Skip to main content

Is Suicide a trend or solution ??



তো কেমন আছেন মুখবইবাসীরা ??
আশা করি ভালোই আছেন তবে ভালো না থাকার সম্ভাবনাই বেশি!! কারণ তা আমার লেখার নাম দেখেই বুঝতে পারছেন । লেখাটি আরো আগেই পাবলিশ করতাম কিন্তু তার আগেই দেখি আরো দুইটি সুইসাইডের ঘটনা ঘটে যায়। তাই একটু দেরি হলো । আমার লেখার নামে TREND কথাটি আগে ছিল না কিন্তু শেষমেষ TREND শব্দটি লাগিয়ে দিলাম ,কারো খারাপ লাগলে আমি দুঃখিত।

বেশি আজাইরা কথা বলে শুরু করতে চাই না ,একেবারে আসল কথায় চলে আসি।প্রথমত এই ব্যাপারে আমার কিছুই লেখার ইচ্ছা ছিল না ,শুধুমাত্র বন্ধু এবং শিক্ষকদের প্রেরণায় লেখাটা লিখছি । এতো ঘটনা ঘটে যাবার পর ভাবলাম সুইসাইড শব্দটি সম্পর্কে WIKI কি বলে দেখা যাক।তাই সেখানে গিয়ে কিছু যা পেলাম---  



Suicide is the act of intentionally causing one's own death.Risk factors include mental disorders such as depression, bipolar disorder, schizophrenia, personality disorders, and substance abuse, including alcoholism and use of benzodiazepines. Other suicides are impulsive acts due to stress such as from financial difficulties, troubles with relationships, or from bullying.Those who have previously attempted suicide are at higher risk for future attempts. Suicide prevention efforts include limiting access to methods of suicide, such as firearms, drugs, and poisons, treating mental disorders and substance misuse, proper media reporting of suicide, and improving economic conditions.Although crisis hotlines are common, there is little evidence for their effectiveness.
The most commonly used method of suicide varies between countries, and is partly related to the availability of effective means.Common methods include hanging, pesticide poisoning, and firearms. Suicide resulted in 828,000 deaths globally in 2015 (up from 712,000 deaths in 1990). This makes it the 10th leading cause of death worldwide. 

(https://en.wikipedia.org/wiki/Suicide)


আশা করি সবাই বুঝেছেন ! 

তো কিছুদিন আমার কলেজের(ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ) দশম শ্রেণির ছেলের আত্মহত্যার ঘটনা শুনেছেন। ঘটনা আপনারা পুরোটাই জানেন আশা করি ।
পাশে প্রথম আলোর ৩০ সেপ্টেম্বরের একটা ছবি দেওয়া হলো। এই লেখাতে আমি এই ঘটনা নিয়ে কিছু বলবো এবং কিছু দেখাবো ।


ঘটনার মাধ্যমে নিজ কলেজের এক শিক্ষককে নিয়ে কথা উঠে এবং এমন এক শিক্ষককে নিয়ে কথা উঠে যিনি মোটেও এই মানসিকতার মানুষ না বরং আমি ঐ কলেজের ছাত্র হয়ে বলতে পারি যে আমাদের কলেজের কোনো শিক্ষকই এমন নয়।স্যারের উপর কথা তোলার পর নিজের কাছেই খারাপ লাগলো, ঠিক তারপরই দেখতে পেলাম রুমানা আফরোজ ম্যাডামের ফেসবুক স্ট্যাটাস।



যখন দেখি আমারই স্বগোত্রের কাউকে বিনা দোষে দোষী করা হচ্ছে মনে বড় ব্যথা পাই।এত বছর ধরে একসাথে চাকরী করছি, আমরা আমাদের মোটামুটি চিনি।যেই মানুষটা CTPক্লাসেও ছাত্রদের অংক করান,যিনি শিক্ষক মিলনায়তনে বেশিরভাগ সময়ই চুপচাপ বসে সব দেখেন আর শোনেন, আমাদের সাথে কথা বলেন অত্যন্ত বিনীত ভঙ্গীতে,কখনো দেখিনি তাকে ছাত্রদের অতি বকাবাদ্য করতে, তাকে একটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে ভাবিনি কখোনো।মনে হয় আমাকেই যেনো আঙুল তুলে অপমান করা হচ্ছে।এযেনো কান নিয়েছে চিলে,কানের পিছে মরছি ছুটে আমরা সবাই মিলে-এমন ব্যাপার।যে যাই মন্তব্য করুন না কেনো সত্যিটা জেনে,বুঝে, দেখে করুন।শোনা কথা বিশ্বাস করতে হয় না।আর শিক্ষকের মান -মর্যাদা হানী করার অধিকার আমরা কাউকে দেই নি।
                                                    ----রুমানা আফরোজ (০২ অক্টোবর ২০১৭)

