Skip to main content

বৃদ্ধাশ্রম

দীর্ঘ ১০ ঘণ্টা পর পুলিশ তাদের কার্জক্রমে সফল হয়েছে। এই মাত্র জানা গেল যে, "বৃদ্ধাশ্রম" গ্রুপের দলনেতা সহ আরো ৪ জন আটক। গত তিন ধরে এই গ্যাং বিভিন্ন বাড়িতে চুরি করে যাচ্ছে এবং সাথে একটা করে চিরকুট দিয়ে যাচ্ছে। প্রতিটি চিরকুটের লেখা দেখে পুলিশপক্ষ কিছুই বুঝে উঠতে পারে না! থাকুন আমাদের সাথে এবং লাইভ আপডেটের মাধ্যমে জানতে শেষ পরিস্থিতি।
----আমি জুয়েল রানা, খবর ঢাকা।
(দেশের অবস্থা এখন চরম বিপর্যয়ে।র‍্যাব আর পুলিশ মিলে দেখি সত্য উতঘাটন করতে পারে নাকি!এ ধরণের চুরি যদিও সবসময় দেখা যায় না তবে দেখি তাদের কারণ্টা কি!)
পুরো দেশের জনতা চোরদের লক্ষ্য এবং কারা চোর এটা জানতে ব্যাকুল। সবার মনে কেবল একটাই কথা কারা এবং কেন?
কিছুক্ষণ আগে জানা গেল বৃদ্ধাশ্রম দলের সকলকে রিমান্ডে আনা হয়েছে। জনতাকে পুলিশবাহিনী নিরাপদ থাকতে বলছে এবং তাদের সুরক্ষিত রাখার দায়ভার তারা নিয়েছে। উক্ত ঘটনাস্থলে উপস্থিত জুয়েল রানার কাছে আমরা একটি বিরতির পর যাবো। অতএব সাথেই থাকুন।
ঘটনাস্থল
(রিমান্ড কক্ষ)
-- স্যার,স্যার!
-- কি হয়েছে?
-- দলের মেম্বারদের মুখোশ খোলা হয়েছে!
-- তো এমন কি হয়েছে? তুমি এতো ঘামছো কেন?
-- স্যার আমার সাথে আসুন!
রুমের ভিতর ঢুকেই অবাক হয়ে উঠলো আব্দুল মান্নান।
-- এরা সকলেই তো ৫০ -এর উর্দ্ধে। এরা কিভাবে চুরি করতে পারে? আমার বিশ্বাস হচ্ছে না।
--- স্যার, আমি বৃদ্ধাশ্রম দলের দলনেতা আব্দুল মতিন মিয়া। তো চিন্তায় পইরেন না আমারই গত তিন ধরে চুরি করতেসি। আমরা আমাদের ভুল স্বীকার করতেসি।
-- দাঁড়ান। এই বয়সে আপনারা চুরি করতেসেন? ব্যাপারটা আমার বোধগম্য হচ্ছে না। একটু খুলে বলুন।
(জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ কর্মকর্তা এবং তাদের কোনো আঘাত করা হচ্ছে না)
-- ঘটনা খুলেই বলে। শুনেন......
আমি ঢাকায় আমার এক ছেলের সাথে থাকতাম।ছেলেটাকে অনেক কষ্টে মানুষ করেছি স্যার।ভালোই একটা ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত থাকে সে। আল্লাহর রহমতে টাকা-পয়সার কোনো অভাব নেই!
ছেলেটার বিয়েও দিয়েছি একটি উচ্চ সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়ের সাথে। আমার বউমা ভারি মিষ্টি, সেও একটা বেসরকারি ব্যাংকে চাকুরী করে। আর আমার একটা দাদুভাই আছে, সে সারাদিন আমার সাথে খেলাধুলা করতো।
--- ও চাচা!! আমরা আপনার ফ্যামিলির সুখের প্রতিচ্ছবি জানতে চাই নাই। আসল কাহিনী বলেন!!
--- বলতেসি বলতেসি! তার আগে একটু পানি হবে?
(পানি পান করার পর)
বিয়ের ঠিক ২ মাস পর ছেলে ও তার বউয়ের ব্যবহার কেমন জানি বদলে গেলো! দাদুভাইয়ের সাথেও খেলতে দিতো না, এমনকি তারা একসময় আমাকে বোঝা ভাবা শুরু করে!
