Skip to main content

We don't talk anymore ( Based on a real story)

হয়তো ৪/৫ মাস হয়ে গেসে! কিন্তু অনুভূতিটা কমে নি। এইতো কয়েকদিন আগেই তার জন্মদিন গেলো, টিফিনের টাকা বাচিয়ে তার জন্য উপহার কিনেছিলাম।মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেরা যেভাবে উপহার দেয়।দেখতে দেখতে ১ টা বছর পার হয়ে গেলো। ভাবিও নি সে এভাবে বদলাবে এবং আমি আমিই থেকে যাবো!
উফ!  ঘড়ির কাটা কেনো এতো আস্তে চলছে। মাত্র ১১.৫০ মিনিট বাজে! জন্মদিনের প্রথম উইশটা যে আমি করবো!
তাকে কি ফোন দিবো না দিবো না? 
জানি আমি তার অতীত কিন্তু তাকে ভুলা অসম্ভব!  যা হবার হবে আমিই আগে উইশ করবো!  ভাব নিবে? কথা বলবে না??  ফোন ধরবে না? যা ইচ্ছা!  তাও আমি দেবই!
হাত কাপতে কাপতে তার নাম ফোনবুককে সার্চ দিয়ে বের করলাম এবং কল দিলাম।
সে ফোন ধরলো না! বাঙালী অতি সহজে হার মানে না!!  তাই আবার দিলাম সাহস নিয়ে!
এবার সে ফোন ধরলো!
--- হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম!
--- জি বলুন!
--- আপনি কি নওরীন তাবাসসুম বলছেন?
--- না!
--- তাহলে আপনি কে?
--- ভূত!
--- আচ্ছা, ভালো আছেন?
--- না ভালো নাই!
--- কেন?
--- সামনে এক্সাম তাই!
--- বুঝলাম। কি করেন?
--- ম্যাথ করি।
--- কোন চ্যাপ্টার?
--- ২য় পত্র বহুপদী!
--- কয় নম্বর ম্যাথ? কার বই?
--- ৩১ নম্বর এস ইউ আহমেদ!
--- অও!  কয়টা বাজে? উইশ করার জন্য ফোন দিয়েছিলাম!
--- জানি না!  ফোন রাখেন!
---১১.৫৯ বাজে!  একটু!
.......
--- শুভ জন্মদিন আপনাকে!
--- ধন্যবাদ।ফোন রাখেন আমার বন্ধু ফোন দিয়েছে!
--- জি জি রাখছি!  আশা করি ভালো থাকবেন এবং নিজের খেয়াল রাখবেন!!
আবারো শুভ জন্ম.........
( ফোন রেখে দিয়েছে)
ফোন রাখাটা অনেকটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তুমি ছ্যাচরা, তোমাকে উইশ করতে হবেই!  বলদ একটা!!
নিজে নিজেই কথা বলতে লাগলাম!!
সে ম্যাসেজ পাঠালো যে তাকে যাতে আমি সর্ব্দা প্রথম উইশ না করি  এবং আরো বললো এইবার তাকে তার বান্ধুবী প্রথম উইশ করেছে!
ম্যাসেজগুলো পড়ে খারাপ লাগেনি!  বরং ভালো লেগেছে যে সে আগে চলে গেসে অনেক! এরপর এই কল রেকর্ডটা ২ বার শুনলাম ♥
তার কণ্ঠ আগের মতো বাচ্চা-বাচ্চা আছে এবং সে বদলাই নি বরং বদলেছে শুধু আমার সামনে!
(এরপর আসিফ তার ডায়েরি বের করলো)
(ঠিক ১ বছর আগে সব ঠিক ছিলো! কিন্তু পরে সব ঝড়ে ভেঙে গেলো! রাঙাময় ভালোবাসার ঘর ভেঙে চুরমার হয়ে গেলো, আলাদা হয়ে গেলো সব।)
(তাকে  দেওয়া আংটি টা এখনো আছে নাকি তা জানি না, হাতের জন্য ব্রেসলেট এবং তার পোট্রেয়ট সব হয়তো আজ নেই! উপহারগুলো কেনার টাকাগুলো কিন্তু কষ্টের ছিল!  সে আমার ভালোবাসা বুঝেছে কিন্তু এর গুরুত্বটা বুঝে নি!)
ফিরে এলে তুমি আবারো আমার জীবনে ♥ জানো আমাদের দুইজনের আজকের সেল্ফিটা অনেক সুন্দর ♥ তোমাকে শাড়িতে অপূর্ব লাগে আর আমাকে পাঞ্জাবি মোটামুটি লাগে এমনিও কালো আমি :p