স্যার আসলেই মানুষটা এমনই । ঠিক ঐ পোস্টে আমি আমার প্রিয় ফেরদৌস আরা ম্যাডামের একটা কমেন্ট পাই সেটা হলো -- 
এই স্খলন এবং পতনের যুগেও DRMC-র শিক্ষকরা উজ্জ্বল ব্যতিক্রম । তাঁদের কাছে ছাত্রই পুত্র। হিসাব আলীকে যেদিন join করেছেন, সেদিন থেকে আজ পর্যন্ত চিনি। তিনি আপাদমস্তক একজন আদ্র্শ শিক্ষক । অচিরেই সত্য প্রকাশিত হবে। সিয়ামের জীবনের অকাল পরিসমাপ্তির জন্য যা কিছু দায়ী তা সবাই বুঝবে।

এরপর আর আমি স্যারকে নিয়ে তেমন কিছু বলবো না। যা জানতাম তাই বলা হয়েছে। এবার আসা যাক ঘটনায়--

আমাদের কলেজের এক জুনিয়র ভাই তার নাম সামসুল ইসলাম । তথ্য মতে জানা যায় যে সে নাকি আত্নহত্যা করেছে এবং তার মৃত্যুর তিনদিন পর লাশ পাওয়া যায় বুড়িগঙ্গায়, তো আমার 

প্রথম প্রশ্ন   সে যদি আত্মহত্যাই করে তবে লাশ তিনদিন পরে পাওয়া গেলো কেন ??
দ্বিতীয় প্রশ্ন  লাশ কেন বুড়িগঙ্গায় পাওয়া গেল?
তৃতীয় প্রশ্ন  কোনো প্রমাণ ছাড়াই কেন আমাদের কলেজের শিক্ষককে দোষারোপ করা হবে ??

ছেলেটির মৃত্যুর কারণ নানা কিছু হতে পারে ,যা আমাদের নিকট কেবলমাত্রই অনুমান। জানি না এর উত্তর পাবো কি না !! তবে আমি কোনো জ্ঞানী ব্যাক্তি নই যে আমি এইসব নিয়ে মাথা ঘামাবো অথবা কথা বলবো কিন্তু  আমি কেবল একজন ছাত্র যার কলেজের শিক্ষকের উপর মিথ্যা দোষ দেওয়া হচ্ছে। তাই কথাগুলো বললাম । ভুল কিছু বললে ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন। 

আপনারা ভাববেন আমি এখন মোটিভেশনাল কথা বলবো কিন্তু না !! আমার ঐ যোগ্যতা নেই এইসব নিয়ে কথা বলার !! আমি কেবলমাত্র মানুষের ভুল ধারণাকে দূর করতে চাই। এখন আমি এই কাহিনী নিয়েই কিছু জিনিস তুলে ধরবো ।

আমার এক বন্ধু এই বিষয় নিয়ে অনেক কিছু বলেছে ,তার কথাগুলো আমার ভালো লেগেছে তাই তার কথাগুলো তুলে ধরছি!!