বাসায় ইন্টারনেটের অথবা ডিস লাইনের সমস্যা হলে যতোবার তাদের অফিসে কল যায়, তার একভাগও তারা আমার সাথে কথা বলতো না।
এমনকি আমার ওষুধ কিংবা চশমায় সমস্যা হলে তখন তাদের টাকা-পয়সা কিংবা সময়ের অভাব পরে যায় কিন্তু তারা প্রতি রাত আমাকে ব্যতীত শপিং এবং বাইরে খাওয়া-দাওয়া করে।
তবুও আমি ভেঙে পড়িনি,নিজের ছেলে বলে আমি চুপ করে কেবল সহ্য করতাম,আর কিছুই না। অতপর...
একদিন হঠাত আমার অনেক বেশি খারাপ লাগছিল এবং খুব বেশি ঘুম পাচ্ছিল।গত এক সপ্তাহ ধরে একই কাহিনী।তাই এ সমস্যা জানাতে যখন তাদের রুমে যাচ্ছিলাম তখন শুনতে পারলাম যে, বউমা আমাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠানোর ব্যবস্থা করছে এবং তাতে আমার ছেলের প্রথমে দ্বিমত থাকলেও পরে সে রাজি হয়ে যায়।
স্যার,নিজে কষ্ট করে যাকে লেখাপড়া করিয়ে বড় মানুষ বানিয়েছে সে নিজেই আমাকে মায়া বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসে,সেদিন নিজের চোখের জলও শুকিয়ে গিয়েছিল। এই দিনটার জন্যই কি মানুষ তার ছেলে-মেয়ে বড় করে তোলে।
বৃদ্ধাশ্রমে থাকা প্রায় ১ বছর সময় অতিবাহিত হচ্ছে কিন্তু তাদের দেখা একবারও মেলে নি।বিকাশের মাধ্যমে নাকি টাকা পাঠাতো তারা এমনকি আমি ফোন দিলেও তারা ফোনে ঠিক মতো কথা বলতো না,কেননা তারা তাদের জীবন নিয়ে ব্যস্ত ছিল :'(
শুধুমাত্র আমি না,আমি ছাড়া আরো ৪৫-৫০ জন বাবা-মা মায়া বৃদ্ধাশ্রমে বন্দি ছিল।তাদের একেক- জনের গল্প একেক রকম।কারো কারো সন্তান বাসার বুয়ার কাজগুলো মাকে দিয়ে করাতো এবং চাকরের মতো ব্যবহার করতো বাবার সাথে।
কোনো সন্তান তো বাবা-মা ঠিকমতো চিকিৎসাও করাতো না, অবহেলায় ফেলিয়ে রাখতো তাদের এক কোণে। কিছু বাবা-মা না খেয়ে থাকতে থাকতে অসুস্থ হয়ে গিয়েছিল পরে তাদেরকে হাসপাতালে না রেখে বৃদ্ধাশ্রমে ফেলে যেতো!
স্যার, এরকম হাজারো কাহিনী আছে।শুনে রাত পোহাতে পারবেন না কিন্তু জানেন মায়া বৃদ্ধাশ্রমকে কখনো বৃদ্ধাশ্রম বলা যাবে না সেটা আমাদের সকলের জন্য জান্নাত। হ্যা,তারা আমাদের সন্তান না কিন্তু তাদের ব্যবহার,আমাদের খেয়াল রাখা সবকিছু ছিল নিজ সন্তানের উর্দ্ধে। তারা আমাদের একটা সমস্যাও ফেলে রাখে না, বরং সমাধান করে আমাদের মুখে হাসি ফোটানই তাদের কাজ!
-- তাহলে আপনার চুরির কাজ কেন বেছে নিলেন? আপনাদের তো কোনো সমস্যা ছিল না।
-- আছে স্যার আছে।
আমাদের দেখাশুনার জন্য আমাদের ছেলে-মেয়েদের কাছে টাকা চাওয়া হলে তারা নানা বাহানা করে টাকা দিতে না করতো অথবা কম টাকা দিতো না হয় ফোনই ধরতো না।
আমাদের দেখাশুনার কেন্দ্রে ছিল উক্ত প্রতিষ্ঠানের মালিকের ছোট ছেলে এবং সে আমাদের যেভাবে দেখে রাখতো তার ঋণ শোধ করা আসলেও মুশকিল। কিন্তু সে আমাদের এই টাকা সমস্যা নিয়ে কিছু বলতো না বরং মালিক ও তার ছোট ছেলে দুজনই নিজেদের টাকা খরচ করে বৃদ্ধাশ্রম চালাতে লাগলো।  এভাবে ৬ টি মাস দেখতে দেখতে চলে গেল!!
