপারটা মোটেও খা...

বন্ধুত্ব

বন্ধু শব্দটা মূলত অনেক কমন!  শৈশব থেকেই এই শব্দের যাত্রা শুরু হলেও কৈশোরকাল থেকে বন্ধু শব্দটা উপলব্ধি করা যায়! আর সত্যি বলতে এয়ারটেলের বিজ্ঞাপনের মাধ্যমেই আসল বন্ধুত্ব এর মর্ম বুঝা যায়! :p কমবেশি বন্ধু কিন্তু সবারই থাকে।  তবে সব বন্ধু এক রকম না কিংবা একজাতের না. .. খুব অল্প কিছু বন্ধু থাকে, যারা একদমই অন্যরকম !! সবার থেকে ভিন্ন! অন্য বন্ধুরা যখন বৃষ্টি হইলে তোমার জন্য ছাতা নিয়ে দৌড়ায়ে আসবে ... "এই নে " কিংবা এক ছাতার নিচে থেকে একসাথে যাবে! অন্যরকম বন্ধুগুলা তখন উল্টা তোমার মাথার ছাতাটা কেড়ে নিয়ে বন্ধ করে দিয়ে বলবেঃ "ছাতা কি কামে লাগে ?? চল ভিজি !!" বন্ধুর পাল্লায় পড়ে বৃষ্টিতে ভিজে তোমার জ্বর হবে ...পরিণতি ভালো হবে না! তুমি যখন কাতর গলায় বলবা, তোমার জ্বর আসছে, শুধুমাত্র তোর কারণে!.. তখন ঐ অসাধারণ বন্ধু তোমারে বলবেঃ(হাসতে হাসতে) "তো ?? আজকে জ্বর হইছে, কালকে নিউমোনিয়া হবে !!" "কি বলতেছিস এগুলা ??তুই আমারে বোদোয়া দিতেসিস!!" "হুম ... আমি দোয়া করি তোর নিউমোনিয়া হোক !!" "কেন ? তাতে তোর কি লাভ?" "তোর নিউমোনিয়া হইলে...