হ্যা একটু আগের ভিডিও কলটা আমার জন্য অনেক কিছু ছিল বুঝাতে পারবো না! আমার জন্য কেবল তুমিই কেননা তোমায় ছাড়া আমি পুরোটাই বিলীন ♥
আজকে অনেকদিন পর তোমার পাশে তোমার হাত ধরে বসলাম ♥ জানো আজকে তোমাকে আংটি পরানোর সময় মনে মনে প্রতিজ্ঞা  করেছিলাম - তোমার হাত দুটো কখনোই ছাড়বো না, সবসময় তোমার পাশে থাকবো এবং তোমায় নিয়ে বৃদ্ধ বয়সটা পার করবো!
ভাবসি কি করা যায়!  সামনে আমাদের ১ বছর হবে যদিও মাঝে আমাদের বিচ্ছেদ ছিল কিন্তু তোমার জন্য আমি তেমন কিছু করি নি। গত ১ সপ্তাহ কলেজে হেটে গেসি এবং হেটে আসছি এমনকি ঝালমুড়ি,পুড়ি-সিংারাও  খাই নাই! অপেক্ষা করো তোমার জন্য কিছু আসতেসে ♥
মাত্র শেষ করলাম ৪ ঘ্ণটা লাগলো।Exploding Box বানানো অনেক প্যারা  তবুও খারাপ হয় নি ভালোই হয়েছে! চিন্তা নেই ১৯ মার্চ ২০১৭ আসার আগেই তোমাকে সারপ্রাইজ দিবো!  ♥
জানো আজকে তোমাকে এভাবে বোকা বানাবো কখনো ভাবিনি!  তুমি হয়তো কল্পনাও করো নি যে আমি আসবো তোমার কাছে! প্ল্যান অনেক আগেই ছিল,ধন্যবাদ তোমার বান্ধুবীকে আমাকে সাহায্য করার জন্য ♥ ভালো লেগেছে তোমার আশা করি ♥
কবিতাটা পরে একদিন সুন্দর করে শুনাবোনে ♥
নাহ!  হয়নি এটা ! আমি ভাবিনি এমন হবে!  এইটা কি ছিলো!  বুঝলাম সে তোমার বেস্ট ফ্রেন্ড কিন্তু এমন পোস্ট!  যাই হোক ফোন তো ধরো! ............
মনে হয় শেষ!  আমার কপালে সুখের দিন শেষ!  এগুলো কেন???.......
কথাগুলো আগে বললে এমনটা হতো না! যাই হোক যার কপালে যা লেখা! তুমি হয়তো তার কপালে লেখা!  আমার নয়!
কিন্তু তোমাদেরকে ভালোই মানাবে! কিন্ত এমনটা কেন করলে? এবং যখন করেছিলে আমাকে শুরুতেই বলতে পারতে!
হ্যা আমি বলদের মতো কাদছি!  চোখ দিয়ে পানি কেন জানি পরছে!!!  জানি না কিছুই জানি না!
আজ নিজের কাছে নিজেই হারলাম!!  হারালাম তোমাকে!  আমার কথা বলতে কষ্ট হচ্ছিল তবুও বলেছি কথা!  কালকে আমাদের  শেষবারের মতো দেখা হবে!  একটাবার দেখবো শুধু তোমাকে! ♥
হ্যা দেখালাম!  তুমি একবারও পিছনে ফিরে তাকালে না।একবার আমাকে বললে না -- তোমাকে ছেড়ে না যেতে! ভাগ্য কি চায় না আমি নিজেও জানি না!  কিন্তু বলতে পারি আমি মন থেকে ভালোবেসেছিলাম! আমি তোমার মতো কথা লুকাইনি!
তবে তুমি খুশি থাকবে তোমার পছন্দের ছেলে!  তুমি যেমন চেয়েছিলে তেমন!  আমার মতো কালো না, বলদ না, অতি পড়াশুনা করে না, ক্লাবিং করে না!  বরং হ্যান্ডসাম, সুন্দর, নিশ্চিন্ত পাবলিক সে! সাথে পাওয়ারও আছে কিছু ^_^
যাই হোক ভালো থেকো নওরীন তাবাসসুম♥
........
(শেষ পেজ পড়ে আসিফ এক দীর্ঘশ্বাস ফেললো!)
১ বছরের এই সময়টা খুব দ্রুত কেটে গেলো! তোমাকে পেলাম আবার তোমাকেই হারালাম ♥
আজকের কথা গুলো ডায়েরিতে লিখে আসিফ রাতের আলোতে আকাশের দিকে নির্বাক পানে চেয়ে রইলো........
(সত্য ঘটনা অবলম্বনে)
(বি.দ্র. উক্ত ঘটনা কাউকে হেয় কিংবা দুঃখ দেবার জন্য না।  চরিত্রের নাম সম্পূর্ণ কাল্পনিক। কারো সাথে মিলে গেলে তার জন্য অত্যন্ত দুঃখিত)