একদিন জানতে পারলাম যে মায়া বৃদ্ধাশ্রমের মূল মালিক মারা গিয়েছেন এবং দায়িত্ব নিবে তারা বড় ছেলে। ছোট ছেলেকে তার ভাই এই জায়গা লিখে না দিয়ে উলটো সে সারা সম্পত্তি লিখে নিয়েছে এবং সে নিজ ছোট ভাই এবং মাকেও বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। ছোট ছেলে তার মাকে নিয়ে বৃদ্ধাশ্রমে আসলে সে দেখে যে তার বড় ভাই লোকজন নিয়ে বৃদ্ধাশ্রমে থাকা বৃদ্ধ মানুষের ছেলে-মেয়েদের ফোন দিচ্ছে কারণ তারা যাতে তাদের বাবা-মাকে নিয়ে যায়।এই বৃদ্ধাশ্রম ভেঙে তারা জায়গা বিক্রি করে দিবে।
এই নিয়ে ছোট ছেলে প্রতিবাদ করতে গেলে তার সাথে নিজ আপন ভাইয়ে সংঘর্ষ হয় এবং বের করে দেয় ছোট ভাইকে।
পরবর্তীতে তারা আমাদের হুমকে দেয় যে ৭ দিনের মধ্যে আমাদের এই জায়গা খালি করতে হবে।
মায়া বৃদ্ধাশ্রমকে আমরা জান্নাত হিসেবে দেখেছি এবং এর মালিক ও তার ছোট ছেলের ভালবাসা এই স্থানের সাথে জুড়ে আছে। তাই আমরা আগে বৃদ্ধাশ্রমের আকাউন্টের খাতা বের করে দেখি আমাদের ছেলে-মেয়েরা আমাদের জন্য সামান্য টাকা দেয় নি!  তারা টাকা দিয়েছিল কেবলমাত্র আমাদের দিয়ে যাওয়ার সময়।
একরাতে আমরা সকলে এক হয়ে বসি এবং সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো যে উক্ত স্থান নিলামে গেলে আমার এই স্থানটি কিনে নেবো।
কিন্তু প্রশ্ন উঠলো এত টাকা আমরা কিভাবে পাবো?
হিসাব করে দেখলাম এবং এক কেরানীর মাধ্যমে জানতে পারলাম যে জায়গার দাম সর্ব্বোচ্চ ৫০ লক্ষ টাকা!
এতো টাকা সংগ্রহের উপায় বের করতে গিয়ে মাথায় আসলো আমরা চুরি করি। কিন্তু কোথায় চুরি করবো?
সকলে ভেবে আমরা একটা সিন্ধান্তে আসলাম এবং সেটি হলো........
আমরা নিজ নিজ সন্তানের বাসায় চুরি করবো এবং আমাদের বৃদ্ধাশ্রমে যেই টাকা দেওয়ার কথা ছিল ঠিক সেই টাকাই উঠাবো!
কিন্তু প্রশ্ন উঠে যদি আমরা ধরা খাই?
আমাদের প্ল্যান ছিল শেষদিন আমরা পুলিশের কাছে ধরা দিবো এবং মিডিয়ার মাধ্যমে সকলে আমাদের কথা জানাবো এবং বুঝাবো বৃদ্ধাশ্রমে থাকা বাবা-মা এর কষ্টগুলো।
৩ দিনের এই পরিকল্পনাতে আমরা ৮ জনের একটি টিম করি এবং একে একে করে নিজ নিজ সন্তানের বাসায়ই টাকা চুরি করি!
এই টাকা আমাদের হক না বরং হক মায়া বৃদ্ধাশ্রমের!!
                  ....................................
দর্শকমন্ডলী, বৃদ্ধাশ্রম দলের রহস্য উন্মোচন হয়েছে কিছুক্ষণের মধ্যেই র‍্যাব এবং পুলিশবাহিনী তাদেরকে নিয়ে উপস্থিত হবে।
পুলিশের মাধ্যমে জানা গেসে যে উক্ত দলের সকলেই নাকি ৫০ বছরের উর্দ্ধে এবং তারা সকলেই মায়া নামক বৃদ্ধাশ্রমের সাথে জড়িত। এবার........