সবাই যখন Suicide trend নিয়ে এতো কথা বলছে, তখন আমিও দু একটা কথা বলি-
১। যেসব ভাই ও বোনেরা ছাত্রের আত্মহত্যার জন্য শিক্ষককে দায়ি করছেন, তাদের জন্য আমার একটাই কথা- কুলাঙ্গার দেখছি, কিন্তু আপনারা তার চেয়েও অধম। আপনি একজন শিক্ষককেকে গালি দেওয়ার আগে শতবার ভাববেন যে, ওই শিক্ষকগুলোর জন্যই আজ আপনি কলেজের গন্ডি টপকাইছেন। আপনার যদি এতটাই মনে হয় যে, দশম শ্রেণিতে পড়া একজন ছাত্রের উপর পরিবার, শিক্ষক, শিক্ষাব্যবস্থা এতোটায় চাপ দিচ্ছে যে সে আত্মহত্যা করার সিধান্ত নিচ্ছে..... তাহলে কেউ আর কলেজ, ভার্সিটি তে পড়তো না।
২। যারা DRMC এবং DRMC'র শিক্ষকদের নিয়ে কটুক্তিমূলক কথা বলছেন বা পোস্ট করছেন- তাদের বলতে চাই, Dhaka Residential Model College একটা ব্রান্ড। যেখান থেকে একেকটা রত্নের সৃষ্টি হয়। আর রত্ন তৈরির কারিগর হলেন আমাদের পিতার মত স্যার ও মায়ের মত শিক্ষিকারা। তাদের হাত ধরেই বিশ্বখ্যাত মানুষ তৈরি হয়েছে। একজন শিক্ষকই সবথেকে ভালো বোঝেন তার কোন ছাত্রটি কেমন। তিনি কোনদিনই এমন চাপ সৃষ্টি করেন না যাতে করে ছাত্রটি কোন খারাপ সিধান্ত নেয়। আপনাদের উদ্দেশ্যে এতটুকুই বলার- নিজের সন্তানকে নিজে বোঝার চেষ্টা করুন। তারপর কোন দেশবরেণ্য প্রতিষ্ঠানে ভর্তির কথা ভাববেন।
৩। যারা অন্তত ইসলাম ধর্মের অনুসারী হয়ে আত্মহত্যা করে, তারা বিকৃত মানসিকতার পরিচয় দেওয়া ছাড়া আর কিছুই করেনা। আর তাদের নামের পূর্বে rest in peace লাগানো কতটুকু যৌক্তিক তা নিয়ে আমার যথেষ্ট প্রশ্ন রয়েছে।
সবশেষে আমার একটাই অনুরোধ- কোন মানুষের আত্মহত্যারর পেছনে অনেক কারণ থাকতেই পারে, কিন্তু সেটার জন্য কাউকে দোষারোপ করার পূর্বে একটু ভেবে করবেন।
No offence
                                     ----তানভির হাসান সারজি (সেপ্টেম্বর ৩০ ২০১৭)
 (https://www.facebook.com/tanvirhasan.sarji/posts/708390229353008 )



রাত ৮টা-
রাস্তা দিয়ে হাঁটছি। চোখে পড়লো একটি মেয়ে। স্কুল ড্রেস পরিহিত। মায়ের হাত ধরে যাচ্ছে। ৪র্থ কিংবা ৫ম শ্রেণির হবে। তার কাঁধেচাপা একটি ব্যাগ আবিষ্কার করলাম। যেটার সাইজ দেখে আঁতকে উঠার মত অবস্থা হলো।
পরক্ষণেই ভাবলাম কোন স্কুল/কলেজ তো ৫টার পর আরর খোলা থাকে না। তাহলে এতোরাত পর্যন্ত মেয়েটি স্কুল ড্রেসে কি করছে। উত্তরটা আমাদের সকলেরই জানা।

এই শিক্ষা কি স্বশিক্ষিত হবার শিক্ষা নাকি আত্মহত্যার?
ভেবে উত্তর দিন, উত্তর দিন নিজের মনকে।



                                            ----তানভির হাসান সারজি (অক্টোবর ৪ ২০১৭)
(https://www.facebook.com/tanvirhasan.sarji/posts/710284215830276 )

এরপর শেষ করতে চাই আমাদের কলেজের বাংলা বিষয়ের প্রভাষক তারক আহমেদ স্যারের একটা লেখা দিয়ে ।