Comments

Popular posts from this blog

একটি মধ্যবিত্ত ভালবাসার গল্প

কিছু গল্প সবসময় এক হয় না!  পার্থক্য, ভেদা-ভেদ সবকিছুতেই থাকে।ঠিক তেমনি ভালবাসার গল্পগুলোতেও কিছু মিল-অমিল পাওয়া যায়!আর আজকে ঠিক তেমনি অতি সাধারণ একটা গল্প তুলে ধরতে যাচ্ছি! 'মধ্যবিত্ত' শব্দটা হয়তো সকলেরই অনেক পরিচিত। মধ্যবিত্ত মানুষগুলো ধনী-গরীব হতে সম্পূর্ণ ভিন্ন।তাদের চিন্তা-ভাবনা,চলাফেরা এমনকি জীবনযাপনও ভিন্ন। আর মধ্যবিত্ত ভালবাসা এর মানে বুঝাই যাচ্ছে এর মধ্যেও কিছুটা ভিন্নতা আছে! ♥ কলেজ পড়ুয়া মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলের সাথে প্রেম করা বর্তমান যুগের মেয়ের জন্য তুলনামুলক প্যারাময়! কেননা এইসকল ছেলের থাকে না টাকা-পয়সা,মোটরসাইকেল আর কত কি!  কিন্তু মেয়েরা ভুলে যায়, অন্যদের মতো ঐ ছেলেদেরও সুন্দর একটা মন আছে, তারাও ভালবাসতে জানে!  টাকা-পয়সা বাইক এইসব শো অফ করাই কি ভালবাসা?? প্রেমিকার জন্মদিনে বড় অনুষ্ঠান করা, এ্যানিভার্সারি পালন করা আর আজাইরা টাকা খরচও কি ভালবাসা?? :/ ভালবাসা এমন হতে পারে না........ ১০০ টাকায় রিক্সা ভাড়া করে কিছুদূর ঘুরা! পাশাপাশি বসে একসাথে ফুচকা খাওয়া!♥ জন্মদিনে/অথবা অন্যকিছুতে টিফিনের এবং যাতায়াতের টাকা বাঁচিয়ে প্রিয় মানুষের জন্য ছোট্ট কিছু করা ...