.....
....
.....
দর্শকমণ্ডলী দেখতে পাচ্ছেন যে অফিসের সামনে ৩০-৪০ জনের মতো বৃদ্ধ-বৃদ্ধা হেটে আসছে এবং তারা সকলে অফিসের সামনে এসে দাঁড়িয়ে আছে, জানি না এখানে একটুপর কি হতে যাচ্ছে.....
র‍্যাব এবং পুলিশ গ্রেফতারকৃত দলের ৫জন সহ বাইরে বেরিয়ে আসলেন। পুরো দেশবাসি আজ অবাক যে এ বয়সে তাদের কি এমন দরকার ছিল যে তারা চুরি করতে নামলো!!
র‍্যাব বাহিনীর প্রধান-- উক্ত ঘটনার রহস্য আমরা জানতে পেরেছি এবং আমরা আপনাদের কাছে তা তুলে ধরবো তার আগে উক্ত দলের নেতা আপনাদের কিছু বলবেন!
-- সম্পূর্ণ দেশবাসীকে জানাই আমার সালাম আসসালামু আলাইকুম !!
আপনার আমাদেরকে দোষী ভাববেন এবং আমাদেরকে দোষারোপও করবেন কিন্তু আমরা দোষী নই!  আমরা আমাদের নিজ সন্তানের বাসায় নিজেদের হকের টাকা চুরি করেছি তাই বলে কি আমরা দোষী!!
এটা এখন আইনের ব্যাপার। জনগণ কিংবা আমরা এই সিদ্ধান্ত নিতে পারবো না তবে
আপনারা কি জানেন একজন বাবা-মা কিভাবে তাদের সন্তানকে বড় করে তোলে?
একজন পিতা-মাতা ত্যাগের কথা আপনারা জানেন? মা তার সুখকে ত্যাগ করে, বাবা নিজের আয়েশ ত্যাগ করে সন্তানের অভাব মিটানোর জন্য!! বাবা-মায়ের কষ্টের শেষ নেই, কিন্তু এটা তারা কাউকে জানাতে চায় না, শুনাতে চায় না এমনকি দেখাতেও চায় না!!
কিন্তু আজ পরিস্থিতিটাই এমন!
নিজের ছেলেমেয়েই আমাদের বোঝা ভাবে! নিজের ছেলেমেয়েই নিজ আপনকে পর ভাবে এমনকি নিজ বাবা-মায়ের সাথে কথা বলার সময় তাদের থাকে না!!
এইদিনগুলো দেখার জন্যই কি একজন বাবা-মা তাদের সন্তানকে বড় করে তোলে, এই দিনের জন্যই কি বাবা-মায়ের আত্নত্যাগ!! আমরা কিছুই চাই না আমাদের সন্তান থেকে বরং এটা চাই যে তারা যাতে আমাদের বোঝা না ভাবে, উপেক্ষা না করে!  উপেক্ষার মাধ্যমেই কি তারা মহত?? কখনই না!
(এক দীর্ঘ-নিশ্বাস নেওয়ার পর)
এক ছেলের ভুলে যাওয়ার অভ্যাস ছিল তবুও তার মা ছেলেবেলা থেকেই তাকে মনে করিয়ে করিয়ে বড় করেছে। ছেলে বড় হওয়ার পর নিজ বাড়িতে মায়ের জন্য একটা ঘর করতে ভুলে যায় এবং মাকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে যায় তবুও মা আল্লাহর কাছে ছেলের ভুলের জন্য ক্ষমা চায় কিন্তু তাকে অভিশাপ দেয় না!
ছেলেকে নিয়ে বাবা যখন প্রথম স্কুলে যায় তখন ছেলে বলে - বাবা আমার অনেক ভয় লাগছে। তখন বাবা উত্তর দেয়- ভয় নেই এখন থেকে তুমি তোমার মানুষ হওয়ার যাত্রা শুরু করবে! তেমনিভাবে তার ৩০ বছর পর বাবাকে নিয়ে যখন ছেলে বৃদ্ধাশ্রমে যায় বাবা বলে- আমার ভয় লাগছে রে! তাতে ছেলে জবাব দেয় -- ভয় নেই আব্বা এখানেই আপনার বাকি জীবন কাটাতে হবে! তবুও বাবার কোনো দুখ থাকে না সে সব মেনে নিতে রাজি!!!
