সকালের ফাঁকা টেম্পুর কন্ডাকটর ছেলেটা
চিৎকার করতে থাকে ... যাত্রী দরকার তার ... মাঝে মাঝে গলা ধরে আসে তার ...
তবুও সে চিৎকার করেই যায় ... চাতক পাখির মত অপেক্ষা করে যাত্রীর আশায় !! আর অপর দিকে সকাল থেকে শুরু করে পিচ্চি ছেলেটি চিৎকার করে করে খবরের কাগজ বিক্রি করতে থাকে! উচ্চস্বর এর আওয়াজে মাঝে মাঝে কেউ না কেউ খবরের কাগজ কিনে!! যাতে আজ তার সকালেের খাবারেের টাকা উঠে যায়!
ভ্যানে করে বিশাল এক শাকসবজির সমাহার নিয়ে সর্বশক্তি
দিয়ে "শাক-সবজি লাগবে নাকি" বলে চিৎকার করতে থাকে মধ্য বয়সের এক বিক্রেতা!!
সবজির আয়ু কমে আসতে থাকে দীপ্ত রোদের তাপে, একনাগাড়ে চিৎকার করে তার কন্ঠের আয়ুও হ্রাস পায় প্রতি মিনিটে ... সে
তবুও ডাকতে থাকে
... একটা ক্রেতা পাবার আশায় !! একটুখানি টাকা কামানোর আশায়!!!
সকালের এই সময়টায় একটা ছেলে আনিকার ভালবাসার জন্য অপেক্ষা করতে থাকে! ... তার
ভেতরটা ততটাই আকুল হয়ে আনিকাকে খুঁজতে থাকে, যতটা আকুল হয়ে কন্ডাকটর ছেলেটা যাত্রী খুঁজতে থাকে, সবজিবিক্রেতা ক্রেতা খুঁজতে থাকে ... পিচ্চি পেপারওয়ালার হাতের
শেষ পেপারটা বিক্রি হয়ে যায়,
কিন্তু আনিকার জন্য জমে থাকা ভালবাসা ছেলেটার মনেই রয়ে যায় !! লেখা কবিতাগুলো ছন্দ হারিয়ে ফেলে এমনকি হাতে আকা ছবিগুলো রংহীন হয়ে পড়ে! তবুও আনিকার ইংগিত পাওয়া যায় না!
ছেলেটা তবু চিৎকার করে না ... তার
ভেতরটা মৃদু আওয়াজে আনিকা ডাকে ... সেই আওয়াজ আনিকা শুনতে পায় না !!
তার ধারণা, একদিন না একদিন আনিকা শুনবেই ... আচ্ছা, সেদিন কী ছেলেটা আনন্দে একটা চিৎকার দিবে ??
... নাহ ... সেদিনও সে একইভাবে চুপ করে
থাকবে !! নাকি দিনটা খুব দেরি হয়ে যাবে?
নাকি আনিকা তার ভুল বুঝতে পারবে?
"পৃথিবীর সব কিছু চিৎকার দিয়ে পেতে নেই
... পৃথিবীর সব কিছু পেয়েও চিৎকার দিতে নেই !!"
Comments
Post a Comment