তুমি, আমি আর সংসার (খুনসুটে অতীত)

  ২৩ শে জুন : শুভ জন্মদিন,ফায়াজ! :উম্ম, আপনার তাহলে মনে আছে?! ধন্যবাদ! : হ্যাঁ মনে কেনো থাকবে না!  স্বামীর জন্মদিন মনে রাখা একজন স্ত্রীর দায়িত্ব! শুনো টেবিলে ব্রেক-ফাস্ট রেডি করা আছে আর মা নানুর সাথে দেখা করতে গিয়েছে! বাসা তালা দিয়ে যেয়ো, আমাকে জলদি অফিসে যেতে হবে! : আচ্ছা একটু অপেক্ষা করেন, আমি নামিয়ে দিয়ে আসি! : নাহ নাহ! আপনি খেয়ে বের হয়েন এইটুকুই! এবং শুভ জন্মদিন!  বেশি প্রেসার নিয়েন না জন্মদিনে হাহাহাহা!  ( ফারিন অফিসের জন্য বের হলো) [বিয়ের ৩-৪ মাসের মধ্যে মেয়েটা আমাকে ভালোই চিনে ফেলেছে, যাক ভালো! তিনি ঠিক থাকলেই হলো! আর আজকের এই দিনে আর কি বা চেতে পারি! বছরের ঠিক মাঝে জন্মদিন, ব্যাপারটা ভালোই কিন্তু আজও কেউ কখনো..  উম্ম থাক! এই বুড়া বয়সে এসে এইসব ভাবা ঠিক না! ] বাথরুমে গিয়ে দেখি আয়নায় একটা স্টিকি নোট (শুভ জন্মদিন ডাক্তার সাহেব, হাসি মুখে ব্রাশ করে নাস্তার টেবিলে বসে যেয়েন, ভুলে যেয়েন না কিন্তু) [আমার বারবার নাস্তা করতে ভুলে যাওয়া এই ব্যাপারটা একবারে মাথায় নিয়ে নিয়েছে! খুবই অল্প সময়ের মধ্যেই একটা মজবুত বন্ধন কাজ করছে দুজনের মাঝে ব্যাপারটা মোটেও খা...

বন্ধুত্ব

বন্ধু শব্দটা মূলত অনেক কমন!  শৈশব থেকেই এই শব্দের যাত্রা শুরু হলেও কৈশোরকাল থেকে বন্ধু শব্দটা উপলব্ধি করা যায়! আর সত্যি বলতে এয়ারটেলের বিজ্ঞাপনের মাধ্যমেই আসল বন্ধুত্ব এর মর্ম বুঝা যায়! :p কমবেশি বন্ধু কিন্তু সবারই থাকে।  তবে সব বন্ধু এক রকম না কিংবা একজাতের না. .. খুব অল্প কিছু বন্ধু থাকে, যারা একদমই অন্যরকম !! সবার থেকে ভিন্ন! অন্য বন্ধুরা যখন বৃষ্টি হইলে তোমার জন্য ছাতা নিয়ে দৌড়ায়ে আসবে ... "এই নে " কিংবা এক ছাতার নিচে থেকে একসাথে যাবে! অন্যরকম বন্ধুগুলা তখন উল্টা তোমার মাথার ছাতাটা কেড়ে নিয়ে বন্ধ করে দিয়ে বলবেঃ "ছাতা কি কামে লাগে ?? চল ভিজি !!" বন্ধুর পাল্লায় পড়ে বৃষ্টিতে ভিজে তোমার জ্বর হবে ...পরিণতি ভালো হবে না! তুমি যখন কাতর গলায় বলবা, তোমার জ্বর আসছে, শুধুমাত্র তোর কারণে!.. তখন ঐ অসাধারণ বন্ধু তোমারে বলবেঃ(হাসতে হাসতে) "তো ?? আজকে জ্বর হইছে, কালকে নিউমোনিয়া হবে !!" "কি বলতেছিস এগুলা ??তুই আমারে বোদোয়া দিতেসিস!!" "হুম ... আমি দোয়া করি তোর নিউমোনিয়া হোক !!" "কেন ? তাতে তোর কি লাভ?" "তোর নিউমোনিয়া হইলে...