আমি নিজে আর কিছু বলতে চাই না শুধু এইটুকুই বলবো যে --- বাবা-মা কষ্ট না দিয়ে তাদের একটু হলেও প্রতিদান দিতে শিখুন কেননা তারাই তোমাকে কোলেপিঠে মানুষ করেছে এবং তাদের জন্যই তুমি আজ এতো বড় হয়েছো!! তারা শেষ বয়সে তোমাদের কাছে কেবলমাত্র একটু আশ্রয়,ভালবাসা এবং স্নেহ চায়।
চুরির সবটাকা তারা জমা দিয়ে বাকিরা পুলিশের কাছে আত্নসর্ম্পণ করে।
......................
(১ দিন পর)
সবার সন্তান তাদের ভুল বুঝতে পারে এবং পিতা-মাতাকে জেল থেকে ছাড়িয়ে আনে!
মায়া বৃদ্ধাশ্রমের মালিকের বড় ছেলে তার ভুল বুঝতে পারে এবং সকলের কাছে ক্ষমা চায়। নিজে মা এবং ভাইকে নিয়ে সে এক নতুন জীবন শুরু করে এবং মায়া বৃদ্ধাশ্রম সেই জায়গায়ই থাকে!
পরবর্তীতে মায়া বৃদ্ধাশ্রমের নাম ৪৫ জন মিলে বদলিয়ে মায়া-কানন নাম রাখে। এবং প্রতিদিন বিকালে তারা এক হয়ে তাদের শেষ জীবনের গল্পে মশগুল হয়ে পড়ে ♥
                        ***********
বৃদ্ধাশ্রম নামক স্থান কি আসলেই দরকার?
যারা আমাদের এতো কষ্ট করে লালনপালন করে তাদের কি আমরা শেষ জীবনের বন্ধু হতে পারবো না?
আসুন সকলে নিজ বাবা-মাকে ভালবাসি, তাদের স্নেহ করি কেননা তাদের চেয়ে আপনজন এই দুনিয়াতে আমাদের কেউই নেই!!! তারাই আমার সবকিছু ♥
বৃদ্ধবয়সেই তাদের ভর করে দাঁড়িয়ে থাকার লাঠি হবো আমরা সন্তানেরা ♥
                                              ----- রাফসান।
(উক্ত ঘটনা সম্পূর্ণেই কাল্পনিক। কাউকে আঘাত করার উদ্দেশে ইহা লেখা হয়নি)

Comments

Popular posts from this blog

একটি মধ্যবিত্ত ভালবাসার গল্প

কিছু গল্প সবসময় এক হয় না!  পার্থক্য, ভেদা-ভেদ সবকিছুতেই থাকে।ঠিক তেমনি ভালবাসার গল্পগুলোতেও কিছু মিল-অমিল পাওয়া যায়!আর আজকে ঠিক তেমনি অতি সাধারণ একটা গল্প তুলে ধরতে যাচ্ছি! 'মধ্যবিত্ত' শব্দটা হয়তো সকলেরই অনেক পরিচিত। মধ্যবিত্ত মানুষগুলো ধনী-গরীব হতে সম্পূর্ণ ভিন্ন।তাদের চিন্তা-ভাবনা,চলাফেরা এমনকি জীবনযাপনও ভিন্ন। আর মধ্যবিত্ত ভালবাসা এর মানে বুঝাই যাচ্ছে এর মধ্যেও কিছুটা ভিন্নতা আছে! ♥ কলেজ পড়ুয়া মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলের সাথে প্রেম করা বর্তমান যুগের মেয়ের জন্য তুলনামুলক প্যারাময়! কেননা এইসকল ছেলের থাকে না টাকা-পয়সা,মোটরসাইকেল আর কত কি!  কিন্তু মেয়েরা ভুলে যায়, অন্যদের মতো ঐ ছেলেদেরও সুন্দর একটা মন আছে, তারাও ভালবাসতে জানে!  টাকা-পয়সা বাইক এইসব শো অফ করাই কি ভালবাসা?? প্রেমিকার জন্মদিনে বড় অনুষ্ঠান করা, এ্যানিভার্সারি পালন করা আর আজাইরা টাকা খরচও কি ভালবাসা?? :/ ভালবাসা এমন হতে পারে না........ ১০০ টাকায় রিক্সা ভাড়া করে কিছুদূর ঘুরা! পাশাপাশি বসে একসাথে ফুচকা খাওয়া!♥ জন্মদিনে/অথবা অন্যকিছুতে টিফিনের এবং যাতায়াতের টাকা বাঁচিয়ে প্রিয় মানুষের জন্য ছোট্ট কিছু করা ...

