স্বপ্ন দেখতে কে না পছন্দ করে তাই না?
এই স্বপ্ন অনেক ধরণের হয়!
একাদশ- দ্বাদশ শ্রেণির আজকের জন্য ইংরেজি বইয়ে একটা না দুইটা কবিতা ছিলো স্বপ্ন নিয়ে! আসলে স্বপ্ন এর প্রকারভেদ বিদ্যামান, যাই হোক লাইন থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিলাম! আমার এক বন্ধু আছে, নাম তার হাসান! ছেলেটা খুবই শান্তশিষ্ট এবং টেলেন্টেড! তবে ছেলেটির কপাল মোটেও ভালো ছিল না! অনেকটা বলা যায় পোড়াকপাল!!!
এই স্বপ্ন অনেক ধরণের হয়!
একাদশ- দ্বাদশ শ্রেণির আজকের জন্য ইংরেজি বইয়ে একটা না দুইটা কবিতা ছিলো স্বপ্ন নিয়ে! আসলে স্বপ্ন এর প্রকারভেদ বিদ্যামান, যাই হোক লাইন থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিলাম! আমার এক বন্ধু আছে, নাম তার হাসান! ছেলেটা খুবই শান্তশিষ্ট এবং টেলেন্টেড! তবে ছেলেটির কপাল মোটেও ভালো ছিল না! অনেকটা বলা যায় পোড়াকপাল!!!
দেখতে সাধারণ এবং সিম্পল বলেই হয়তো তার কপালে প্রেম নামক জিনিসটা কাজ কাজ করছিল না! যাই হোক সে সবচেয়ে বেশি ঘৃণা করতো ধুমপানকে! কেননা সে জানে এর কারণে কি কি রোগ হয়! ধুমপান থেকে সে প্রায় সকলকেই বাধা দিতো! আর তার পছন্দের মধ্যে ছিলো শরতচন্দ্রের বই পড়া!
এই গেলো হাসানের কাহিনী! জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে সে নতুন দিনের স্বপ্ন দেখতো এবং তাকে নিয়ে বাচতে চাইতো! নিজেকে নিয়ে যেমন সে ভাবতো, তার সাথে সে ভাবতো তার কল্পনার ভালোবাসাকে নিয়ে!
সকল পড়াশুনা, বহিরাগত কাজ করেও সে কাউকে নিয়ে বেচে থাকার স্বপ্ন দেখতো! কাউকে নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর স্বপ্ন দেখতো! কাউকে গল্প শোনানোর স্বপ্ন দেখতো!! কাউকে নিয়ে আজীবন থাকার স্বপ্ন দেখতো সে! ♥
সকল পড়াশুনা, বহিরাগত কাজ করেও সে কাউকে নিয়ে বেচে থাকার স্বপ্ন দেখতো! কাউকে নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর স্বপ্ন দেখতো! কাউকে গল্প শোনানোর স্বপ্ন দেখতো!! কাউকে নিয়ে আজীবন থাকার স্বপ্ন দেখতো সে! ♥
যেহেতু হাসান আমার বন্ধু! বরাবরের মতো সে আমাকে সবই খুলে বলতো এবং আমিও তাকে অনেক কিছু বলতাম!
একদিন এক পড়ন্ত বিকালে সে এসে বললো সে একজনের প্রেমে পড়েছে! আমি ওকে আগেই মানা করলাম কেননা আমি জানি প্রেম পড়া মানুষটা পাত্তা না দিলে কেমন লাগে! কিন্তু হাসান পুরোই নাছোড়বান্দা!
একদিন এক পড়ন্ত বিকালে সে এসে বললো সে একজনের প্রেমে পড়েছে! আমি ওকে আগেই মানা করলাম কেননা আমি জানি প্রেম পড়া মানুষটা পাত্তা না দিলে কেমন লাগে! কিন্তু হাসান পুরোই নাছোড়বান্দা!
মেয়েটা ভালোই ছিল, নাম ছিল রুপা! হাসান মেয়েটির জন্য পাগল প্রায় বলতে গেলে কিন্তু আমি ওকে আবারো বুঝালাম যে মেয়েটাকে আগে জানতে এবং বুঝতে!