শিক্ষকের দোষ, সীমাবদ্ধতা ও দায়বদ্ধতা

শিক্ষক হিসেবে আমার অভিজ্ঞতার ঝুলি বিচিত্র অভিজ্ঞতায় পূর্ণ। ঢাকা শহরের বেশকিছু নামকরা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা আমার রয়েছে। এখন যেখানে আছি সেটাও সারাদেশে পরিচিত একটি প্রতিষ্ঠান। শিক্ষক হিসেবে অামারও অনেক বিরক্তিকর ঘটনার মুখোমুখি হতে হয়েছে, তার মধ্যে কিছু উল্লেখ করছি। যারা এই ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত তাদের প্রতি সম্মান ও সহানুভূতি স্বরূপ নাম প্রকাশ করছি না।
ঘটনা-1: শ্রেণিশিক্ষক হিসেবে এক ছাত্রীকে কলেজের নিয়মানুযায়ী চুল বেঁধে আসতে বলায় আমাকে অভিযুক্ত হতে হয়েছে যে, আমার কাছে প্রাইভেট না পড়ায় আমি নাকি তাকে আজে-বাজে কথা বলি এবং বাজে ইঙ্গিত দিই। যাই হোক শ্রেণির বেশিরভাগ ছাত্র-ছাত্রীর ভালোবাসায় সেবার বেঁচে গেলাম।
ঘটনা-2: কলেজের বাইরে ঘটা কোনো ঘটনার কারণে এক ছাত্রীর অভিভাবককে উপাধ্যক্ষ ম্যাডাম ডেকেছেন এবং মেয়ের উগ্রতা সম্পর্কে সাবধান করায় সংশ্লিষ্ট অভিভাবক শ্রেণিশিক্ষক হিসেবে আমাকেও তার মেয়ের উগ্রতার জন্য দায়ী করেন। কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, শ্রেণিশিক্ষক তার মেয়ের সম্পর্কে তাকে কেন অবহিত করেনি।
ঘটনা-3: আমার আগের প্রতিষ্ঠানের এক ছাত্র ক্লাসটেস্টে বাংলায় 10 এর মধ্যে পেয়েছে 3। আমার ক্লাসেই তাকে দেখলাম কোনো এক কোচিংয়ের হোমওয়ার্কে সে ব্যস্ত। আমি রেগে গিয়ে সেই হোমওয়ার্কের খাতা ছিড়ে ফেলায়, ছেলের বাবা আমার কাছে প্রাইভেট না পড়ায় মানসিক নির্যাতন করেছি মর্মে অধ্যক্ষ স্যারের নিকট অভিযোগ করলেন, আমাকে শোকজ নোটিস ধরিয়ে দেওয়া হলো, আমিও সুযোগ মতো সে প্রতিষ্ঠানের চাকরি ছেড়ে অন্য প্রতিষ্ঠানে চলে গেলাম। 2015 সালে ঘটনার পাঁচ বছর পর অন্য এক ছাত্রের সাথে আমার বাসায় এসে সে ক্ষমা প্রার্থনা করেছে।
ঘটনা-4: এক ছাত্রী মায়ের অসুস্থতার কথা বলে ছুটি নিতে চাইত। বাবার সাথে কথা বলতে চাইলে সে যে নম্বর দিয়েছে তাতে ফোন করলে তার স্ত্রী অনেক অসুস্থ, তাই মেয়েটা ঠিক মতো ক্লাসে থাকতে পারে না বলে উল্লেখ করত। পরে জানা গেল তার মায়ের কোনো অসুস্থতাই নেই এবং তার বাবা এ বিষয়ে আমার সাথে কথাও বলেনি। বাবা এ বিষয়ে রাগ করলে মেয়ে দিনদুই বাড়িতে না বলে দূর সম্পর্কের এক আত্মীয়ের বাসায় ছিল। ভাগ্যিস সে আত্মহত্যা করেনি, না হলে আমার কপালে কী না কী ছিল।
ঘটনা-5: এক ছাত্রের বাবার মোবাইলে প্রতিদিন ছেলের অনুপস্থিতি সংক্রান্ত মেসেজ যায়, কারণ সে যখন কলেজে উপস্থিত হয় ততক্ষণে আমি উপস্থিতির হিসাব পাঠিয়ে দিই। ছেলের বাবার অভিযোগ আমার কাছে না পড়ায় উপস্থিত হলেও আমি তাকে অনুপস্থিত দেখাই। একদিন উনি আমার বাসায় আসলেন আরেক শিক্ষকের সাথে। সংশ্লিষ্ট শিক্ষক মহোদয় উনাকে আমার কাছে নিয়ে এসেছেন কারণ উনি নাকি আমার নামে অধ্যক্ষ স্যারের নিকট অভিযোগ দিতে যাচ্ছিলেন। তিনি আমার কাছে এসে জানতে পারলেন কলেজে ক্লাস শুরু 1:15তে নয় 1টায়, অর্থাৎ ছেলে তাকে ভুল বুঝিয়েছিল।