তুমি, আমি আর সংসার (খুনসুটে অতীত)

  ২৩ শে জুন : শুভ জন্মদিন,ফায়াজ! :উম্ম, আপনার তাহলে মনে আছে?! ধন্যবাদ! : হ্যাঁ মনে কেনো থাকবে না!  স্বামীর জন্মদিন মনে রাখা একজন স্ত্রীর দায়িত্ব! শুনো টেবিলে ব্রেক-ফাস্ট রেডি করা আছে আর মা নানুর সাথে দেখা করতে গিয়েছে! বাসা তালা দিয়ে যেয়ো, আমাকে জলদি অফিসে যেতে হবে! : আচ্ছা একটু অপেক্ষা করেন, আমি নামিয়ে দিয়ে আসি! : নাহ নাহ! আপনি খেয়ে বের হয়েন এইটুকুই! এবং শুভ জন্মদিন!  বেশি প্রেসার নিয়েন না জন্মদিনে হাহাহাহা!  ( ফারিন অফিসের জন্য বের হলো) [বিয়ের ৩-৪ মাসের মধ্যে মেয়েটা আমাকে ভালোই চিনে ফেলেছে, যাক ভালো! তিনি ঠিক থাকলেই হলো! আর আজকের এই দিনে আর কি বা চেতে পারি! বছরের ঠিক মাঝে জন্মদিন, ব্যাপারটা ভালোই কিন্তু আজও কেউ কখনো..  উম্ম থাক! এই বুড়া বয়সে এসে এইসব ভাবা ঠিক না! ] বাথরুমে গিয়ে দেখি আয়নায় একটা স্টিকি নোট (শুভ জন্মদিন ডাক্তার সাহেব, হাসি মুখে ব্রাশ করে নাস্তার টেবিলে বসে যেয়েন, ভুলে যেয়েন না কিন্তু) [আমার বারবার নাস্তা করতে ভুলে যাওয়া এই ব্যাপারটা একবারে মাথায় নিয়ে নিয়েছে! খুবই অল্প সময়ের মধ্যেই একটা মজবুত বন্ধন কাজ করছে দুজনের মাঝে ব্যাপারটা মোটেও খা...

বন্ধুত্ব

বন্ধু শব্দটা মূলত অনেক কমন!  শৈশব থেকেই এই শব্দের যাত্রা শুরু হলেও কৈশোরকাল থেকে বন্ধু শব্দটা উপলব্ধি করা যায়! আর সত্যি বলতে এয়ারটেলের বিজ্ঞাপনের মাধ্যমেই আসল বন্ধুত্ব এর মর্ম বুঝা যায়! :p কমবেশি বন্ধু কিন্তু সবারই থাকে।  তবে সব বন্ধু এক রকম না কিংবা একজাতের না. .. খুব অল্প কিছু বন্ধু থাকে, যারা একদমই অন্যরকম !! সবার থেকে ভিন্ন! অন্য বন্ধুরা যখন বৃষ্টি হইলে তোমার জন্য ছাতা নিয়ে দৌড়ায়ে আসবে ... "এই নে " কিংবা এক ছাতার নিচে থেকে একসাথে যাবে! অন্যরকম বন্ধুগুলা তখন উল্টা তোমার মাথার ছাতাটা কেড়ে নিয়ে বন্ধ করে দিয়ে বলবেঃ "ছাতা কি কামে লাগে ?? চল ভিজি !!" বন্ধুর পাল্লায় পড়ে বৃষ্টিতে ভিজে তোমার জ্বর হবে ...পরিণতি ভালো হবে না! তুমি যখন কাতর গলায় বলবা, তোমার জ্বর আসছে, শুধুমাত্র তোর কারণে!.. তখন ঐ অসাধারণ বন্ধু তোমারে বলবেঃ(হাসতে হাসতে) "তো ?? আজকে জ্বর হইছে, কালকে নিউমোনিয়া হবে !!" "কি বলতেছিস এগুলা ??তুই আমারে বোদোয়া দিতেসিস!!" "হুম ... আমি দোয়া করি তোর নিউমোনিয়া হোক !!" "কেন ? তাতে তোর কি লাভ?" "তোর নিউমোনিয়া হইলে...