আমি আজ তৃতীয় বর্ষের মেডিকেল স্টুডেন্ট হয়ে ওয়ার্ডে প্রবেশ করলাম, আমার অনুভূতি ছিলো অন্যরকম। সাধারণ চোখে পড়বে কয়েকটা বেড কিছু রোগী আর তাদের সেবা কিংবা বাঁচানোর জন্য কিছু ডাক্তার ও নার্স! আর আমার চোখে আমি দেখেছিলাম কিছু মানুষ যারা বাঁচার জন্য লড়াই করছে, তারা আরো এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে চায়, তাদের পাশে বসে থাকা তাদের পরিবার কিংবা প্রিয়জন,যাদের মনে একটায় প্রার্থনা যাতে তাদের মানুষ অতি দ্রুত সুস্থ হয়ে যায়! কিছু ডাক্তার, যারা তাদের সেরা দেওয়ার চেষ্টা করছে যাতে রোগী দ্রুত সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরে যেতে পারে আর কিছু নার্স যারা রোগীদের সেবা করেই যাচ্ছে,যাতে তাদের কোনো প্রকার সমস্যার সম্মুখীন না হতে হয়। বেডের মাথার কাছে কিছু যন্ত্র, পায়ের কাছের টেবিলে হাজারো ঔষুধ, হাজারো ফ্লুইড! এতো টেনশন থাকা সত্তেও মানুষ হাসছে,বাঁচতে চাচ্ছে, কথা বলছে একে অপরের সাথে! আমরা বাঙ্গালীরা অতি দ্রুত মানুষের সাথে মিশতে পারি, তার একটা সুন্দর উদাহরণ হিসেবে আমারা ওয়ার্ডকে ধরতে পারে! পাশের বেডের মানুষের সাথে অল্প সময়ের মধ্যেই মানুষ মিশে যায়, কথা বলে, একে অপরের খবর নেয়! খুবই ভালো লাগে এই দৃশ্যগুলো!
এছাড়া আমরা যখন কোনো স্টুডেন্ট কোনো রোগীর সাথে কথা বলি, তখনও কেনো জানি তারা আমাদের সাথে মিশে যায়। হিস্ট্রি নেওয়ার সময় তাদের সহযোগী মনোভাব দেখলে খুবই ভালো লাগে!
এই পরিবেশে যখনই কোনো মানুষের আর্তনাদ কিংবা ব্যাথায় চিৎকার করতে শুনি তখনই ইচ্ছা করে ইসস যদি আমার সুপার পাওয়ার থাকতো,তাহলে এই মানুষগুলোর সব রোগ, ব্যাথা দূর করে দিতাম।সত্যি বলতে মাঝে মাঝে নিজেকে মনে হয় সুপারহিরোর ট্রেইনিং চলেছে! একটা সময় সব মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারবো,তাদের সুস্থ করে তুলবো! আর তারা আমার দিকে তাকিয়ে খুশি মনে একটু হেসে উঠবে,এবং বলবে - ধন্যবাদ!
আমি বলবো -- they all love me ❤️
প্রথমদিন ওয়ার্ডে তেমন কিছু হয়নি, জাস্ট পরিচিতি হয়েছে, ক্লাস শেষ করে দেখি সে দাঁড়িয়ে আছে আমার জন্য! আমাকে দেখে সে বলে উঠলো---
"hello my superhero!"
:(আমি তো আতকে উঠলাম! ) তুমি কিভাবে জানলে?
:হাহাহা! আমি জানি তোমার মাথায় কি চলে!
: দিন দিন বেশি ভালোবাসা হয়ে যাচ্ছে,মনে হচ্ছে আমার!
:হয়তো! এখন কি খাওয়াবে আমাকে বলো?!
: যা আপনি বলেন হেহেহে .....
(to be continued).....
100 Words
( Part-16: WARD )
Comments
Post a Comment