ঘটনা-6: দীর্ঘ অনুপস্থিতি ও কয়েক বিষয়ে ফেলের কারণে অভিভাবক হিসেবে বাবাকে ডেকে পাঠালেও তিনি আসেন না। ফোন দিলে তার মা ধরে বলেন, তার বাবা অনেক ব্যস্ত তাই আসতে পারেন না। লোকাল গার্ডিয়ান হিসেবে ছেলেটি একদিন আপন মামা পরিচয়ে একদিন একজনকে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে নানা কারণে ছেলেটির টিসি পাওয়ার মতো অবস্থা হলে ছেলেটির বাবা আমার সাথে দেখা করতে আসেন এবং পূর্বে ঘটে যাওয়া কোনো বিষয়ই তিনি অবহিত নন বলে জানান, ঢাকায় তার কোনো মামাও থাকেন না বলে জানান।
ঘটনা-7: গত বছর পরীক্ষার সময় এক ছাত্র প্রশ্নের মধ্যে লিখে আরেকজনকে সরবরাহ করার সময় আমার হাতে ধরা পড়ে। এ কারণে তাকে জিজ্ঞেস করা হলে সে আমার সাথে তর্কে লিপ্ত হয়, আমিও তাকে একটি থাপ্পর দিয়েছি। খুব জোরে নয়। পরদিন তার বাবা নালিশ নিয়ে আসে উপাধ্যক্ষ ম্যাডামের রুমে এবং বলেন যে তার ছেলেকে মেরে রক্তাক্ত করা হয়েছে , মারের চোটে চোখের চশমা ভেঙেছে। তো যাই হোক বলতে গেলে যে ছাত্র প্রশ্নে লিখেছে তাকে বেশি বকেছি। কিন্তু নালিশ দিল যে দেখে লিখছিল তার বাবা। যাই হোক সেই ছাত্রের ক্লাসটিচার এবং সেখানে উপস্থিত অন্য ছাত্রদের কারণে তার অভিযোগ প্রতিষ্ঠিত হয়নি।ছাত্রটির সাথে রাস্তাঘাটে আমার দেখা হয়, আগে কথা হলেও এই ঘটনার পরে আমিই লজ্জায় তাকে আর কিছু বলি না। একদিন সে কলেজে এসে আমার কাছে ক্ষমা চাচ্ছে আর বলছে, স্যার আমি আসলে বুঝতে পারিনি বিষয়টা এতদূর গড়াবে।
উপর্যুক্ত কথাগুলো বলার কারণ একটাই যে, শিক্ষক হিসেবে একজন ছাত্রের মঙ্গল কামনাই সকল শিক্ষকের লক্ষ্য। কিছু ব্যতিক্রম যে নেই তা বলব না। তবে এই সময়ের শিক্ষা ব্যবস্থায় একজন শিক্ষকের করার বেশি কিছু থাকে না। শ্রেণিশিক্ষক এবং বিষয়শিক্ষককে যেতে হয় নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে। ছাত্রের সফলতা-বিফলতার মাপকাঠিতে শিক্ষক হিসেবে তাকেও বিচার করা হয়। একদিকে যেমন ছাত্রের যথাযথ জ্ঞানবিকাশের কথা বলা হয়, আবার অন্যদিকে রেজাল্টমুখী শিক্ষাকেও প্রাধান্য দেওয়া হয়। শিক্ষাব্যবস্থার এই দ্বিচারিতার কারণে ছাত্র-শিক্ষক উভয়েই পিষ্ট।এ কারণে সবাই যার যার পর্যায়ে বীতশ্রদ্ধ এবং বিরক্ত।শিক্ষক চান ছাত্র সর্বতাবস্থায় তার মুখ উজ্জ্বল করবে। সব ছাত্র হয়তো সেটা দিতে পারে না (সবার পারার কথাও না) বা শিক্ষকের এই খবরদারি অনেক ছাত্র পছন্দ করে না। এভাবে নিজের অজান্তেই অনেক শিক্ষক কিছু ছাত্রের শত্রুতেই পরিণত হয়, আর শত্রুকে যেভাবে পার ঘায়েল কর। অনেকের ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দের বিষয়টিও কাজ করে এক্ষেত্রে।
অনেকে হয়তো মনে করবেন, আমি শুধু নেতিবাচক কথাই বললাম। কিন্তু সত্যি বলতে কী ছাত্রদের কাছ থেকে ভালোবাসা-আনুগত্যও কম পাইনি। বলতে হবে যে বিরক্তিকর অভিজ্ঞতাগুলোর কথা বললাম তার চাইতেও হাজারগুণ বেশি পেয়েছি ছাত্রদের ভালোবাসা। তাইতো আমি শিক্ষক হিসেবেই নিজের পরিচয় দিতে গৌরববোধ করি। কারণ, আমার অন্য ক্ষেত্রে ভালো চাকরি হলেও যাওয়া আর হয়নি। কথাগুলো এই সময়ে অর্থাৎ এখন বলার কারণ হয়তো অনেকেই বুঝতে পারবেন।
                                               ---তারেক আহমেদ (সেপ্টেম্বর ৩০ ২০১৭)
(https://www.facebook.com/tareq.ahmed.5203577/posts/2027773604137217) 