অতপর জানি না হাসান এরপর কি করে!
একদিন আমাকে এসে বললো যে --- সে নাকি মেয়েটির সাথে দেখা করেছে! মেয়েটি তার সম্পর্কে সব বলেছে এমনকি তার অতীতও! ঠিক তেমনিও হাসানও তাকে সব খুলে বলেছে!
হাসান বরাবরের মতো খুব সাধারণ ছিল! এরপর তারা নাকি অনেক গল্প করেছে, দেখা করেছে ইত্যাদি!
....
....
....
একদিন আমাকে এসে বললো যে --- সে নাকি মেয়েটির সাথে দেখা করেছে! মেয়েটি তার সম্পর্কে সব বলেছে এমনকি তার অতীতও! ঠিক তেমনিও হাসানও তাকে সব খুলে বলেছে!
হাসান বরাবরের মতো খুব সাধারণ ছিল! এরপর তারা নাকি অনেক গল্প করেছে, দেখা করেছে ইত্যাদি!
....
....
....
হাসান আমাকে এই কাহিনীগুলো বলেছিল ঠিক ১ বছর আগে এই দিনে!
আমি কখনো ভাবিনি যে ও এভাবে এমন হয়ে যাবে!খারাপ লাগে অনেক! নিজের বন্ধুকে এভাবে দেখলে কারই বা ভালো লাগে!!!
---- তবে হাসান এভাবে এমন হয়ে গেলো কেনো?
আমি কখনো ভাবিনি যে ও এভাবে এমন হয়ে যাবে!খারাপ লাগে অনেক! নিজের বন্ধুকে এভাবে দেখলে কারই বা ভালো লাগে!!!
---- তবে হাসান এভাবে এমন হয়ে গেলো কেনো?
----আসলে রুপা হাসানের কাছে কিছু সময় চেয়েছিল! কেননা একটা সম্পর্কে অনুভূতি-ভালবাসা-শ্রদ্ধা- বিশ্বাস অনেক বেশি জরুরী! তার সাথে জরুরী ছিল একে -অপরকে চেনা! হাসান এতোটাই রুপাকে ভালোবাসতো যে হাসান রুপার জন্য সবই করতে পারতো!
কিন্তু রুপা মাঝে মাঝে বান্ধুবীদের পাল্লায় পড়ে ধুমপান করতো!
তবে রুপা হাসানকে জিজ্ঞাসা করতো এবং হাসান রুপাকে কখনো বাধা দিতে পারে নি! হাসান ভাবতো যে রুপা একদিন বুঝতে পারবে! তাই হাসান সবসময় বলতো যে অল্প অল্প করতে! কিন্তু ধুমপান যে একটা নেশা তা হাসান কিভাবে বুঝবে! যেই ছেলে জীবনে ধুমপানের ধোয়ার কাছেই থাকে নাই,সে কিভাবে বুঝবে নেশা কি!
কিন্তু রুপা মাঝে মাঝে বান্ধুবীদের পাল্লায় পড়ে ধুমপান করতো!
তবে রুপা হাসানকে জিজ্ঞাসা করতো এবং হাসান রুপাকে কখনো বাধা দিতে পারে নি! হাসান ভাবতো যে রুপা একদিন বুঝতে পারবে! তাই হাসান সবসময় বলতো যে অল্প অল্প করতে! কিন্তু ধুমপান যে একটা নেশা তা হাসান কিভাবে বুঝবে! যেই ছেলে জীবনে ধুমপানের ধোয়ার কাছেই থাকে নাই,সে কিভাবে বুঝবে নেশা কি!
রুপাও এভাবে ধুমপান কম করলেও যখন করতো তখন বেশি করে করতো! আর হাসানও বাধা কম দিতো!
এভাবে যেদিন রুপা হাসানকে তার মনের কথা বলতে যায় সেদিন সে বেহুশ হয়ে যায় এবং হাসপাতালে নেওয়ার পর ডাক্তার বলে যে রুপার ফুসফুসে ক্যান্সার হয়েছে! এবং তাকে এখন কোনোভাবেই বাচানো সম্ভব নয়!