স্যারের কথাগুলো পড়লেই আশা করি সব বুঝতে পারবেন।এই বিষয় নিয়ে আর বেশি কিছু বলবো না। শুধু এইটাই বলবো না --জেনে শুধু শুধু কলেজকে দোষ দিবেন না । আগে সম্পূর্ন জানুন এরপর কথা বলুন।








শেষে বলবো যে আত্মহত্যা কখনোই সমাধান না !!! আর বর্তমানের অনেকেই এটাকে ট্রেন্ড ভাবসে যেটা ভাবাও ঠিক না !! কখনো ভেঙ্গে পড়লে অথবা ব্যার্থ হলে তার সমাধান অন্ততপক্ষে সুইসাইড নাআর বেশি লেখা বড় করতে চাই না তবে আজ এই পর্যন্তই থাক আশা করি এই বিষয়ে নিয়ে আর যাতে লেখা না লাগে !!
ভালো থাকবেন সবাই !! 
ধন্যবাদ !!    

Comments

Popular posts from this blog

একটি মধ্যবিত্ত ভালবাসার গল্প

কিছু গল্প সবসময় এক হয় না!  পার্থক্য, ভেদা-ভেদ সবকিছুতেই থাকে।ঠিক তেমনি ভালবাসার গল্পগুলোতেও কিছু মিল-অমিল পাওয়া যায়!আর আজকে ঠিক তেমনি অতি সাধারণ একটা গল্প তুলে ধরতে যাচ্ছি! 'মধ্যবিত্ত' শব্দটা হয়তো সকলেরই অনেক পরিচিত। মধ্যবিত্ত মানুষগুলো ধনী-গরীব হতে সম্পূর্ণ ভিন্ন।তাদের চিন্তা-ভাবনা,চলাফেরা এমনকি জীবনযাপনও ভিন্ন। আর মধ্যবিত্ত ভালবাসা এর মানে বুঝাই যাচ্ছে এর মধ্যেও কিছুটা ভিন্নতা আছে! ♥ কলেজ পড়ুয়া মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলের সাথে প্রেম করা বর্তমান যুগের মেয়ের জন্য তুলনামুলক প্যারাময়! কেননা এইসকল ছেলের থাকে না টাকা-পয়সা,মোটরসাইকেল আর কত কি!  কিন্তু মেয়েরা ভুলে যায়, অন্যদের মতো ঐ ছেলেদেরও সুন্দর একটা মন আছে, তারাও ভালবাসতে জানে!  টাকা-পয়সা বাইক এইসব শো অফ করাই কি ভালবাসা?? প্রেমিকার জন্মদিনে বড় অনুষ্ঠান করা, এ্যানিভার্সারি পালন করা আর আজাইরা টাকা খরচও কি ভালবাসা?? :/ ভালবাসা এমন হতে পারে না........ ১০০ টাকায় রিক্সা ভাড়া করে কিছুদূর ঘুরা! পাশাপাশি বসে একসাথে ফুচকা খাওয়া!♥ জন্মদিনে/অথবা অন্যকিছুতে টিফিনের এবং যাতায়াতের টাকা বাঁচিয়ে প্রিয় মানুষের জন্য ছোট্ট কিছু করা ...

তুমি, আমি আর সংসার (খুনসুটে অতীত)

  ২৩ শে জুন : শুভ জন্মদিন,ফায়াজ! :উম্ম, আপনার তাহলে মনে আছে?! ধন্যবাদ! : হ্যাঁ মনে কেনো থাকবে না!  স্বামীর জন্মদিন মনে রাখা একজন স্ত্রীর দায়িত্ব! শুনো টেবিলে ব্রেক-ফাস্ট রেডি করা আছে আর মা নানুর সাথে দেখা করতে গিয়েছে! বাসা তালা দিয়ে যেয়ো, আমাকে জলদি অফিসে যেতে হবে! : আচ্ছা একটু অপেক্ষা করেন, আমি নামিয়ে দিয়ে আসি! : নাহ নাহ! আপনি খেয়ে বের হয়েন এইটুকুই! এবং শুভ জন্মদিন!  বেশি প্রেসার নিয়েন না জন্মদিনে হাহাহাহা!  ( ফারিন অফিসের জন্য বের হলো) [বিয়ের ৩-৪ মাসের মধ্যে মেয়েটা আমাকে ভালোই চিনে ফেলেছে, যাক ভালো! তিনি ঠিক থাকলেই হলো! আর আজকের এই দিনে আর কি বা চেতে পারি! বছরের ঠিক মাঝে জন্মদিন, ব্যাপারটা ভালোই কিন্তু আজও কেউ কখনো..  উম্ম থাক! এই বুড়া বয়সে এসে এইসব ভাবা ঠিক না! ] বাথরুমে গিয়ে দেখি আয়নায় একটা স্টিকি নোট (শুভ জন্মদিন ডাক্তার সাহেব, হাসি মুখে ব্রাশ করে নাস্তার টেবিলে বসে যেয়েন, ভুলে যেয়েন না কিন্তু) [আমার বারবার নাস্তা করতে ভুলে যাওয়া এই ব্যাপারটা একবারে মাথায় নিয়ে নিয়েছে! খুবই অল্প সময়ের মধ্যেই একটা মজবুত বন্ধন কাজ করছে দুজনের মাঝে ব্যাপারটা মোটেও খা...

বন্ধুত্ব

বন্ধু শব্দটা মূলত অনেক কমন!  শৈশব থেকেই এই শব্দের যাত্রা শুরু হলেও কৈশোরকাল থেকে বন্ধু শব্দটা উপলব্ধি করা যায়! আর সত্যি বলতে এয়ারটেলের বিজ্ঞাপনের মাধ্যমেই আসল বন্ধুত্ব এর মর্ম বুঝা যায়! :p কমবেশি বন্ধু কিন্তু সবারই থাকে।  তবে সব বন্ধু এক রকম না কিংবা একজাতের না. .. খুব অল্প কিছু বন্ধু থাকে, যারা একদমই অন্যরকম !! সবার থেকে ভিন্ন! অন্য বন্ধুরা যখন বৃষ্টি হইলে তোমার জন্য ছাতা নিয়ে দৌড়ায়ে আসবে ... "এই নে " কিংবা এক ছাতার নিচে থেকে একসাথে যাবে! অন্যরকম বন্ধুগুলা তখন উল্টা তোমার মাথার ছাতাটা কেড়ে নিয়ে বন্ধ করে দিয়ে বলবেঃ "ছাতা কি কামে লাগে ?? চল ভিজি !!" বন্ধুর পাল্লায় পড়ে বৃষ্টিতে ভিজে তোমার জ্বর হবে ...পরিণতি ভালো হবে না! তুমি যখন কাতর গলায় বলবা, তোমার জ্বর আসছে, শুধুমাত্র তোর কারণে!.. তখন ঐ অসাধারণ বন্ধু তোমারে বলবেঃ(হাসতে হাসতে) "তো ?? আজকে জ্বর হইছে, কালকে নিউমোনিয়া হবে !!" "কি বলতেছিস এগুলা ??তুই আমারে বোদোয়া দিতেসিস!!" "হুম ... আমি দোয়া করি তোর নিউমোনিয়া হোক !!" "কেন ? তাতে তোর কি লাভ?" "তোর নিউমোনিয়া হইলে...