সেদিন থেকে হাসান রুপাকে হারানোর পর থেকে মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়ে যায় এবং আমি আর হাসানের বাবা-মা হাসানকে এখানে দিয়ে যাই!
---- তুমি তোমার বন্ধু হাসানকে অনেক ভালোবাসো??
---- কি মনে হয়! ও আমার বন্ধু থেকেও বেশি ছিলো! শুধুমাত্র সে বাধা দেই নি বলে রুপা তাকে ছেড়ে চলে গিয়েছে! এ কথা ভাবতে ভাবতে সে SORRY বলতেই থাকে!
---- কি মনে হয়! ও আমার বন্ধু থেকেও বেশি ছিলো! শুধুমাত্র সে বাধা দেই নি বলে রুপা তাকে ছেড়ে চলে গিয়েছে! এ কথা ভাবতে ভাবতে সে SORRY বলতেই থাকে!
নিজের বন্ধু এভাবে আর দেখতে পারি না! আমাকে ধরেই বলে--- দোস্ত রুপাকে বলে দিস যে আই এম সরি! বলিস কিন্তু!!!! আর এমন হবে না!
আর যার জন্য আমার বন্ধু এতো কিছু করলো তার মুখে সে একটা বারের জন্যও I LOVE YOU শুনতে পারলো না!
বাস্তবতা বড়ই নির্মম এবং আমাদেরকেও তা মানতে হবে! :'(
হয়তো উপরের কাহিনীটি একটি গল্প কিন্তু তা বাস্তব হতে আর কতোদিন!
ধুমপান নামক জিনিসটাকে কি আমরা বাদ দিতে পারি না?
নেশা করার দরকার কি? আমি বলি খাওয়ার দরকারই কি?
মজা দরকার? তাই বলে ধুমপান?!!!
ধুমপান নামক জিনিসটাকে কি আমরা বাদ দিতে পারি না?
নেশা করার দরকার কি? আমি বলি খাওয়ার দরকারই কি?
মজা দরকার? তাই বলে ধুমপান?!!!
এভাবে হাজারো মানুষ তাদের ক্ষতি প্রতিনিয়ত করে যাচ্ছে কিন্ত তা নিয়ে তাদের হুশ নেই! কেনই বা থাকবে!! কেননা তারা ভাবে না তারা মরে গেলে তাদের পরিবারের কি হবে? সন্তানের কি হবে? বাবা-মায়ের কি হবে? স্বজনদের কি হবে?
আমাকে একদা একজন বলেছিল মানুষের নাকি খুব দুখ থাকলে নাকি তারা ধুমপান করে!
এতো দুখ মানুষের!???
এতো দুখ মানুষের!???
জীবনে তো দুখ -হতাশা-বাধা থাকবেই তাই বলে কি আমাদের ধুমপান করতে হবে? মরে যেতে হবে? নেশা করতে হবে?
জীবন এতো দূর্বল যদি হয় তাহলে বেচে থেকো না! ফাসি নাও নাহলে গাড়ির নিচে মাথা দাও!
জীবনের ছন্দের সাথে নিজেদেরকে তাল মিলিয়ে বেচে থাকতে হবে! তবেই জীবনের স্বার্থকতা পাওয়া যাবে!!!
তাই ছোট হয়ে আমি এখনো সবাইকে বলি --- দয়া করে সৃষ্টিকর্তার দেওয়া এই সুন্দর জীবন এবং সুন্দর দেহের ক্ষতি না করে জীবনকে আলোকিত করে বেচে থাকার আশা নিয়ে স্বপ্ন দেখি!
ইনশাআল্লাহ একদিন আমরা সবাই সফল হবো!
ইনশাআল্লাহ একদিন আমরা সবাই সফল হবো!
অনুরোধ রইলো ধুমপান থেকে বিরত থাকার!
#Smokingkills!
বিদ্র: উক্ত কাহিনীতে কাউকে নির্দেশ করা কিংবা কাউকে ইংগিত করা হয়নি! পুরো ঘটনাই কাল্পনিক!
Comments
Post a Comment